Ajker Patrika

ট্রাম্প ও ভ্যান্সের কঠোর সমালোচক নতুন পোপ

এএফপি, ওয়াশিংটন 
রবার্ট প্রেভোস্ট
রবার্ট প্রেভোস্ট

প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে রবার্ট প্রেভোস্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের ১৪০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীকে ধর্মীয় শীর্ষ গুরু হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন এই মার্কিনি। তবে মার্কিনি হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের কঠোর সমালোচক তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেওয়ার পর অভিবাসন ইস্যুতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার কঠোর সমালোচক নতুন এই পোপ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আর্টিকেলও প্রকাশ করেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে রবার্ট প্রেভোস্ট একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেন। সেটির লিংক তিনি যুক্ত করে দেন তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ক্যাথলিক মতবাদ যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সাহায্য বন্ধ করাকে সমর্থন করে—এ অপতথ্য প্রচার করেছেন জে ডি ভ্যান্স।

জে ডি ভ্যান্স ২০১৯ সালে ক্যাথলিক মতবাদ গ্রহণ করেন। তিনি বলেছিলেন, খ্রিষ্টানদের উচিত বিশ্বের অন্য কারোর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের আগে নিজের পরিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা।

এর পরিপ্রেক্ষিত রবার্ট প্রেভোস্ট লিখেছিলেন, জে ডি ভ্যান্সের ধারণা ভুল। যিশুখ্রিষ্ট কখনো ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো পদমর্যাদা বিবেচনায় নিতে বলেননি।

বেশির ভাগ সময় কেটেছে পেরুতে

গত বৃহস্পতিবার নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় ভাটিক্যান সিটি থেকে। নতুন এই পোপ লিও চতুর্দশ নামে পরিচিত হবেন। ২৬৭তম পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট।

১৯৫৫ সালে শিকাগো শহরে স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ-ইতালীয় বংশোদ্ভূত মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণকারী প্রেভোস্ট ছোটবেলায় গির্জায় ‘আল্টার বয়’ হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৮২ সালে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিন বছর পর পেরুতে চলে গেলেও নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে নিজ শহরে যাজক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

যে কারণে নাম লিও

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর সবার আগে যে কাজটি করা হয়, সেটি হলো নির্বাচিত পোপের নতুন নাম গ্রহণ। এটি একটি বহু পুরোনো ঐতিহ্য। পোপদের নাম পরিবর্তনের রীতি প্রায় ৫০০ বছর আগে সূচনা হয়েছিল। সম্প্রতি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস জানিয়েছিলেন, তিনি সেন্ট ফ্রান্সিস অব আসিসিকে সম্মান জানাতে ‘ফ্রান্সিস’ নামটি গ্রহণ করেছেন।

এবার নতুন পোপ কেন ‘লিও’ নামটি বেছে নিয়েছেন, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি। তবে ইতিহাসে এই নাম অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে।

শেষবার লিও নামটি বেছে নিয়েছিলেন পোপ লিও ত্রয়োদশ। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভিনচেঞ্জো জোয়াক্কিনো পেচ্চি। ১৮৭৮ সালে নির্বাচিত এই ইতালিয়ান পোপ ১৯০৩ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত চার্চের নেতৃত্ব দেন। তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার ও নীতির পক্ষে ছিলেন এবং তিনি ‘রিটার্ন নোভারাম’ (অর্থাৎ নতুন বিষয়াবলি) নামে তাঁর বিখ্যাত প্রজ্ঞাপনে শ্রমিকদের অধিকার ও সামাজিক ন্যায় নিয়ে আলোকপাত করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত