পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
আজ শনিবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাপক নির্বাচনী কারচুপিতে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় তিনি ‘অনুতপ্ত’ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে চাথা নিজ শহরবাসীর প্রতি অবিচার করেছেন স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে জাতীয় পরিষদের ১৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে ১১টি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রার্থী জিতেছেন। বাকি দুটোর মধ্যে একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অপরটিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রার্থী জিতেছে। বিভাগটিতে ২৭টি প্রাদেশিক আসন রয়েছে। যেখানে পিএমএল-এন ১৫টি এবং ১১টি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে।
চাথা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর পুলিশ প্রথমে বলেছিল, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পরে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের মুখপাত্র এই দাবি থেকে সরে এসে জানিয়েছেন, ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার চাথা রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে কারচুপির দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে বলেন, ‘আমরা ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিতদের বিজয়ী ঘোষণা করেছি। আমি আমার বিভাগের রিটার্নিং অফিসারদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অধীনস্থদের অনেকেই কারচুপির নির্দেশ পেয়ে কেঁদেছেন তখন।’
চাথা দাবি করেন, ‘আজও নির্বাচনী কর্মীরা ব্যালট পেপারে জাল স্ট্যাম্প লাগাচ্ছেন। আমরা দেশের প্রতি অন্যায় করেছি...আমাকে রাওয়ালপিন্ডির কাচেরি চকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে নানা পোস্ট এবং বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের পীড়নে আজ শনিবার সকালে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানান।
চাথা বলেন, ‘এটি অজানা নয় যে কে এই ধরনের অন্যায় করছে এবং এর পেছনে কারা রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে যেই ১৩ জাতীয় পরিষদের প্রার্থী হেরেছেন, তাঁরা ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।’
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের দাবি প্রত্যাখ্যান
এদিকে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) রাওয়ালপিন্ডি কমিশনারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা ফলাফল হেরফের করতে তাঁকে নির্দেশ দেননি।
নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিভাগীয় কমিশনাররা কোনো জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নন। নির্বাচন পরিচালনায় তাঁদের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই। এরপরও নির্বাচন কমিশন দ্রুত এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করবে।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহসিন নাকভি এই অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
আজ শনিবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাপক নির্বাচনী কারচুপিতে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় তিনি ‘অনুতপ্ত’ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে চাথা নিজ শহরবাসীর প্রতি অবিচার করেছেন স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে জাতীয় পরিষদের ১৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে ১১টি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রার্থী জিতেছেন। বাকি দুটোর মধ্যে একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অপরটিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রার্থী জিতেছে। বিভাগটিতে ২৭টি প্রাদেশিক আসন রয়েছে। যেখানে পিএমএল-এন ১৫টি এবং ১১টি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে।
চাথা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর পুলিশ প্রথমে বলেছিল, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু পরে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের মুখপাত্র এই দাবি থেকে সরে এসে জানিয়েছেন, ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার চাথা রাওয়ালপিন্ডি বিভাগে কারচুপির দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে বলেন, ‘আমরা ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিতদের বিজয়ী ঘোষণা করেছি। আমি আমার বিভাগের রিটার্নিং অফিসারদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অধীনস্থদের অনেকেই কারচুপির নির্দেশ পেয়ে কেঁদেছেন তখন।’
চাথা দাবি করেন, ‘আজও নির্বাচনী কর্মীরা ব্যালট পেপারে জাল স্ট্যাম্প লাগাচ্ছেন। আমরা দেশের প্রতি অন্যায় করেছি...আমাকে রাওয়ালপিন্ডির কাচেরি চকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে নানা পোস্ট এবং বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের পীড়নে আজ শনিবার সকালে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানান।
চাথা বলেন, ‘এটি অজানা নয় যে কে এই ধরনের অন্যায় করছে এবং এর পেছনে কারা রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে যেই ১৩ জাতীয় পরিষদের প্রার্থী হেরেছেন, তাঁরা ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।’
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের দাবি প্রত্যাখ্যান
এদিকে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) রাওয়ালপিন্ডি কমিশনারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা ফলাফল হেরফের করতে তাঁকে নির্দেশ দেননি।
নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিভাগীয় কমিশনাররা কোনো জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নন। নির্বাচন পরিচালনায় তাঁদের সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই। এরপরও নির্বাচন কমিশন দ্রুত এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করবে।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহসিন নাকভি এই অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩২ মিনিট আগেকেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে, ইসরায়েলি সেনারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং একাধিকবার গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ঘটনায় রোববার ইসরায়েল দাবি করে, হামাস যোদ্ধারা রাফাহে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের কমিশন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এই যুদ্ধে ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনারা রোববার অভিযোগ করে, হামাস চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং রাফাহে গোষ্ঠীটি তাদের দুই সেনাকে হত্যা করেছে। এরপর ইসরায়েল গাজা অঞ্চলে ‘বিশাল ও ব্যাপক’ হামলা চালায়। হামাসের সশস্ত্র শাখা ক্বাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা কোনো সংঘর্ষের খবর জানে না। তারা আরও জানিয়েছে, রাফাহ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের সশস্ত্র শাখার কোনো যোদ্ধার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই।
এর আগেও, হামাসকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হামাস ২৮ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করছে। এই বন্দীরা মূলত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মারা গেছেন। হামাস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় এসব বন্দীর লাশ ধ্বংসস্তূপের অনেক গভীরে চাপা পড়ে গেছে। এ জন্য ভারী খনন সরঞ্জামের প্রয়োজন, যাতে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারে। হামাস ইসরায়েলিদের মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে পেয়েছে।
যুদ্ধবিরতির শর্ত কী ছিল
যুক্তরাষ্ট্র সেপ্টেম্বরের শেষে কাতার, মিসর ও তুরস্কের সহায়তায় একটি ২০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে। শর্তাবলি ছিল—১. গাজায় ইসরায়েল ও হামাস উভয়ের আগ্রাসন শেষ হবে; ২. ইসরায়েল গাজায় সব সাহায্য প্রবেশ এবং বিতরণে বাধা দেবে না; ৩. হামাস সব বন্দীকে মুক্তি দেবে—জীবিত বা মৃত; ৪. ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী ও নিখোঁজদের মুক্তি দেবে; ৫. হামাস গাজার শাসন থেকে সরে যাবে, যা একটি প্রযুক্তিভিত্তিক সরকারের হাতে হস্তান্তর হবে; ৬. ইসরায়েলি বাহিনী পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে সরে যাবে এবং ৭. হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে, কিছু সদস্যকে ক্ষমা এবং অন্যদের নিরাপদ স্থানান্তর।
হামাস শর্তগুলোর মধ্যে জিম্মি মুক্তি ও গাজার শাসন ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের’ হাতে দেওয়ার শর্ত মেনে নিয়েছে। বাকি শর্তগুলো ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামোর মধ্যে সমাধান করা হবে, যার অংশ আমরা হব এবং অবদান রাখব’ বলে উল্লেখ করেছে।
ইসরায়েল কি শর্ত মেনে চলেছে?
গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয় বলছে, ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা এক বেসামরিক গাড়িতে গুলি চালিয়ে আবু শাবান পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করে। গাড়িতে ছিল সাত শিশু এবং তিন নারী। পরিবারটি বাড়ি ফিরছিল।
রোববার ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে বহু লোককে হত্যা করে। সোমবার, আবার চুক্তি মানার ঘোষণা দেওয়ার পরও, উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। ইসরায়েল ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমেও বাধা দিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রেখেছিল এবং জাতিসংঘকে জানিয়েছে তারা কেবল দৈনিক ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে, যা চুক্তিতে উল্লেখিত সংখ্যার অর্ধেক।
হামাস কি শর্ত মেনে চলেছে?
হামাস জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছে। হামাস বারবার বলেছে, তারা চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে বিশাল ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন। নতুন সরঞ্জাম এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া কাজ ধীর গতিতে হবে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি মৃত ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে কি?
প্রকৃতপক্ষে, খুব কম পরিমাণ সাহায্যই পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংস হয়েছে। অনেকেরই নিজের বাড়ি কোথায় তা বোঝা কঠিন। এ ছাড়া, চুক্তিতে নির্ধারিত ‘অদৃশ্য হলুদ রেখা’ পার করলে গুলি খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রায় ৫৮ শতাংশ গাজা এই রেখার বাইরে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনো তীব্রভাবে স্বল্প।
ইসরায়েল ঘোষণা দেয়নি কবে তারা পুরোপুরি বাহিনী সরাবে। তারা বলেছে, পুনরুত্থিত সন্ত্রাসের হুমকি না থাকা পর্যন্ত একটি বাফার জোন রাখা হতে পারে।
যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে না কি এখনো কার্যকর?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর। ইসরায়েলি সেনারা রোববার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আবার শুরু হয়েছে এবং সাহায্য প্রবাহও পুনরায় কার্যকর। হামাস বলেছে, তারা এখনো চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করছে। তবে এত কিছুর পরও ইসরায়েলের কার্যক্রম আসলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে আদৌ যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে কি না।
গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে, ইসরায়েলি সেনারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং একাধিকবার গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ঘটনায় রোববার ইসরায়েল দাবি করে, হামাস যোদ্ধারা রাফাহে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের কমিশন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এই যুদ্ধে ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনারা রোববার অভিযোগ করে, হামাস চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং রাফাহে গোষ্ঠীটি তাদের দুই সেনাকে হত্যা করেছে। এরপর ইসরায়েল গাজা অঞ্চলে ‘বিশাল ও ব্যাপক’ হামলা চালায়। হামাসের সশস্ত্র শাখা ক্বাসাম ব্রিগেড জানায়, তারা কোনো সংঘর্ষের খবর জানে না। তারা আরও জানিয়েছে, রাফাহ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের সশস্ত্র শাখার কোনো যোদ্ধার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই।
এর আগেও, হামাসকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, হামাস ২৮ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করছে। এই বন্দীরা মূলত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মারা গেছেন। হামাস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় এসব বন্দীর লাশ ধ্বংসস্তূপের অনেক গভীরে চাপা পড়ে গেছে। এ জন্য ভারী খনন সরঞ্জামের প্রয়োজন, যাতে তারা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারে। হামাস ইসরায়েলিদের মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে পেয়েছে।
যুদ্ধবিরতির শর্ত কী ছিল
যুক্তরাষ্ট্র সেপ্টেম্বরের শেষে কাতার, মিসর ও তুরস্কের সহায়তায় একটি ২০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে। শর্তাবলি ছিল—১. গাজায় ইসরায়েল ও হামাস উভয়ের আগ্রাসন শেষ হবে; ২. ইসরায়েল গাজায় সব সাহায্য প্রবেশ এবং বিতরণে বাধা দেবে না; ৩. হামাস সব বন্দীকে মুক্তি দেবে—জীবিত বা মৃত; ৪. ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী ও নিখোঁজদের মুক্তি দেবে; ৫. হামাস গাজার শাসন থেকে সরে যাবে, যা একটি প্রযুক্তিভিত্তিক সরকারের হাতে হস্তান্তর হবে; ৬. ইসরায়েলি বাহিনী পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে সরে যাবে এবং ৭. হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে, কিছু সদস্যকে ক্ষমা এবং অন্যদের নিরাপদ স্থানান্তর।
হামাস শর্তগুলোর মধ্যে জিম্মি মুক্তি ও গাজার শাসন ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের’ হাতে দেওয়ার শর্ত মেনে নিয়েছে। বাকি শর্তগুলো ‘একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামোর মধ্যে সমাধান করা হবে, যার অংশ আমরা হব এবং অবদান রাখব’ বলে উল্লেখ করেছে।
ইসরায়েল কি শর্ত মেনে চলেছে?
গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয় বলছে, ইসরায়েল ৮০ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা এক বেসামরিক গাড়িতে গুলি চালিয়ে আবু শাবান পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করে। গাড়িতে ছিল সাত শিশু এবং তিন নারী। পরিবারটি বাড়ি ফিরছিল।
রোববার ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে বহু লোককে হত্যা করে। সোমবার, আবার চুক্তি মানার ঘোষণা দেওয়ার পরও, উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। ইসরায়েল ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমেও বাধা দিয়েছে, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রেখেছিল এবং জাতিসংঘকে জানিয়েছে তারা কেবল দৈনিক ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে, যা চুক্তিতে উল্লেখিত সংখ্যার অর্ধেক।
হামাস কি শর্ত মেনে চলেছে?
হামাস জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছে। হামাস বারবার বলেছে, তারা চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে বিশাল ধ্বংসস্তূপে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন। নতুন সরঞ্জাম এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া কাজ ধীর গতিতে হবে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি মৃত ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
মানবিক সহায়তা পৌঁছেছে কি?
প্রকৃতপক্ষে, খুব কম পরিমাণ সাহায্যই পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংস হয়েছে। অনেকেরই নিজের বাড়ি কোথায় তা বোঝা কঠিন। এ ছাড়া, চুক্তিতে নির্ধারিত ‘অদৃশ্য হলুদ রেখা’ পার করলে গুলি খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রায় ৫৮ শতাংশ গাজা এই রেখার বাইরে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী এখনো তীব্রভাবে স্বল্প।
ইসরায়েল ঘোষণা দেয়নি কবে তারা পুরোপুরি বাহিনী সরাবে। তারা বলেছে, পুনরুত্থিত সন্ত্রাসের হুমকি না থাকা পর্যন্ত একটি বাফার জোন রাখা হতে পারে।
যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে না কি এখনো কার্যকর?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর। ইসরায়েলি সেনারা রোববার জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আবার শুরু হয়েছে এবং সাহায্য প্রবাহও পুনরায় কার্যকর। হামাস বলেছে, তারা এখনো চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করছে। তবে এত কিছুর পরও ইসরায়েলের কার্যক্রম আসলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে আদৌ যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে কি না।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
গত রোববার রাতে জ্যাক ডরসি এক্স-এ ছয় শব্দের একটি বার্তা পোস্ট করেন, ‘@RepThomasMassie for president. ’ (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থমাস ম্যাসিকে সমর্থন করি।)
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পায় পোস্টটি। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে লিবারটারিয়ান, ট্রাম্প সমর্থক এবং প্রগতিশীলদের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট পদে ডরসির সমর্থন করার পোস্টটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।
স্বতন্ত্র অবস্থান এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন বিরোধিতার জন্য পরিচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাসিরও নজরে পড়ে এই সমর্থন এবং তিনি দ্রুতই ডরসির সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান।
ম্যাসি লেখেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (POTUS) প্রার্থী হব বলে মনে হয় না, তবে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ@jack।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে খুশি হব যদি আমরা কংগ্রেসে আরও চার-পাঁচজন পাই, যারা কেবল তাদের দল যা বলে তা-ই সবসময় করে না।’
সিলিকন ভ্যালির এক বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং কেনটাকির গ্রাম থেকে উঠে আসা এক প্রকৌশলী-রাজনীতিকের অপ্রত্যাশিত জোটকে সামনে নিয়ে আসে এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনটি। মুহূর্তেই দিনের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটিতে পরিণত হয় এই সমর্থন।
৫৪ বছর বয়সী ম্যাসি কেনটাকির চতুর্থ কংগ্রেশনাল জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটনের সবচেয়ে স্বতন্ত্রচেতা রাজনীতিকদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেন্সএবল টেকনোলজিস নামে একটি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু করেন। এই কোম্পানি এমন একটি হ্যাপটিক ডিভাইস তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্পর্শের অনুভূতিতে ভার্চুয়াল বস্তু অনুভব করতে পারতেন।
নিজের অঙ্গরাজ্যে ফিরে ম্যাসি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চালিত একটি অফ-গ্রিড বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপরই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করেন ম্যাসি।
এরপর থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের পরিবহন ও বিচারবিষয়ক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং প্রায়ই বড় ব্যয় পরিকল্পনা ও দ্বিদলীয় বিলের বিপক্ষে ভোট দেন। এসব প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বা আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করেন তিনি।
নিজ দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়েছেন তিনি। ভিন্নমত পোষণের এই অভ্যাস ম্যাসিকে রিপাবলিকান ককাসে একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং একঘরে করেছে।
ম্যাসিকে সমর্থন জানানো ৪৮ বছর বয়সী ডরসিও প্রযুক্তি জগতে একই ধরনের স্বতন্ত্রতার পথ অনুসরণ করেছেন।
২০০৬ সালে টুইটার সহপ্রতিষ্ঠা করেন ডরসি। ২০২১ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকার এবং কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ, বাকস্বাধীনতার অধিকার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বারবার কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বেশ কিছু প্রথাবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন ডরসি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ডেমোক্র্যাট থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বেছে নেওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র; সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং এবং বর্তমান জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
সবশেষে রিপাবলিকান ম্যাসিকে সমর্থন ডরসির লিবারটারিয়ান ও স্বতন্ত্রচিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়াকেই প্রকাশ্যে এনেছে। ডরসি বারবারই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, সেটা হোক সিলিকন ভ্যালি বা ওয়াশিংটন।
বিটকয়েনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকল্প ব্লুস্কাই-এও বড় অঙ্কের অর্থায়ন করেছেন ডরসি। ব্লুস্কাইয়ে বিনিয়োগকে তিনি ‘ব্যবহারকারীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার’ উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
গত রোববার রাতে জ্যাক ডরসি এক্স-এ ছয় শব্দের একটি বার্তা পোস্ট করেন, ‘@RepThomasMassie for president. ’ (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থমাস ম্যাসিকে সমর্থন করি।)
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পায় পোস্টটি। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে লিবারটারিয়ান, ট্রাম্প সমর্থক এবং প্রগতিশীলদের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট পদে ডরসির সমর্থন করার পোস্টটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।
স্বতন্ত্র অবস্থান এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন বিরোধিতার জন্য পরিচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাসিরও নজরে পড়ে এই সমর্থন এবং তিনি দ্রুতই ডরসির সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান।
ম্যাসি লেখেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (POTUS) প্রার্থী হব বলে মনে হয় না, তবে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ@jack।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে খুশি হব যদি আমরা কংগ্রেসে আরও চার-পাঁচজন পাই, যারা কেবল তাদের দল যা বলে তা-ই সবসময় করে না।’
সিলিকন ভ্যালির এক বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং কেনটাকির গ্রাম থেকে উঠে আসা এক প্রকৌশলী-রাজনীতিকের অপ্রত্যাশিত জোটকে সামনে নিয়ে আসে এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনটি। মুহূর্তেই দিনের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটিতে পরিণত হয় এই সমর্থন।
৫৪ বছর বয়সী ম্যাসি কেনটাকির চতুর্থ কংগ্রেশনাল জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটনের সবচেয়ে স্বতন্ত্রচেতা রাজনীতিকদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেন্সএবল টেকনোলজিস নামে একটি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু করেন। এই কোম্পানি এমন একটি হ্যাপটিক ডিভাইস তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্পর্শের অনুভূতিতে ভার্চুয়াল বস্তু অনুভব করতে পারতেন।
নিজের অঙ্গরাজ্যে ফিরে ম্যাসি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চালিত একটি অফ-গ্রিড বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপরই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করেন ম্যাসি।
এরপর থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের পরিবহন ও বিচারবিষয়ক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং প্রায়ই বড় ব্যয় পরিকল্পনা ও দ্বিদলীয় বিলের বিপক্ষে ভোট দেন। এসব প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বা আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করেন তিনি।
নিজ দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়েছেন তিনি। ভিন্নমত পোষণের এই অভ্যাস ম্যাসিকে রিপাবলিকান ককাসে একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং একঘরে করেছে।
ম্যাসিকে সমর্থন জানানো ৪৮ বছর বয়সী ডরসিও প্রযুক্তি জগতে একই ধরনের স্বতন্ত্রতার পথ অনুসরণ করেছেন।
২০০৬ সালে টুইটার সহপ্রতিষ্ঠা করেন ডরসি। ২০২১ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকার এবং কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ, বাকস্বাধীনতার অধিকার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বারবার কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বেশ কিছু প্রথাবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন ডরসি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ডেমোক্র্যাট থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বেছে নেওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র; সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং এবং বর্তমান জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
সবশেষে রিপাবলিকান ম্যাসিকে সমর্থন ডরসির লিবারটারিয়ান ও স্বতন্ত্রচিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়াকেই প্রকাশ্যে এনেছে। ডরসি বারবারই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, সেটা হোক সিলিকন ভ্যালি বা ওয়াশিংটন।
বিটকয়েনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকল্প ব্লুস্কাই-এও বড় অঙ্কের অর্থায়ন করেছেন ডরসি। ব্লুস্কাইয়ে বিনিয়োগকে তিনি ‘ব্যবহারকারীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার’ উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩২ মিনিট আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩২ মিনিট আগেকেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
১ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলছে একের পর এক নাটকীয়তা। এবার দেশটির রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাথা নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪গাজায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আর এ কারণেই, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া অস্পষ্ট যুদ্ধবিরতি টিকে আছে না ভেস্তে গেছে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৩২ মিনিট আগেকেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে