ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দোষারোপ করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই সুর পাল্টে ফেললেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের খনিজ নিয়ে চুক্তির বিষয়ে আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আলোচনায় মুখোমুখি হবেন এই দুই নেতা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির প্রশংসার ফুলঝুড়ি ছুটল ট্রাম্পের মুখ থেকে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির প্রতি তাঁর ‘অনেক শ্রদ্ধা’ রয়েছে।
জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলার জন্য বৈঠকে ক্ষমা চাইবেন কি না—বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কি এটা বলেছিলাম? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, আমি এমনটা বলেছি।’ জেলেনস্কিকে ‘খুব সাহসী’ বলে অভিহিত করেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ‘খুব ভালো একটি বৈঠক’ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়ে ট্রাম্প বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ‘খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে’।
এর আগে ট্রাম্পের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি জেলেনস্কিকে যুদ্ধের জন্য দোষারোপ করছেন এবং তাঁকে শান্তি আলোচনা শুরু না করার জন্য তিরস্কার করেছিলেন। গত মঙ্গলবার জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘তিন বছর ধরে আপনি সেখানে আছেন। আপনার এটি শেষ করা উচিত ছিল...আপনি চাইলে এটি কখনো শুরুই করতে পারতেন না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।’
তবে বৃহস্পতিবার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলতে থাকেন ভিন্ন কথা। জেলেনস্কির সঙ্গে আসন্ন আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, শুক্রবার আমরা একটি খুব ভালো বৈঠক করব। আমরা একে অপরের সঙ্গে খুব ভালোভাবে সম্পর্ক স্থাপন করব।’
এদিকে জেলেনস্কি আশা করছেন, আজকের বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের জন্য কিছুটা হলেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবেন, যা যেকোনো শান্তি চুক্তির ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি অনেক বিষয়ে উদার। তবে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নির্ধারণ করার আগে তিনি চান, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তি করুক।
শুক্রবারে হোয়াইট হাউস সফরে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে একটি চুক্তিতে সই করবেন। ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনে মার্কিন খনিজ সম্পদ খননকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপস্থিতি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
ট্রাম্প বলেন, “বলতে পারেন, এটি একটি ব্যাকস্টপ। সেখানে আমাদের অনেক কর্মী থাকবে। বিরল খনিজ এবং অন্যান্য জিনিস নিয়ে কাজ করবে তারা, যেগুলো আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন। আমি মনে করি না কেউ সেখানে ‘তামাশা’ করবে। ”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য যুদ্ধের পর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত, তবে এটি করা হবে যদি যুক্তরাষ্ট্র সেখানে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়।
ব্রিটিশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর রাশিয়া আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিটিশদের কাছে অসাধারণ সেনা, অসাধারণ সামরিক শক্তি রয়েছে। তারা নিজেদের দেখে নিতে পারবে। তবে যদি তারা সাহায্য চায়, আমি সব সময় ব্রিটিশদের সঙ্গে থাকব, ঠিক আছে?’
ন্যাটোর ধারা ৫ অনুযায়ী, ন্যাটো সদস্যরা তাদের মিত্রদেশের প্রতি আক্রমণ হলে তাদের রক্ষা করতে যাবে।
গতকাল বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের ‘ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ প্রশংসা করে স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য শান্তি চুক্তি সমর্থন করতে বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত এবং ‘যুদ্ধের বর্বরতা’ থেকে ইউক্রেনের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে তারা মনোযোগী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দোষারোপ করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই সুর পাল্টে ফেললেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের খনিজ নিয়ে চুক্তির বিষয়ে আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আলোচনায় মুখোমুখি হবেন এই দুই নেতা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির প্রশংসার ফুলঝুড়ি ছুটল ট্রাম্পের মুখ থেকে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কির প্রতি তাঁর ‘অনেক শ্রদ্ধা’ রয়েছে।
জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলার জন্য বৈঠকে ক্ষমা চাইবেন কি না—বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কি এটা বলেছিলাম? আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, আমি এমনটা বলেছি।’ জেলেনস্কিকে ‘খুব সাহসী’ বলে অভিহিত করেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ‘খুব ভালো একটি বৈঠক’ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়ে ট্রাম্প বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ‘খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছে’।
এর আগে ট্রাম্পের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি জেলেনস্কিকে যুদ্ধের জন্য দোষারোপ করছেন এবং তাঁকে শান্তি আলোচনা শুরু না করার জন্য তিরস্কার করেছিলেন। গত মঙ্গলবার জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘তিন বছর ধরে আপনি সেখানে আছেন। আপনার এটি শেষ করা উচিত ছিল...আপনি চাইলে এটি কখনো শুরুই করতে পারতেন না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।’
তবে বৃহস্পতিবার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলতে থাকেন ভিন্ন কথা। জেলেনস্কির সঙ্গে আসন্ন আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, শুক্রবার আমরা একটি খুব ভালো বৈঠক করব। আমরা একে অপরের সঙ্গে খুব ভালোভাবে সম্পর্ক স্থাপন করব।’
এদিকে জেলেনস্কি আশা করছেন, আজকের বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের জন্য কিছুটা হলেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবেন, যা যেকোনো শান্তি চুক্তির ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি অনেক বিষয়ে উদার। তবে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নির্ধারণ করার আগে তিনি চান, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তি করুক।
শুক্রবারে হোয়াইট হাউস সফরে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে একটি চুক্তিতে সই করবেন। ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনে মার্কিন খনিজ সম্পদ খননকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপস্থিতি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
ট্রাম্প বলেন, “বলতে পারেন, এটি একটি ব্যাকস্টপ। সেখানে আমাদের অনেক কর্মী থাকবে। বিরল খনিজ এবং অন্যান্য জিনিস নিয়ে কাজ করবে তারা, যেগুলো আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন। আমি মনে করি না কেউ সেখানে ‘তামাশা’ করবে। ”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য যুদ্ধের পর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত, তবে এটি করা হবে যদি যুক্তরাষ্ট্র সেখানে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়।
ব্রিটিশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর রাশিয়া আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিটিশদের কাছে অসাধারণ সেনা, অসাধারণ সামরিক শক্তি রয়েছে। তারা নিজেদের দেখে নিতে পারবে। তবে যদি তারা সাহায্য চায়, আমি সব সময় ব্রিটিশদের সঙ্গে থাকব, ঠিক আছে?’
ন্যাটোর ধারা ৫ অনুযায়ী, ন্যাটো সদস্যরা তাদের মিত্রদেশের প্রতি আক্রমণ হলে তাদের রক্ষা করতে যাবে।
গতকাল বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের ‘ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ প্রশংসা করে স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য শান্তি চুক্তি সমর্থন করতে বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত এবং ‘যুদ্ধের বর্বরতা’ থেকে ইউক্রেনের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে তারা মনোযোগী।
গতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২-২৩ এপ্রিল এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির তৃতীয় মেয়াদে এটিই প্রথম সৌদি আরব সফর।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি হামলায় যখন গাজায় প্রতিদিন পাখির মতো মানুষ মরছে, তখন এমন দাবি করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের হামলায় কমপক্ষে ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা কর
৪ ঘণ্টা আগে