Ajker Patrika

চীনের ওপর শুল্ক আরোপে অনীহা বাড়ছে ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। ছবি: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

চীনের ওপর শুল্ক আরোপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বহুদিনের। নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি বলেছেন চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের ওপর ১০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের কথা ভাবছে তাঁর প্রশাসন। কিন্তু এবার তিনি বললেন, চীনের ওপর শুল্ক আরোপ না করাই ভালো। বরং বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কি না ভাবছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথাই বললেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘চীনের ওপর আমাদের একটি বড় শক্তি আছে, সেটি হলো শুল্ক। এটি তাঁরা চায় না। আর আমি চাই না যে আমাকে এগুলো ব্যবহার করতে হোক। তবে এটি চীনের ওপর ব্যবহারের মতো একটি বিশাল শক্তি।’

তবে, চীনের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অমূলক নয় বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চীন আমেরিকা থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সামরিক বাহিনী গড়তে ব্যয় করছে।’

ট্রাম্প জানান, ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, টিকটক ও তাইওয়ানসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে। চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি করা যায় কি না এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করতে পারি।’

সাক্ষাৎকারে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের কথা তুলে ধরে তাঁর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ‘সি আমার বন্ধুর মতো। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। এটি একটি ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের আগেই তাঁর (চিন পিং) সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। চীন একটি বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী দেশ এবং তিনি (চিন পিং) খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তি।’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুদিন ধরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। প্রযুক্তি, সামরিক, বাণিজ্য—একে একে সব খাতে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপের মালিকানা নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্সকে সরিয়ে অন্য কোনো মালিকানার অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালনা করতে বলা হয়। সেটি সম্ভব না হওয়ায় টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য ট্রাম্প সেই নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিনের জন্য মুলতবি করতে বলেন।

ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে ফেন্টানিলসহ মাদক পাচারের অভিযোগে চীনের ওপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়, চীনের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান নেতা।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মূল্য অভ্যন্তর-আন্তর্জাতিক দুই বাজারে বৃদ্ধি পায়। অফশোর ইউয়ান ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। অন্যদিকে অনশোর ইউয়ান শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত