Ajker Patrika

ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০: ২৬
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

দিনকে দিন যেন আরও বেশি আগ্রাসী হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা প্রতিদিনই গড়ছে নতুন নতুন রেকর্ড। প্রথমে খাবার দেওয়ার আশ্বাস, আর তারপর ত্রাণকেন্দ্রে ডেকে নিয়ে নির্বিচারে গুলি, বোমা বর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে নিরস্ত্র-অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের। বিশ্ববাসীর তীব্র নিন্দা-সমালোচনার পরও গত দুদিনে ত্রাণ নিতে যাওয়া ৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।

এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুর ওপর চালানো হামলায় নিহত হয়েছে একই পরিবারের ১৩ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনই শিশু।

হামলা হয়েছে মধ্য গাজায়ও। ওই হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে আটজন। বিমান হামলা চালানো হয়েছে গাজা সিটির আরেকটি স্কুলে, যেখানেও বাস্তুচ্যুতরা আশ্রিত ছিলেন। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তবে, সবচেয়ে বড় ও নৃশংস হামলাগুলো চালানো হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ—ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গেলেই ফিলিস্তিনিদের ওপর নিয়মিতভাবে গুলি বর্ষণ করে ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়াও, গাজার সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যখন মানুষজন জাতিসংঘের ট্রাক ঢোকার অপেক্ষায় ভিড় করে, তখনো একেবারেই অকারণে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাফাই—ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কেবল সতর্কতামূলক গুলি চালায় তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এই বিতর্কিত মানবিক সংস্থার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তোলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল এখনো ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা চলমান গণহত্যারই অংশ।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভাষ্য—জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা আসলে আন্তর্জাতিক চাপ সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি। আসলে জাতিসংঘ আলাদা করে বিতরণ করে এমন খাবার খুব অল্প পরিমাণে ঢুকতে দিচ্ছে ইসরায়েল। যাতে সবাইকে ইসরায়েলের জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রেই যেতে বাধ্য হতে হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল এমন একটা সামরিক নিয়ন্ত্রিত ত্রাণ ব্যবস্থা চালু রেখেছে, যেটা মূলত অকার্যকর, অমানবিক এবং বিপজ্জনক। এটি মূলত ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ফাঁদ।’

এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, অ্যামনেস্টি হামাসের সঙ্গে এক হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ: বরখাস্তের দণ্ড বদলে বাধ্যতামূলক অবসর

ভারত যে পারমাণবিক বোমা ফেলেনি, পাকিস্তানের বুঝতে সময় লেগেছে ৩০-৪৫ সেকেন্ড

‘ভিআইপি রুম না পেয়ে’ হোটেল বারে ভাঙচুর, যুবদলের পদ হারালেন মনির হোসেন

বিএনপি নেতার ছেলের নেতৃত্বে হামলার ৩৫ দিন পর মৃত্যু, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

ফরিদপুরে এ কে আজাদের বাড়ির সামনে বিএনপির মিছিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত