Ajker Patrika

সহকর্মীদের গালি দিয়ে শাস্তি পেলেন এসপি হাসান নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪০
শেরপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
শেরপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নিজের অফিসের সহকর্মীদের গালাগালি করে তিরস্কার শাস্তি পেলেন শেরপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) আরআরএফ, সিলেটে কর্মরত, শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে নিজ অফিস কক্ষে অধস্তন পুলিশ বা সিভিল সদস্যদের উপস্থিতিতে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবৈধভাবে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে উক্ত ঘটনার এক দিন পর শেরপুর জেলার অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন অফিসারের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি পুলিশ লাইনসে সংরক্ষণ না করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের আদেশ বাতিল করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে অফিসে না যাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন; যা তাঁর (মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী) ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রচলিত আইন, বিধিবিধানসহ শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ সুপারের মতো দায়িত্বশীল পদে থেকে শেরপুর জেলার মাদক নির্মূলের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁর শ্যালক কাজী মাহমুদুল হাসান শুভ মাদক কারবারি অলক সাহার কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয়বার ফেনসিডিল কিনে তাঁর বন্ধুদের নিয়ে তাঁর সরকারি বাসভবনে অবস্থান করেন। ফেনসিডিল কেনা ও সেবনের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় কারণ দর্শানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন।

শুনানিকালে অভিযোগ ও লিখিত জবাব, উভয় পক্ষের বক্তব্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক প্রমাণ পর্যালোচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৭(২)(ঘ) বিধিমোতাবেক অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সব বিধিবিধান মেনে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) বিধি অনুসারে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হয়। পরে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত