Ajker Patrika

ইরানে বিস্ফোরণ: ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, নিহত বেড়ে ১৪

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৪১
কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে শহীদ রাজায়ী বন্দর ও আশপাশ। ছবি: এএফপি
কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে শহীদ রাজায়ী বন্দর ও আশপাশ। ছবি: এএফপি

ইরানের বন্দর শহীদ রাজায়ীতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে এবং আহত ৭ শতাধিক। ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানিয়েছে। ইরনার তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের ১০ ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ছড়াচ্ছে আগুন। কয়েক মাইল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কালো ধোঁয়া।

ধোঁয়ার তীব্রতায় ২৩ কিলোমিটার দূরের শহর হরমুজগান প্রদেশের রাজধানী বান্দার আব্বাসের স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট।

ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফারি বিস্ফোরণের জন্য শহীদ রাজায়ী বন্দরের কনটেইনারে রাসায়নিক সংরক্ষণকে দায়ী করেছেন। তিনি ইরনাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ ছিল কনটেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিক পদার্থ। সম্প্রতি সংকট ব্যবস্থাপনার মহাপরিচালক বন্দরটি সফর করেন। তখনই তিনি এ ধরনের বিপদের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।’

যদিও রাসায়নিকের রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিকেই প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে। তবে, এর পেছনে প্রকৃত কারণ কী তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র। ঘটনার আসল কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগুন নেভানো এবং তা অন্য অঞ্চলে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

গতকাল শনিবার ইরানের বৃহত্তম এই বাণিজ্যিক বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায় সেখানে। রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই বন্দর। তবে, এত ভয়াবহ বিস্ফোরণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বন্দর এলাকার তেল স্থাপনা। ন্যাশনাল ইরানিয়ান ওয়েল প্রোডাক্টস রিফাইনিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শহীদ রাজায়ী বন্দরের বিস্ফোরণ ও আগুনে কোম্পানিটির পরিশোধন কেন্দ্র, জ্বালানি ট্যাংক, বিতরণ কমপ্লেক্স এবং তেল পাইপলাইনের কোনো ক্ষতি হয়নি।

শহীদ রাজায়ী বন্দর থেকে মূলত কনটেইনার পরিবহন করা হয়ে থাকে। তবে এখানে তেলের ট্যাংক ও অন্যান্য পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই একই বন্দরে একটি বড় সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় বন্দরের কম্পিউটার সিস্টেম বিকল হয়ে কয়েক দিন পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। অনেকে গতকালের বিস্ফোরণেও ইসরায়েলের ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত