Ajker Patrika

গাজায় প্রথমবারের মতো বিমান থেকে ত্রাণ ছড়াল যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ১৪
Thumbnail image

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছে যুক্তরাজ্য। জর্ডানের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর গতকাল বুধবার জর্ডানের বিমানবাহিনী গাজা উপত্যকায় যুক্তরাজ্যের ওষুধ, খাবার, জ্বালানিসহ চার টন সরবরাহ পৌঁছে দেয়।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার উত্তরাঞ্চলে তাল আল-হাওয়া হাসপাতালে প্যারাস্যুটে করে এই প্যাকেজগুলো পাঠানো হয়।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, এই ত্রাণের সহায়তায় অনেকের প্রাণ বাঁচানো যাবে এবং হাসপাতালগুলো সচল রাখা যাবে। যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত গাজায় শুধু স্থল ও সমুদ্রপথেই ত্রাণ পাঠিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় পাঁচ মাস পরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার উত্তরাঞ্চলে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এরই মধ্যে বিশৃঙ্খলার কারণে অঞ্চলটিতে খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, এর গাড়িবহর বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ভারী উপস্থিতির কারণে অঞ্চলটি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে এবং এর স্থানীয়দের দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

তবে, উত্তর গাজায় এখনো তিন লাখ ফিলিস্তিনি আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে ভুগছে। জাতিসংঘ কয়েক মাস ধরেই অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্কতা জানিয়ে আসছে।

যুক্তরাজ্য ও জর্ডানের সরবরাহ করা এ ত্রাণের মধ্যে ছিল ডিজেল, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রোগী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য খাবার।

রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ার ফোর্সের হারকিউলিস বিমানটি সূর্যাস্তের পরপরই ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে দুই ধাপে চার টন ব্রিটিশ সহায়তা সরাসরি গাজার উত্তরাঞ্চলে ফেলে দেয়।

এই প্যাকেজগুলো যেন হাসপাতালেই পৌঁছে, তা নিশ্চিত করতে প্যারাস্যুট ও জিপিএস ট্র্যাকারের সঙ্গে বাঁধা ছিল।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সপ্তাহের শুরুতে তারা জর্ডানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্য গাজায় ১২ লাখ ডলার সমমূল্যের সহায়তা পাঠাবে।

চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, ‘এই ত্রাণের কারণে হাজার হাজার রোগী উপকৃত হবেন এবং জ্বালানি এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটির জীবন রক্ষাকারী কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তবে গাজার পরিস্থিতি বেশ নাজুক। এখানে আরও সহায়তা প্রয়োজন এবং তা দ্রুতই প্রয়োজন। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় অতিরিক্ত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে মানবিক বিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত