যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের জন্য ডেনমার্কের বদলে মার্কিন নিরাপত্তা ছাতার নিচে আসা ভালো হবে। তবে ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, অঞ্চলটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কোনো বলপ্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। গত শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পিটুফিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেডি ভ্যান্স বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে সমর্থ হবেন। তবে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনো সামরিক শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন হবে না। কেননা ওয়াশিংটনের অবস্থান যৌক্তিক।
ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের নিয়ে গত শুক্রবার এক দিনের সফরে গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত ওই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন জেডি ভ্যান্স। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্স। পরে সেখানে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন জেডি ভ্যান্স। এ সময় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। জানান, আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র যদি এই অঞ্চলের নেতৃত্ব না নেয়, তাহলে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলো এর সুযোগ নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সমালোচনা করছি না। তাঁরা অসাধারণ মানুষ এবং এখানে তাঁদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমালোচনা হচ্ছে ডেনমার্কের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে, এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় কম নজর দিয়েছে। এটির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির বিষয়ে কথা বলছি না। আমরা বিশ্বশান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি। সে ক্ষেত্রে বিশ্বশান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রথম ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক বা সামরিক শক্তির মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে অস্বীকার করেন তিনি। তবে ডেনিশ ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা অবশ্যই রক্ষা করা হবে।
৩০০ বছর ডেনিশ নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার। বিশাল এ ভূখণ্ডের ৮০ শতাংশই বরফে আচ্ছাদিত; কিন্তু সেখানে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডে কী কী প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তার লম্বা তালিকা আছে দ্য জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ডেনমার্ক অ্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের ওয়েবসাইটে। সেখানে যেমন রয়েছে সোনা, প্লাটিনাম, হীরা ও রুবির মতো দামী খনিজ, তেমনি আছে লিথিয়াম, টাইটেনিয়ামসহ বিরল সব ধাতুর খনি। জ্বালানি উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়লা ও ইউরেনিয়ামের খনিও রয়েছে। বড় ধরনের তেলের খনি ও প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রও রয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দ্বীপটির বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে এবং ফলে সেখানকার ভূমি ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে। সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনাও উন্মোচিত হবে। বিশ্বব্যাংকের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী এসব খনিজ সম্পদের চাহিদা ৫ গুণ বেড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে রাশিয়াও গ্রিনল্যান্ডকে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, গ্রিনল্যান্ডের জন্য ডেনমার্কের বদলে মার্কিন নিরাপত্তা ছাতার নিচে আসা ভালো হবে। তবে ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, অঞ্চলটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কোনো বলপ্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। গত শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পিটুফিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জেডি ভ্যান্স বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে সমর্থ হবেন। তবে এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কোনো সামরিক শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন হবে না। কেননা ওয়াশিংটনের অবস্থান যৌক্তিক।
ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের নিয়ে গত শুক্রবার এক দিনের সফরে গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত ওই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন জেডি ভ্যান্স। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট ও ভ্যান্সের স্ত্রী উষা ভ্যান্স। পরে সেখানে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন জেডি ভ্যান্স। এ সময় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। জানান, আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র যদি এই অঞ্চলের নেতৃত্ব না নেয়, তাহলে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলো এর সুযোগ নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সমালোচনা করছি না। তাঁরা অসাধারণ মানুষ এবং এখানে তাঁদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমালোচনা হচ্ছে ডেনমার্কের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে, এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় কম নজর দিয়েছে। এটির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির বিষয়ে কথা বলছি না। আমরা বিশ্বশান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি। সে ক্ষেত্রে বিশ্বশান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রথম ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক বা সামরিক শক্তির মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে অস্বীকার করেন তিনি। তবে ডেনিশ ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা অবশ্যই রক্ষা করা হবে।
৩০০ বছর ডেনিশ নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার। বিশাল এ ভূখণ্ডের ৮০ শতাংশই বরফে আচ্ছাদিত; কিন্তু সেখানে বিপুল পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ডে কী কী প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তার লম্বা তালিকা আছে দ্য জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ডেনমার্ক অ্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের ওয়েবসাইটে। সেখানে যেমন রয়েছে সোনা, প্লাটিনাম, হীরা ও রুবির মতো দামী খনিজ, তেমনি আছে লিথিয়াম, টাইটেনিয়ামসহ বিরল সব ধাতুর খনি। জ্বালানি উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়লা ও ইউরেনিয়ামের খনিও রয়েছে। বড় ধরনের তেলের খনি ও প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রও রয়েছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দ্বীপটির বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে এবং ফলে সেখানকার ভূমি ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে। সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনাও উন্মোচিত হবে। বিশ্বব্যাংকের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী এসব খনিজ সম্পদের চাহিদা ৫ গুণ বেড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে রাশিয়াও গ্রিনল্যান্ডকে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বলিভিয়ায় বামপন্থী দল মুভিমিয়েন্তো আল সোসিয়ালিজমোর (মাস) প্রায় ২০ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে মধ্য ডানপন্থী রদ্রিগো পাজ পেরেইরা (৫৮) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় (রানঅফ) ৯৭ শতাংশেরও বেশি ব্যালট গণনা শেষে পেরেইরা পেয়েছেন ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল যদি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ‘মিলেমিশে’ থাকতে চাইলে, এখনই ফিলিস্তিনিদের সহায়তা শুরু করতে হবে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উই
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান তার প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট (এইচ১) সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’। পাকিস্তানের মহাকাশ সংস্থা সুপারকো জানিয়েছে, গতকাল রোববার উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এই এইচ ১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের রাশিয়া সংলগ্ন অঞ্চল দনবাস অঞ্চল মস্কোর দখলে চলে গেছে। সুতরাং, ইউক্রেনের বিষয়টি মেনে নিয়ে এই অবস্থাতেই চুক্তি করা উচিত। একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠককালে...
৪ ঘণ্টা আগে