Ajker Patrika

বৈশ্বিক সমর্থন হারাতে শুরু করেছে ইসরায়েল: বাইডেন 

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ০৬
বৈশ্বিক সমর্থন হারাতে শুরু করেছে ইসরায়েল: বাইডেন 

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালানোর কারণে বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহকালে একটি অনুষ্ঠানে দাতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জো বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারে, কিন্তু এই মুহূর্তে তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও আরও বেশি দেশের সমর্থন কামনা করে। দেশটির মিত্র হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আছে, ইউরোপ আছে এমনকি বিশ্বের বেশির ভাগ অংশই দেশটির সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু নির্বিচারে বোমা হামলার মাধ্যমে তারা সেই সমর্থন হারাতে শুরু করেছে।’

এ সময় বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলেন, ‘হামাসকে দেখে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত বা প্রশ্ন নেই এবং এমনটা করার সব ধরনের অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে হামাসকে ধ্বংস করে জিম্মিদের উদ্ধারের ক্ষেত্রে সব ধরনে সহযোগিতা পাচ্ছে। বিবৃতিতে নেতানিয়াহু আরও উল্লেখ করেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সব চাপ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করছে।

গত সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত ইহুদির উৎসব হানুক্কার অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বাইডেন আবারও নিজেকে জায়োনিস্ট বলে দাবি করে বলেন, ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে শেষ করতে না পারছে, ততক্ষণ সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে শেষ করতে না পারছে, ততক্ষণ সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।’ এ সময় তিনি ইসরায়েলকেও এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। বিশ্ব জনমত যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে, কিন্তু আমরা তা হতে পারি না।’

এ সময় অনুষ্ঠানে বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি গত ৭ অক্টোবরের পরও যেমন বলেছি, আবারও বলছি—ইহুদি জনগোষ্ঠী, রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে এর টিকে থাকার প্রতি আমার যে সমর্থন তা অনড়।’ এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব না থাকলে বিশ্বের কোনো ইহুদিই নিরাপদ থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে ‘লাভ জিহাদে’ মত্ত শিক্ষার্থীরা—অভিযোগ ভারতীয় কর্মকর্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য প্রিন্টের সৌজন্যে
ছবি: দ্য প্রিন্টের সৌজন্যে

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিইও) একটি চিঠি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা ‘ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে লাভ জিহাদে জড়াচ্ছে’।

গতকাল বুধবার ওই চিঠি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অংশু গর্গ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন এক নির্দেশনায় আগের চিঠি ‘বাতিল’ ঘোষণা করেন।

ডিইও অংশু গর্গ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টকে বলেন, নাগরিকদের উদ্বেগ প্রকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ পোর্টালে (সিএম উইন্ডো) একটি অভিযোগ পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়, ফরিদাবাদের কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যই ওই চিঠি জারি করা হয়েছিল।

চিঠিতে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ঠেকাতে কঠোর তদারকি করতে হবে।

চিঠির মূল শিরোনামে বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীরা ‘বিভিন্ন পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপ ও লাভ জিহাদে জড়িয়ে সমাজের বন্ধন নষ্ট করছে ও পরিবেশ দূষিত করছে’।

চিঠিতে সতর্ক করা হয়—যেকোনো বিদ্যালয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তবে এক দিন পর আজ নতুন চিঠিতে ডিইও স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষা বিভাগে এমন কোনো অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায়নি। তাই আগের চিঠিটি বাতিল করা হলো।

কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহাবীর জাগলান এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে একজন শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত ‘অশোভন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখা এক বিষয়, কিন্তু এতে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি আনার মানে কী? এ ধরনের ভাষা কোনো সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তার মুখে শোভা পায় না।

জাগলান অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, এখন কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও তা অনুসরণ করছেন রাজনৈতিক কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।

‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি ভারতের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচলিত একটি শব্দ। তারা ভিন্ন ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম বা বিবাহকে ধর্মান্তরের কৌশল হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে এর কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই এবং বহু বিশ্লেষক একে রাজনৈতিক প্রচারণা ও বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে ১৭ শিশুকে জিম্মি করা যুবক নিহত, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রোহিত আর্য (বাঁয়ে), মুম্বাইয়ের পাওয়াই এলাকার এই আবাসিক ভবনে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
রোহিত আর্য (বাঁয়ে), মুম্বাইয়ের পাওয়াই এলাকার এই আবাসিক ভবনে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা এক যুবক পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের পাওয়াই এলাকার একটি আবাসিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিত আর্য নামের ওই যুবক একটি ‘অডিশনের’ কথা বলে ১৭ শিশুকে সেখানে নিয়ে আসেন। মুম্বাই পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী এই শিশুদের প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, একটি সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পেয়ে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়েছেন রোহিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জিম্মি শিশুদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের উদ্ধার অভিযানের সময় রোহিত এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশের দিকে গুলি চালান। এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশও একটি গুলি চালায়। গুলির আঘাতে আহত অবস্থায় রোহিতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, পাওয়াই থানা বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি জরুরি ফোন কল পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর রোহিতের সঙ্গে জিম্মি উদ্ধারে আলোচনা শুরু হলে তিনি শিশুদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করতে থাকেন। একসময় রোহিত শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়, তখন পুলিশ ওই স্টুডিওর বাথরুম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং নিরাপদে ১৭ শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এদিকে, এ ঘটনার আগে রোহিত একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, তিনি ‘আত্মহত্যা করার বদলে’ এই পথ বেছে নিয়েছেন। ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি রোহিত আর্য। আত্মহত্যা না করে আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে জিম্মি করে রেখেছি।’ এরপর তিনি তাঁর দাবিগুলোকে ‘সাধারণ দাবি, নৈতিক দাবি, নীতিগত দাবি এবং কয়েকটি প্রশ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সামান্যতম ভুল পদক্ষেপ আমাকে ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।’ এ সময় তিনি ওই স্টুডিওতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, তিনি টাকাপয়সা চান না এবং তিনি ‘সন্ত্রাসী নন’।

ভিডিওতে রোহিত বলেন, ‘আমি কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আর সেই কারণেই আমি এই শিশুদের জিম্মি করেছি। যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি এটা করব; যদি মারা যাই, অন্য কেউ এটা করবে, কিন্তু এটা অবশ্যই ঘটবে।’

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিকের পাত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ ধারণা, রোহিত এসব দেখিয়েই প্রথমে তাদের ভয় দেখান। জানা গেছে, জিম্মি শিশুরা একটি ওয়েব সিরিজের অডিশনের জন্য পাওয়াইয়ের ওই আবাসিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত আরএ স্টুডিওতে এসেছিল।

এর আগে রোহিত অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ‘মাই স্কুল, বিউটিফুল স্কুল’ কর্মসূচির অধীনে ‘পিএলসি স্যানিটেশন মনিটর প্রজেক্ট’ নামে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রচারণার জন্য শিক্ষা বিভাগ তাঁর বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেনি। রোহিত দাবি করেন, তাঁর ‘লেটস চেঞ্জ’ (Lets Change) প্রচারণার অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল স্কুলছাত্রদের ‘পরিচ্ছন্নতার দূত’ হিসেবে তৈরি করা।

তাঁর এই কাজের জন্য স্থানীয় শিক্ষা বিভাগ দুই কোটি রুপি অনুমোদন করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তাঁকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি। ওই বছর রোহিত দুবার অনশনও করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকারের ব্যক্তিগত আশ্বাস সত্ত্বেও কর্মকর্তারা তাঁকে কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়, রোহিত আর্য ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, সরকারি প্রকল্পের বকেয়া দুই কোটি টাকা না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে রোহিত এমন পদক্ষেপ নেন। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

করুণ পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে যুদ্ধে অস্বীকৃতি জানানো রুশ সেনারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া অঞ্চলে দুই রুশ সেনা। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া অঞ্চলে দুই রুশ সেনা। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ইউক্রেন যুদ্ধে লড়তে অস্বীকার করা রুশ সেনাদের নিজ কমান্ডাররা নির্যাতন ও হত্যা করছেন—এমন ভয়াবহ অভিযোগ উঠে এসেছে স্বাধীন রুশ সংবাদমাধ্যম ভার্স্তকা-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীর ভেতরে এখন এমন এক সহিংস সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে অবাধ্যতা মানে মৃত্যুদণ্ড বা আত্মঘাতী যুদ্ধে পাঠানো।

তদন্তে ১০১ জন রুশ কমান্ডারের নাম উঠে এসেছে, যারা নিজেদের সেনাদের হত্যা, নির্যাতন বা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। ভার্স্তকা অন্তত ১৫০টি মৃত্যুর ঘটনা যাচাই করতে পেরেছে, যদিও তাদের ধারণা প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। প্রমাণ হিসেবে তারা ব্যবহার করেছে ভিডিও ফুটেজ, সেনাদের পরিবার ও সহযোদ্ধাদের সাক্ষ্য এবং সরকারি অভিযোগের নথি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে ফিরতে চাওয়া বা আদেশ অমান্যকারী সেনাদের বিশেষভাবে নিয়োগ করা ‘এক্সিকিউশন শুটার’ দিয়ে গুলি করে হত্যা করাতেন অনেক কমান্ডার। পরে নিহতদের দেহ নদীতে বা অগভীর গর্তে ফেলে দেওয়া হতো, আর রেকর্ডে দেখানো হতো—যুদ্ধে নিহত।

আরও ভয়ংকর তথ্য হলো—যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছু হটে আসছে এমন সেনাদের ওপর ড্রোন থেকে গ্রেনেড ফেলে হত্যা করা হয়েছে, যেন তা শত্রুপক্ষের হামলা মনে হয়।

ভার্স্তকা আরও জানায়, অনেক সেনাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। লোহার খাঁচায় ফেলে রাখা, পানি ঢেলে মারধর, কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা—এই সব ঘটনা খুবই সাধারণ চিত্র। কিছু ক্ষেত্রে সেনাদের বাধ্য করা হতো একে অপরের সঙ্গে প্রাণঘাতী লড়াইয়ে, অনেকটা ‘গ্ল্যাডিয়েটর স্টাইলে’।

ইউক্রেনীয় পর্যবেক্ষকেরা গত মে মাসে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায়—দুই অর্ধনগ্ন রুশ সৈন্য একটি গর্তের মধ্যে একে অপরকে মারছে, আর পাশে এক কর্মকর্তা চিৎকার করছেন, ‘যে মেরে ফেলতে পারবে, সে মুক্তি পাবে।’

প্রতিবেদনটিতে আরেকটি উদ্বেগজনক দিক উন্মোচিত হয়েছে—কমান্ডারদের আর্থিক চাঁদাবাজি। অনেক সেনাকে জানানো হয়, বিপজ্জনক ও আত্মঘাতী মিশনে যাওয়ার হাত বাঁচতে হলে ঘুষ দিতে হবে। যারা ঘুষ দিতে পারেনি, তাদের করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।

ভার্স্তকা-এর তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার সেনা ও তাদের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। এর মধ্যে ১২ হাজার অভিযোগই নিজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

এদিকে রাশিয়ার একটি সামরিক প্রসিকিউটর সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্তে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে, অভিযোগ যতই গুরুতর হোক, তাদের দায়মুক্তিই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে স্ত্রী খ্রিষ্টান হবে—আশা জে ডি ভ্যান্সের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৯
প্রার্থনারত জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স। ছবি: সংগৃহীত
প্রার্থনারত জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, তিনি চান একদিন তাঁর হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা স্ত্রী উষা ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মান্তরিত হবেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর) মিসিসিপিতে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

ভ্যান্স বলেন, ‘বেশির ভাগ রোববারেই উষা আমার সঙ্গে গির্জায় যায়। আমি তাকে আগেও বলেছি, আজও বলছি—আমি সত্যিই চাই, একদিন সে গির্জায় আমার মতোই খ্রিষ্টের বাণীতে অনুপ্রাণিত হোক। কারণ আমি খ্রিষ্টীয় সুসমাচারে বিশ্বাস করি এবং চাই, একদিন আমার স্ত্রীও সেই বিশ্বাস উপলব্ধি করুক।’

তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর স্ত্রীর ধর্ম তাঁর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে না। ভ্যান্সের ভাষায়, ‘যদি সে খ্রিষ্টধর্মে না আসে, তাতেও সমস্যা নেই। ঈশ্বর সবাইকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন। এই বিষয়গুলো আপনি পরিবার ও ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে মেলামেশার মধ্য দিয়েই সমাধান করেন।’

২০১৯ সালে জেডি ভ্যান্স খ্রিষ্টধর্মে (ক্যাথলিক) ধর্মান্তরিত হন। তিনি জানান, স্ত্রী উষার সঙ্গে পরিচয়ের সময় তিনি ছিলেন নাস্তিক বা সংশয়বাদী। বর্তমানে তাঁদের সন্তানেরা খ্রিষ্টীয় শিক্ষায় বেড়ে উঠছে এবং একটি খ্রিষ্টান স্কুলে পড়ছে।

ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘আমি মনে করি, খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধই আমেরিকার ভিত্তি। কেউ যদি বলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, তবে বুঝতে হবে তারা কিছু বিক্রি করতে এসেছে। আমি অন্তত সৎভাবে বলি—খ্রিষ্টীয় ভিত্তি এই দেশের জন্য কল্যাণকর।’

ভ্যান্সের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসীদের (বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসাধারীদের) বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব বেড়েছে। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষে মার্কিন রাজনীতিক তুলসি গ্যাবার্ড ও এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল শুভেচ্ছা জানালে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের উদ্দেশে ‘ইন্ডিয়ায় চলে যাও’ বা ‘যিশুর পথে ফিরে এসো’ ধরনের মন্তব্য করেছেন।

এদিকে ধর্ম, পরিবার ও ব্যক্তিগত বিশ্বাসের সমন্বয়ে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে আসছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত