বৈশ্বিক একাডেমিয়ায় ইসরায়েলি গবেষকদের অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে বয়কট করা হচ্ছে। ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটিতে চিঠির আকারে একটি গবেষণাপত্র পাঠিয়ে এ কথা বলেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিলিয়ান রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। চিঠিতে বলা হয়েছে, একাডেমিক কনফারেন্সগুলোতে ইসরায়েলি গবেষকদের আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে। ইসরায়েলি গবেষকদের জন্য অনুদান এবং প্রকাশের জন্য জমা করা নিবন্ধও প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
ইসরায়েলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিলিয়ান রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, বৈশ্বিক ও পশ্চিমা একাডেমিয়ায় এই বয়কটের ফলে ইসরায়েলের বিজ্ঞান কার্যক্রম ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুদ্ধের সময়ে গবেষণা ও উন্নয়ন যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তা নিয়ে নেসেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটিতে আজ সোমবার একটি কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে। সে আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে কাউন্সিলের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর পেরেজ লেভি এবং কৌশলগত উপদেষ্টা ডেবি কাউফম্যানের লেখা এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও বিশ্বের মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সম্পর্কের প্রতিফলন বিশ্বব্যাপী নানা বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে গবেষকদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে দেখা যায়। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, স্নাতকোত্তর বৃত্তি, আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব স্বীকৃতি ও পরিচিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই সম্পর্ক নষ্ট হলে ইসরায়েলের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কাউন্সিল তাদের চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছে যে বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা স্বীকৃতি পেলেও কেবল ইহুদি-বিদ্বেষের কারণে বৈজ্ঞানিক অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
চলতি মাসের শুরুতে কাউন্সিল কর্তৃক অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘অভূতপূর্ব’ ইহুদি-বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে ইসরায়েল এবং ইহুদি ও ইসরায়েলিদের প্রতি ঘৃণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গবেষকদের অনানুষ্ঠানিকভাবে বয়কট শুরু হয়েছে—যা আগে কখনো দেখা যায়নি। বিভিন্ন যৌথ সম্মেলনের আমন্ত্রণ বাতিল, প্রকাশের জন্য নিবন্ধ প্রত্যাখ্যান, ইসরায়েলি গবেষকদের অনুদান প্রত্যাখ্যান এবং আরও অনেক ঘটনাতেই প্রতিফলিত হয়েছে এই বয়কটের ঘটনা।
ইসরায়েলের বৈজ্ঞানিক অবস্থানের প্রতি এই হুমকি মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কাউন্সিল। তারা বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বাজেট না কমানোর জন্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ গবেষণাকে সমর্থন করে এমন দ্বি-জাতীয় ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্থা সায়েন্সঅ্যাব্রোডের প্রধান প্রফেসর রিভকা কারমি ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। তিনি এ সম্পর্কে বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে এক ধরনের বয়কট হচ্ছে, আর এর শিকার ইসরায়েলিরা। এতে ইসরায়েলি গবেষণা বিপন্ন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ইহুদি ও ইসরায়েলি ছাত্রদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইহুদি ও ইসরায়েলি চিহ্নগুলো লুকোতে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বলা হয়েছিল। গবেষকরা মনে করছেন যে, ক্যাম্পাসে তাঁদের চলাফেরার অধিকার আর আগের মতো নেই।
এ অবস্থায় ইসরায়েলের গবেষকদের ইসরায়েলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রফেসর ড্যানিয়েল জেইফম্যান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জ্যেষ্ঠ অনেক ইহুদি বিজ্ঞানী আছেন, যাঁরা বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইহুদি বিদ্বেষের কারণে ইসরায়েলের একাডেমিতে যোগদান করতে পারেন। তাঁরা ইসরায়েলি একাডেমির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারেন।’
বৈশ্বিক একাডেমিয়ায় ইসরায়েলি গবেষকদের অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে বয়কট করা হচ্ছে। ইসরায়েলের আইনসভা নেসেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটিতে চিঠির আকারে একটি গবেষণাপত্র পাঠিয়ে এ কথা বলেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিলিয়ান রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। চিঠিতে বলা হয়েছে, একাডেমিক কনফারেন্সগুলোতে ইসরায়েলি গবেষকদের আমন্ত্রণ বাতিল করা হয়েছে। ইসরায়েলি গবেষকদের জন্য অনুদান এবং প্রকাশের জন্য জমা করা নিবন্ধও প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
ইসরায়েলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিলিয়ান রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, বৈশ্বিক ও পশ্চিমা একাডেমিয়ায় এই বয়কটের ফলে ইসরায়েলের বিজ্ঞান কার্যক্রম ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুদ্ধের সময়ে গবেষণা ও উন্নয়ন যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তা নিয়ে নেসেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটিতে আজ সোমবার একটি কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে। সে আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে কাউন্সিলের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর পেরেজ লেভি এবং কৌশলগত উপদেষ্টা ডেবি কাউফম্যানের লেখা এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও বিশ্বের মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সম্পর্কের প্রতিফলন বিশ্বব্যাপী নানা বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে গবেষকদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে দেখা যায়। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, স্নাতকোত্তর বৃত্তি, আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এসব স্বীকৃতি ও পরিচিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই সম্পর্ক নষ্ট হলে ইসরায়েলের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কাউন্সিল তাদের চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছে যে বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা স্বীকৃতি পেলেও কেবল ইহুদি-বিদ্বেষের কারণে বৈজ্ঞানিক অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
চলতি মাসের শুরুতে কাউন্সিল কর্তৃক অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘অভূতপূর্ব’ ইহুদি-বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে ইসরায়েল এবং ইহুদি ও ইসরায়েলিদের প্রতি ঘৃণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গবেষকদের অনানুষ্ঠানিকভাবে বয়কট শুরু হয়েছে—যা আগে কখনো দেখা যায়নি। বিভিন্ন যৌথ সম্মেলনের আমন্ত্রণ বাতিল, প্রকাশের জন্য নিবন্ধ প্রত্যাখ্যান, ইসরায়েলি গবেষকদের অনুদান প্রত্যাখ্যান এবং আরও অনেক ঘটনাতেই প্রতিফলিত হয়েছে এই বয়কটের ঘটনা।
ইসরায়েলের বৈজ্ঞানিক অবস্থানের প্রতি এই হুমকি মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কাউন্সিল। তারা বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার বাজেট না কমানোর জন্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ গবেষণাকে সমর্থন করে এমন দ্বি-জাতীয় ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার জন্য ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্থা সায়েন্সঅ্যাব্রোডের প্রধান প্রফেসর রিভকা কারমি ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। তিনি এ সম্পর্কে বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে এক ধরনের বয়কট হচ্ছে, আর এর শিকার ইসরায়েলিরা। এতে ইসরায়েলি গবেষণা বিপন্ন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ইহুদি ও ইসরায়েলি ছাত্রদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ইহুদি ও ইসরায়েলি চিহ্নগুলো লুকোতে এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বলা হয়েছিল। গবেষকরা মনে করছেন যে, ক্যাম্পাসে তাঁদের চলাফেরার অধিকার আর আগের মতো নেই।
এ অবস্থায় ইসরায়েলের গবেষকদের ইসরায়েলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রফেসর ড্যানিয়েল জেইফম্যান। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জ্যেষ্ঠ অনেক ইহুদি বিজ্ঞানী আছেন, যাঁরা বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইহুদি বিদ্বেষের কারণে ইসরায়েলের একাডেমিতে যোগদান করতে পারেন। তাঁরা ইসরায়েলি একাডেমির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারেন।’
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে