Ajker Patrika

জাতীয় ঐক্য গড়তে হাজারো রাজবন্দীকে মুক্তি দিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ০৪
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তো। ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তো। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তোর সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার শত শত বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রাজনৈতিক মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের পাশাপাশি বিরোধী নেতারাও রয়েছেন। মূলত, দেশটিতে জাতীয় ঐক্যের অংশ হিসেবে এসব রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সুফমি দাসকো আহমাদ এবং আইনমন্ত্রী সুপ্রাতমান আন্দি আগতাস জানান, প্রেসিডেন্ট একটি প্রেসিডেনশিয়াল ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন। এতে প্রথম দফায় ১ হাজার ১৭৮ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।

অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই প্রেসিডেন্ট সুবিয়ান্তো ঘোষণা দেন, তিনি সারা দেশে প্রায় ৪৪ হাজার বন্দীকে ক্ষমা করে দিতে চান। এই বন্দীদের অনেকে রাজনৈতিক কারণে বন্দী। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দেশের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতেই এ সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আগতাস জানান, রাজনৈতিক বন্দী, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ বন্দী, প্রবীণ, কিশোর এবং যারা ধর্ম বা রাষ্ট্রপতির অবমাননায় সাজা পেয়েছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার যাঁরা মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন হাস্তো ক্রিস্তিয়ানতো। তিনি ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র আনুষ্ঠানিক বিরোধী দল ইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি অব স্ট্রাগলের মহাসচিব। সাবেক প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। পরে সমালোচকে পরিণত হলে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়।

২০১৯ সালের এক সংসদীয় আসনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে তাঁকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ জাকার্তার দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের কারাগারে ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে হাস্তো বলেন, ‘এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’

এ ছাড়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টম লেমবংয়ের বিরুদ্ধে চলমান মামলাও বন্ধ করা হয়েছে। তিনিও একসময় উইদোদোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী আনিস বাসওয়েদানকে সমর্থন করেন। চিনি আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গত জুলাই মাসে তাঁকে চার বছরের বেশি সাজা দেওয়া হয়।

আইনমন্ত্রী আগতাস বলেন, ‘হাস্তো ও লেমবং—দুজনই দেশের জন্য কাজ করেছেন। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো জাতীয় ঐক্যকে শক্ত করা।’

মুক্তি পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন—পশ্চিম পাপুয়ার ছয়জন স্বাধীনতাকামী আন্দোলনকর্মী। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁরা কারাগারে ছিলেন। আইনমন্ত্রী আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় আরও ১ হাজার ৬৬৮ জন বন্দীকে মুক্তি দিতে একটি তালিকা শিগগিরই পার্লামেন্টে পেশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলাচিঠি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত