সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের স্বপ্নের শহর ‘নিওম মেগা সিটি’ প্রকল্পের বিরোধিতা করায় তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি সরকার। তাঁরা এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডিজিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, জাতিসংঘের বিবৃতিটি এ সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেরর বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট শাদলি আল হুওয়াইতি, ইব্রাহিম আল হুওয়াইতি ও আতাউল্লাহ আল হুওয়াইতি নামের তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেন সৌদি আরবের বিশেষ অপরাধ আদালত। এরপর তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁদের শাস্তি বহাল রাখেন আদালত।
মানবাধিকার সংস্থা এএলকিউএসটি জানিয়েছে, নিওম শহর থেকে তিন ব্যক্তিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যে রাজ্যগুলো এখনো মৃত্যুৎদণ্ড বাতিল করেনি, তারাই শুধু সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি না যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই তিন ব্যক্তি তেমন গুরুতর অপরাধ করেছেন।’
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন ব্যক্তিসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন আইন অনুযায়ী মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সন্ত্রাসবাদ কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। অপর তিন ব্যক্তিকে ২৭ থেকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিদাতা মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা হলেন—বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল, আইরিন খান, মরিস টিডবল বিঞ্জ, প্রিয়া গোপালান ম্যাথিউ গিলেট, গান্না ইউডকিভস্কা, মিরিয়াম এস্ট্রাদা কাস্টিলো, মুম্বা মালিলা, পিচামন ইওফ্যান্টং, দামিলোলা ওলাউয়ি, ফার্নান্দা হোপেনহাইম, রবার্ট ম্যাকোয়ালি, অ্যানকোয়েন, ফার্নান্ডা, ম্যাকওল্যাইন ও এলিস জিল এডওয়ার্ডস।
দেশের উত্তর-পূর্বে মরুভূমিতে নিওম মেগা সিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। এ জন্য সেখানে থাকা বাসিন্দাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সৌদি সরকার প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
সৌদি সরকার যে এলাকায় মেগা প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে বহু বছর ধরেই হুওয়াইতাত উপজাতির মানুষেরা বাস করেন। তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে সরকার। সৌদি সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ এলাকার জমি সংরক্ষণের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম আল হুওয়াইতি।
কিন্তু ওই এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষের সম্পূর্ণ সম্মতিতে সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে বলে মনে করেন না জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
বিতর্কিত নিওম প্রকল্পটি ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ভেতরে ১০টি অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনার ভেতর একটি স্কি রিসোর্ট তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এটি সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের স্বপ্নের প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হবে। এই প্রকল্পে জমি দিতে অস্বীকার করায় ২০২০ সালে হুওয়াইতাত উপজাতির এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের স্বপ্নের শহর ‘নিওম মেগা সিটি’ প্রকল্পের বিরোধিতা করায় তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি সরকার। তাঁরা এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডিজিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, জাতিসংঘের বিবৃতিটি এ সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেরর বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট শাদলি আল হুওয়াইতি, ইব্রাহিম আল হুওয়াইতি ও আতাউল্লাহ আল হুওয়াইতি নামের তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেন সৌদি আরবের বিশেষ অপরাধ আদালত। এরপর তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁদের শাস্তি বহাল রাখেন আদালত।
মানবাধিকার সংস্থা এএলকিউএসটি জানিয়েছে, নিওম শহর থেকে তিন ব্যক্তিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যে রাজ্যগুলো এখনো মৃত্যুৎদণ্ড বাতিল করেনি, তারাই শুধু সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দিতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি না যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই তিন ব্যক্তি তেমন গুরুতর অপরাধ করেছেন।’
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন ব্যক্তিসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন আইন অনুযায়ী মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সন্ত্রাসবাদ কিংবা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। অপর তিন ব্যক্তিকে ২৭ থেকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিদাতা মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা হলেন—বালাকৃষ্ণান রাজাগোপাল, আইরিন খান, মরিস টিডবল বিঞ্জ, প্রিয়া গোপালান ম্যাথিউ গিলেট, গান্না ইউডকিভস্কা, মিরিয়াম এস্ট্রাদা কাস্টিলো, মুম্বা মালিলা, পিচামন ইওফ্যান্টং, দামিলোলা ওলাউয়ি, ফার্নান্দা হোপেনহাইম, রবার্ট ম্যাকোয়ালি, অ্যানকোয়েন, ফার্নান্ডা, ম্যাকওল্যাইন ও এলিস জিল এডওয়ার্ডস।
দেশের উত্তর-পূর্বে মরুভূমিতে নিওম মেগা সিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। এ জন্য সেখানে থাকা বাসিন্দাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সৌদি সরকার প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
সৌদি সরকার যে এলাকায় মেগা প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে বহু বছর ধরেই হুওয়াইতাত উপজাতির মানুষেরা বাস করেন। তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে সরকার। সৌদি সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ এলাকার জমি সংরক্ষণের ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম আল হুওয়াইতি।
কিন্তু ওই এলাকার তিনটি গ্রামের মানুষের সম্পূর্ণ সম্মতিতে সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে বলে মনে করেন না জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ওই এলাকার বাসিন্দাদের জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
বিতর্কিত নিওম প্রকল্পটি ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ভেতরে ১০টি অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনার ভেতর একটি স্কি রিসোর্ট তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এটি সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের স্বপ্নের প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হবে। এই প্রকল্পে জমি দিতে অস্বীকার করায় ২০২০ সালে হুওয়াইতাত উপজাতির এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ‘ভারতের প্রোপাগান্ডা উন্মোচন করতে’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলোতে একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত অভিষেকে গাজার জন্য প্রার্থনা এবং গরিবদের শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রথম মার্কিন পোপ লিও চতুর্দশ। গির্জার অভ্যন্তরে তিনি ঐক্যের আহ্বানও জানিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেএক দশকেরও বেশি সময় পর ইরানি হজযাত্রীদের জন্য আবারও ফ্লাইট চালু করেছে একটি সৌদি বিমান সংস্থা। এটি ইরান-সৌদি আরবের উষ্ণ সম্পর্কের আরেকটি স্পষ্ট লক্ষণ। সৌদি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইরানি হজযাত্রীদের জন্য...
১১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ‘অপারেশন গিদিয়নস চ্যারিয়ট’ নামে ভয়ংকর স্থল অভিযান শুরু করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইডিএফের নির্মম বোমাবর্ষণে গত কয়েক ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অকেজো হয়ে পড়েছে উত্তর গাজার সব সরকারি হাসপাতাল।
১১ ঘণ্টা আগে