Ajker Patrika

গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মিসরকে হামাসের সবুজসংকেত 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ২১: ০৭
Thumbnail image

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাসের কাছ থেকে সবুজসংকেত পেয়েছে মিসর। এ ছাড়া, জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিবিনিময়ের বিষয়েও সবুজসংকেত দিয়েছে হামাস। উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে মিসরীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আল-ক্বাহিরা নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আল-ক্বাহিরার প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। 

কাতারের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরেই মিসর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রচেষ্টা হিসেবে কায়রো হামাস এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রের বরাত দিয়ে আল-ক্বাহিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হামাস নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে তাঁরা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি গুরুত্ব দিয়ে এবং ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র আল-ক্বাহিরা নিউজকে আরও জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত মতামত জানাবে। সূত্রটি বলেছে, মিসর হামাস নেতাদের যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। হামাসের কাছ থেকে কায়রো ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে, যা যুদ্ধবিরতির জন্য খুবই জরুরি। 

কাতারের রাজধানী দোহায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদুল রহমান আল থানি, হামাসের প্রতিনিধিদল এবং মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আব্বাস কামেল বৈঠক করেন কিছুদিন আগে। তার ঠিক কয়েক দিন পরই হামাসের তরফ থেকে এই অবস্থান জানানো হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ পেল। 

এদিকে, গত সপ্তাহের শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিন ধাপের একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রস্তাবটি ইতিবাচক না হলেও তারা সেটি মেনে নিতে প্রস্তুত। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পশ্চিমা বিশ্বের আরও ১৬ নেতা হামাসের প্রতি বাইডেনের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে দেশটির সাড়ে ১ হাজার ১০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৪২ জনকে জিম্মি করে আনে। এর প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার হামলা চালানো শুরু করে। যার ফলাফল হিসেবে অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে অন্তত ৮ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ হয়ে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত