Ajker Patrika

ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো ক্রুজ মিসাইল 

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ইরানের নৌবাহিনীতে নিজেদের তৈরি নতুন সামরিক সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও সামরিক হেলিকপ্টার। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (ইরনা) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর নগরী কোনরাকে ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদোলরহিম মুসাভি, ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি এবং অন্যান্য সিনিয়র সামরিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে নৌবাহিনীকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। 

জানা গেছে, এর মধ্যে তালায়েহ কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, নাসির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও প্রথমবারের মতো দেশীয় ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থাসহ হেলিকপ্টার এবং পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হালকা সামরিক হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

আটটি লঞ্চারসহ সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল সিস্টেম, জামারান ডেস্ট্রয়ারে বসানো সানজার স্মার্ট লোটারিং ও সুইসাইড ড্রোন, ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ও নজরদারি অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত একটি বহুমুখী ড্রোন সিস্টেম, ডুবুরি সনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং বন্দরে ব্যবহৃত সিরভান টাগবোটও বাহিনীটিকে সরবরাহ করা হয়েছে। 

এক হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের তালায়েহ ক্ষেপণাস্ত্রকে স্মার্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে, যা ওড়ার সময় গতিপথ পরিবর্তন করে আঘাতের নতুন লক্ষ্য বেছে নিতে পারে। এটি ইরানের নৌবাহিনীর ‘নেদাজা’ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এদিকে ভারতের গুজরাট উপকূলে একটি রাসায়নিকবাহী ট্যাংকারে যে ড্রোন হামলা হয়েছে, সেটি ইরান থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনা লোহিত সাগরের বাইরেও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে তারা। 

গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গুজরাট উপকূলে জাপানি মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলেও তা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত