Ajker Patrika

কমলা হ্যারিস নামে হিন্দু, কাজে না: মার্কিন হিন্দু নেতা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৩
Thumbnail image
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি অতীতে একাধিকবার নিজের হিন্দু পরিচয় নিয়ে কথা বলেছেন। তবে, তিনি নামে হিন্দু হলেও কাজে-কর্মে তার প্রমাণ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রেরই এক হিন্দু নেতা। শলভ কুমার নামে ওই নেতা অভিযোগ করেছেন, কমলা হ্যারিস ও তাঁর নীতি ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শলভ কুমার যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দুদের সংগঠন রিপাবলিকান হিন্দু কোয়ালিশনের নেতা। তিনি বলেছেন, কমলা হিন্দু অতীত ও ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার পরও তাঁর নীতি ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শলভ কুমার বলেন, হ্যারিস ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ‘স্বাধীন কাশ্মীর’ সমর্থন করেন। এ সময় শলভ কুমার কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণা দলের কিছু সদস্যকে নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই বলে যে তাঁরা পাকিস্তানপন্থী। তিনি বলেন, ‘কমলা হ্যারিস কেবল নামেই হিন্দু, কিন্তু তাঁর কার্যকলাপ ও নীতিমালা ভারতবিরোধী। তিনি স্বাধীন কাশ্মীর চান। তাঁর প্রচারণা দলে পাঁচ-সাতজন পাকিস্তানপন্থী আছে।’

শলভ কুমার হ্যারিসের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘পাকিস্তান বর্তমানে চীনের সঙ্গে জোট বাঁধছে এবং এটি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, চীন পাকিস্তানকে ‘প্রক্সি’ হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।

রিপাবলিকান হিন্দু কোয়ালিশনের এই নেতা আরও বলেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা দুটি দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রত্যাশা করছি। ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে বন্ধুত্ব আছে, তাই আগামী চার বছর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আমলে ভারত চমৎকার সময় কাটাবে।’

শলভ কুমার কমলার কাশ্মীর বিষয়ে অবস্থানের সমালোচনা করে বলেন, তাঁর ‘তথাকথিত সংখ্যালঘু’ বিষয়ের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাইডেন ও হ্যারিস হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং উগ্র ইসলামকে সংখ্যালঘু হিসেবে দেখেন, কিন্তু দেশটি বাংলাদেশ ও কানাডায় হিন্দুদের ওপর সংঘটিত সহিংসতাকে উপেক্ষা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমলা হ্যারিসের কাশ্মীর নিয়ে মৌলিক কিছু মতামত আছে এবং তাই ভারতকে সজাগ থাকতে হবে। তাঁরা প্রতিবার সুযোগ পেলেই তথাকথিত সংখ্যালঘু, তথাকথিত মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিষয়টি উত্থাপন করবেন। জো বাইডেন যতবারই সুযোগ পাবেন এবং কমলা যতবারই সুযোগ পাবেন, আগের থেকেও বেশি করে এই বিষয়গুলো উত্থাপন করবেন।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে এই হিন্দু নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে কী ঘটছে, সেটা ভুলে যান। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে কী ঘটছে, সেটাও ভুলে যান। তাদের কাছে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর উগ্র ইসলামপন্থীরা সংখ্যালঘু...ট্রাম্পের ভারতীয় হিন্দুদের প্রতি অবস্থান খুবই স্পষ্ট। ২০১৬ সালে নিউ জার্সির সমাবেশে ১৫ অক্টোবর যোগ দেওয়ার পর থেকেই সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত