Ajker Patrika

কানাডায় শিখ নেতা হত্যায় ভারত জড়িত থাকার প্রশ্নে দ্বিমত নেই: অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা প্রধান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০: ১৯
Thumbnail image

অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার (এএসআইও) প্রধান মাইক বারগেস মনে করেন, কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র থাকার যে দাবি উঠেছে—তার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত মাসে দাবি করেছিলেন, তাঁর দেশে খালিস্তানপন্থী শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে। 

তবে এই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করে ভারত। এ ঘটনার জের ধরে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটেছে ভারত ও কানাডার মধ্যে। 

কানাডার অভিযোগ সম্পর্কে মতামত চাইলে এএসআইও মহাপরিচালক বারগেস এবিসি নিউজকে বলেন, ‘কানাডীয় সরকার এ বিষয়ে যা বলেছে, তা নিয়ে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, একটি দেশের বিরুদ্ধে ওই দেশের একজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ এবং এমন কিছু যা আমরা করি না এবং এমন কিছু যা দেশগুলোর করা উচিত নয়।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ফাইভ আইজ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর একটি সম্মেলনে এসব কথা বলেন বারগেস। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা উভয়ই ফাইভ আইজ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। এ সংস্থার সদস্যভুক্ত অন্য তিনটি দেশ হলো—যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ড। 

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফাইভ আইজ সম্মেলনের পর্দার আড়ালে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করেননি বারগেস। তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র এবিসিকে জানিয়েছে, গত মাসে নয়াদিল্লিতে জি–২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে মাইক বারগেসকে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবহিত করেছিল কানাডীয় কর্তৃপক্ষ। জি–২০ সম্মেলনেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে হত্যাকাণ্ডটির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। 

হরদীপ সিং নিজ্জার ‘খালিস্তান’ স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ছিলেন। ভারত সরকার তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছিল। 

এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করা কিছু শিখ নেতাও নিজ্জার হত্যায় কানাডার অভিযোগকে সমর্থন করেছেন। তাঁরা বলছেন, নিজ্জারের মৃত্যুর মতো একই ধরনের সহিংসতা তাঁদের সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের সহিংসতা ঘটার আশঙ্কা আছে কি না সে প্রশ্নে বারগেস বলেন, ‘এটি অস্ট্রেলিয়ায় ঘটবে কি না, আমি প্রকাশ্যে কিছু বলব না। আমি মনে করি, এমনটি ঘটা ঠিক হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত