অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার সূত্র ধরে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়েছে। উভয় দেশই যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইরানে ইসরায়েলি হামলার তুলনায় ইসরায়েলে ইরানি হামলার তীব্রতা বেশি।
তবে ইসরায়েলে ইরানি হামলা নির্বিচারে হওয়ায় তাতে প্রাণহানি ও আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গতকাল রোববার জানিয়েছে, গত শুক্রবার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাম্মাদজারানি ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একটা বড় অংশই নারী ও শিশু। তিনি বলেছেন, ‘এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এটি চাইনি।’
ফাতেমেহ মোহাম্মাদজারানি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক হামলায় ৪৫ জন নারী ও শিশু নিহত এবং আরও ৭৫ জন নারী ও শিশু আহত হয়েছে। নারী ও শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করা প্রমাণ করে যে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি মিথ্যা। কেরমানশাহের ফারাবি হাসপাতালে হামলা ইসরায়েলি শাসনের বর্বরতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। মসজিদগুলো মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রদেশগুলোতে সংকট কক্ষ গঠন করা হয়েছে।’
এদিকে জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জায়নবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। আজ সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যদি আপনি জাতিসংঘ সনদ, আইনের শাসন, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ নিরাপত্তাব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন, তাহলে এখনই আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। শুধু কথায় আর চলবে না, এখন সময় কার্যকর উদ্যোগের।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘জায়নবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপই প্রতিবাদের প্রথম ধাপ। বিশ্বকে জানিয়ে দিতে হবে যে এই আগ্রাসন ভিত্তিহীন। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।’
সম্মেলনে বাঘাই আরও বলেন, আগ্রাসী শক্তি ও ভুক্তভোগীদের একই কাতারে রাখা যায় না। মোড়ল শক্তিগুলোকে দ্বিচারিতা না করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। তারা ইস্পাহানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, চর্চা ও নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের সূচনা করেছে জায়নবাদীরা। তারা আমাদের বিজ্ঞানীদের এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে।’
এ সময় তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষের ছবি তুলে ধরেন। এসব ছবির মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুর ছবিও ছিল। তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী শক্তি বরাবরই নিরীহ শিশুদের হত্যায় অভ্যস্ত, ঠিক যেমনটি তারা গাজায় করছে।’
বাঘাই আরও বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা শুধু ইরানের বিরুদ্ধে নয়—এই হামলা মূলত মানবতার বিরুদ্ধেই। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অপরাধী গোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট আগ্রাসন। এর মাধ্যমে তারা মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আইনকেই চ্যালেঞ্জ করেছে।’
এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করেন, যাঁরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলেন, তাঁদের এখনই এই নিষ্ঠুর, নির্মম অপরাধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে—জায়নবাদীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে তাদের।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলার সূত্র ধরে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়েছে। উভয় দেশই যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইরানে ইসরায়েলি হামলার তুলনায় ইসরায়েলে ইরানি হামলার তীব্রতা বেশি।
তবে ইসরায়েলে ইরানি হামলা নির্বিচারে হওয়ায় তাতে প্রাণহানি ও আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গতকাল রোববার জানিয়েছে, গত শুক্রবার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাম্মাদজারানি ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একটা বড় অংশই নারী ও শিশু। তিনি বলেছেন, ‘এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এটি চাইনি।’
ফাতেমেহ মোহাম্মাদজারানি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক হামলায় ৪৫ জন নারী ও শিশু নিহত এবং আরও ৭৫ জন নারী ও শিশু আহত হয়েছে। নারী ও শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করা প্রমাণ করে যে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি মিথ্যা। কেরমানশাহের ফারাবি হাসপাতালে হামলা ইসরায়েলি শাসনের বর্বরতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। মসজিদগুলো মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রদেশগুলোতে সংকট কক্ষ গঠন করা হয়েছে।’
এদিকে জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জায়নবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। আজ সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যদি আপনি জাতিসংঘ সনদ, আইনের শাসন, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ নিরাপত্তাব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন, তাহলে এখনই আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। শুধু কথায় আর চলবে না, এখন সময় কার্যকর উদ্যোগের।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করানোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘জায়নবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপই প্রতিবাদের প্রথম ধাপ। বিশ্বকে জানিয়ে দিতে হবে যে এই আগ্রাসন ভিত্তিহীন। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।’
সম্মেলনে বাঘাই আরও বলেন, আগ্রাসী শক্তি ও ভুক্তভোগীদের একই কাতারে রাখা যায় না। মোড়ল শক্তিগুলোকে দ্বিচারিতা না করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। তারা ইস্পাহানসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, চর্চা ও নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের সূচনা করেছে জায়নবাদীরা। তারা আমাদের বিজ্ঞানীদের এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে।’
এ সময় তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষের ছবি তুলে ধরেন। এসব ছবির মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুর ছবিও ছিল। তিনি বলেন, ‘জায়নবাদী শক্তি বরাবরই নিরীহ শিশুদের হত্যায় অভ্যস্ত, ঠিক যেমনটি তারা গাজায় করছে।’
বাঘাই আরও বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা শুধু ইরানের বিরুদ্ধে নয়—এই হামলা মূলত মানবতার বিরুদ্ধেই। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অপরাধী গোষ্ঠীর সুনির্দিষ্ট আগ্রাসন। এর মাধ্যমে তারা মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আইনকেই চ্যালেঞ্জ করেছে।’
এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করেন, যাঁরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলেন, তাঁদের এখনই এই নিষ্ঠুর, নির্মম অপরাধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে—জায়নবাদীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে তাদের।
এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
৬ মিনিট আগেচলমান ইরান–ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন উত্তেজনা চরমে, তখন কূটনৈতিক বার্তা দিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সোমবার রাতে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই যুদ্ধ থামাতে চান, তবে ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোন কলই যথেষ্ট নেতানিয়
১২ মিনিট আগেতেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র আইআরআইবি-এর ভবনে ইসরায়েলের একটি বিমান হামলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলায় রেডিও ও টেলিভিশনের একাধিক কর্মী নিহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের একটি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের কাছ থেকে ‘উল্লাস ধ্বনি’ শোনা গেছে। এই ঘটনার পর ইসরায়েলের কারা বাহিনীর বিশেষ ‘মেটজাদা’ ইউনিটকে ডেকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সেলগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে