Ajker Patrika

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্লোভেনিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ছবি: এএফপি
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র আমদানি, রপ্তানি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্লোভেনিয়া। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো এমন সিদ্ধান্ত নিল মধ্য ইউরোপের এই রাষ্ট্রটি। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব এ ঘোষণা দেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে রবার্ট গোলোব বলেন, ‘স্লোভেনিয়া হচ্ছে প্রথম ইউরোপীয় দেশ, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র আমদানি, রপ্তানি ও ট্রানজিট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।’’

স্লোভেনিয়া সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইইউ অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে স্লোভেনিয়া স্বাধীনভাবে এগিয়ে এসেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজায় প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। কারণ, সেখানে মানবিক সহায়তা পরিকল্পিতভাবে ঠেকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত, প্রয়োজনে অন্যদের আগে গিয়ে হলেও অবস্থান স্পষ্ট করা।’

স্লোভেনিয়া সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধের কারণে তারা আর ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির অনুমতি দেয়নি।

এর আগে, গত জুলাইয়ের শুরুতে ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রীকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে স্লোভেনিয়া। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। ওই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘চরম সহিংস উসকানি ও ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন’ এবং “গণহত্যামূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

চলতি বছরের জুনে স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্ট ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। এর আগে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন একই পদক্ষেপ নেয়। গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনার প্রেক্ষিতেই এসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সম্প্রতি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডাও জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তবে ইসরায়েল এসব ঘোষণাকে ‘হামাসকে পুরস্কৃত করার পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই স্বীকৃতি দেওয়া সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে।

মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ২২ মাস ধরে চলা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরোধের কারণে খাদ্য, ওষুধ ও পানির সংকটে মৃত্যুর মুখে আরও অনেক মানুষ।

এ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে।

অন্যদিকে, পুরো যুদ্ধকালেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পাশে আছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে “পুরস্কার” দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যবসায়ীকে বালুতে পুঁতে রেখে ‘৪ কোটি টাকা আদায়’

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

একে একে আট বিয়ে, নয়বারের বেলায় গ্রেপ্তার ‘লুটেরা দুলহান’

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত