গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় নতুন বিধি জারি করেছে সৌদি আরব। গৃহকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও চুক্তি বহির্ভূত কাজ আদায়কারী নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এই বিধি জারি করেছে।
বিধিতে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে গৃহকর্তাদের এক বছরের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের ২ হাজার সৌদি রিয়াল বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ হাজার টাকার বেশি জরিমানা করা হবে। শিগগিরই এই বিধান কার্যকর হবে।
বিধানে নিয়োগকর্তার গোপনীয়তা রক্ষায় গৃহকর্মীদের বাধ্যবাধকতার কথাও বলা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে গৃহকর্মীর জন্যও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো গৃহকর্মী তাঁর নিয়োগকর্তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে তাঁকে ২ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করার ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। আর একাধিকবার বিধি লঙ্ঘন করলে কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং সেই খরচ তাঁকেই বহন করতে হবে। গৃহকর্মী জরিমানা দিতে অক্ষম হলে রাষ্ট্র নিজ খরচে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেবে।
বিধানে জোর দেওয়া হয়েছে যে, গৃহকর্মীকে অবশ্যই তাঁদের নিয়োগকর্তার সম্পত্তির মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তিনি নিয়োগকর্তার পরিবারের কোনো সদস্যদের ক্ষতি করলে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। নিয়োগকর্তা এবং পরিবার সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তাও তাঁকে রক্ষা করতে হবে।
বিধিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, জরিমানা ও দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার শাস্তি এড়াতে হলে অভিযুক্ত কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিতে উল্লেখিত নিয়ম–কানুন মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
নিয়োগকর্তা বিধান লঙ্ঘন করলে তাঁকে ২ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা বা এক বছরের জন্য গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অথবা উভয়ই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বারবার বিধি লঙ্ঘন করলে জরিমানা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত হবে। পাশাপাশি তিন বছর পর্যন্ত কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা পাবেন। এ ছাড়া পরপর তিনবার বিধি লঙ্ঘন করলে স্থায়ী নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারেন তিনি।
এতে আরও বলা হয়েছে, একেবারে প্রয়োজন না হলে কর্মীকে তাঁর সঙ্গে করা চুক্তির বাইরে কোনো কাজ করানো যাবে না। চুক্তি অনুযায়ী প্রদেশ মাসিক মজুরি নগদ বা ব্যাংক চেক অথবা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৯ ঘণ্টা তাঁকে বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে।
এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগুলো সৌদি আরবের শ্রম আইনের ৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের এমন কোনো কাজে নিযুক্ত করা যাবে না যা তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা মানবিক মর্যাদাকে বিপন্ন করে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে গৃহকর্মী নেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে সাত বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার তখন ২ লাখের বেশি নারীকর্মীর চাহিদা জানিয়েছিল। বিপরীতে বাংলাদেশ প্রতি মাসে ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী পাঠানোর কথা বলে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি গৃহকর্মী সৌদি আরবে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় নতুন বিধি জারি করেছে সৌদি আরব। গৃহকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও চুক্তি বহির্ভূত কাজ আদায়কারী নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এই বিধি জারি করেছে।
বিধিতে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে গৃহকর্তাদের এক বছরের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের ২ হাজার সৌদি রিয়াল বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ হাজার টাকার বেশি জরিমানা করা হবে। শিগগিরই এই বিধান কার্যকর হবে।
বিধানে নিয়োগকর্তার গোপনীয়তা রক্ষায় গৃহকর্মীদের বাধ্যবাধকতার কথাও বলা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে গৃহকর্মীর জন্যও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বলা হয়েছে, কোনো গৃহকর্মী তাঁর নিয়োগকর্তার গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে তাঁকে ২ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করার ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। আর একাধিকবার বিধি লঙ্ঘন করলে কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং সেই খরচ তাঁকেই বহন করতে হবে। গৃহকর্মী জরিমানা দিতে অক্ষম হলে রাষ্ট্র নিজ খরচে তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেবে।
বিধানে জোর দেওয়া হয়েছে যে, গৃহকর্মীকে অবশ্যই তাঁদের নিয়োগকর্তার সম্পত্তির মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তিনি নিয়োগকর্তার পরিবারের কোনো সদস্যদের ক্ষতি করলে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। নিয়োগকর্তা এবং পরিবার সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তাও তাঁকে রক্ষা করতে হবে।
বিধিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, জরিমানা ও দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার শাস্তি এড়াতে হলে অভিযুক্ত কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিতে উল্লেখিত নিয়ম–কানুন মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
নিয়োগকর্তা বিধান লঙ্ঘন করলে তাঁকে ২ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা বা এক বছরের জন্য গৃহকর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অথবা উভয়ই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বারবার বিধি লঙ্ঘন করলে জরিমানা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত হবে। পাশাপাশি তিন বছর পর্যন্ত কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা পাবেন। এ ছাড়া পরপর তিনবার বিধি লঙ্ঘন করলে স্থায়ী নিয়োগ নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারেন তিনি।
এতে আরও বলা হয়েছে, একেবারে প্রয়োজন না হলে কর্মীকে তাঁর সঙ্গে করা চুক্তির বাইরে কোনো কাজ করানো যাবে না। চুক্তি অনুযায়ী প্রদেশ মাসিক মজুরি নগদ বা ব্যাংক চেক অথবা তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৯ ঘণ্টা তাঁকে বিশ্রামের সুযোগ দিতে হবে।
এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগুলো সৌদি আরবের শ্রম আইনের ৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের এমন কোনো কাজে নিযুক্ত করা যাবে না যা তাঁদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা মানবিক মর্যাদাকে বিপন্ন করে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে গৃহকর্মী নেওয়ার জন্য চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে সাত বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার তখন ২ লাখের বেশি নারীকর্মীর চাহিদা জানিয়েছিল। বিপরীতে বাংলাদেশ প্রতি মাসে ১০ হাজার নারী গৃহকর্মী পাঠানোর কথা বলে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি গৃহকর্মী সৌদি আরবে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক নারী গৃহকর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে