অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে সাধারণত অনৈক্য, দুর্বলতা বা অগ্রাধিকারের অভাব দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা আরও জটিল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান অনেকে জানালেও বেশির ভাগ আরব সরকারের অগ্রাধিকার হলো নিজেদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা; যেখানে ফিলিস্তিনের মুক্তি তাদের কাছে গৌণ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা গণহত্যার মুখেও আরব রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান ছিল দুর্বল। এটাকে বিশ্বাসঘাতকতাও বলা যেতে পারে। কিছু আরব দেশ (যেমন বাহরাইন) জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকেই এই সংঘাতের জন্য দায়ী করেছে। আর অন্যদের নিষ্ক্রিয়তা ওয়াশিংটনকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে আরও সাহসী করেছে।
মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক বব উডওয়ার্ডের বই ‘ওয়ার’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিছু আরব দেশ সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের শুধু একটাই আপত্তি ছিল, গণমাধ্যমে যেন নিহত ফিলিস্তিনিদের ছবি প্রকাশ করা না হয়। এতে তাদের দেশে জন-অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।’
আমরা সবাই জানি, আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য আছে। কিন্তু এটা আসলে ভণ্ডামি। ৪ মার্চ আরব লিগে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে মিসরের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের পক্ষে লবিং করেছিল বলে জানা গেছে। এটিই প্রমাণ করে, আরব দেশগুলোর ব্যর্থতা শুধু বিভেদ বা অদক্ষতার নয়, বরং একটি অন্ধকার রাজনৈতিক বাস্তবতা। যেখানে তাদের ঐক্যের অভ্যন্তরে আছে ভণ্ডামি, লোকদেখানো ভ্রাতৃত্বের কথা।
একই ঘটনা ঘটেছে রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) ক্ষেত্রেও। মাহমুদ আব্বাসের পিএ যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ দমন করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, হামাসকে প্রান্তিক করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা। আর ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই পিএ-কে ‘দুর্বল’ বলা ভুল; কারণ, তাদের স্বার্থই আলাদা।
আরও কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ হলেও তাদের মূল চিন্তা হলো ইরানের প্রতি শত্রুতা, হুতিদের হিজবুল্লাহর উত্থানের ভয়, আঞ্চলিক অস্থিরতায় নিজেদের ক্ষমতা ও অস্বস্তি হুমকির মুখে পড়া। তাই তারা বরাবরই চুপচাপ এবং নিষ্ক্রিয়।
বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়লেও আরব নেতৃত্ব ভয় পায়, রাজনৈতিক পরিবর্তন তাদের ক্ষমতাকে ঝুঁকিতে ফেলবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, ইসরায়েলের সমর্থন বা নিষ্ক্রিয়তা শেষ পর্যন্ত তাদের পতনই ডেকে আনতে পারে। তাই ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরব সরকারগুলোর ব্যর্থতা কেবল ঐক্যের অভাব নয়, বরং একটি গভীর রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এই অবস্থা বদলাতে হলে ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক সমর্থকদের আরব শাসকদের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে, যারা নিজেদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ইসরায়েলের সহিংসতাকে সমর্থন করছে।
মিডল ইস্ট মনিটর থেকে অনূদিত,
মূল লেখক: ড. রামজি বারুদ (মার্কিন-আরব সাংবাদিক ও লেখক)
ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে সাধারণত অনৈক্য, দুর্বলতা বা অগ্রাধিকারের অভাব দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা আরও জটিল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান অনেকে জানালেও বেশির ভাগ আরব সরকারের অগ্রাধিকার হলো নিজেদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা; যেখানে ফিলিস্তিনের মুক্তি তাদের কাছে গৌণ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা গণহত্যার মুখেও আরব রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান ছিল দুর্বল। এটাকে বিশ্বাসঘাতকতাও বলা যেতে পারে। কিছু আরব দেশ (যেমন বাহরাইন) জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকেই এই সংঘাতের জন্য দায়ী করেছে। আর অন্যদের নিষ্ক্রিয়তা ওয়াশিংটনকে ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে আরও সাহসী করেছে।
মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক বব উডওয়ার্ডের বই ‘ওয়ার’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিছু আরব দেশ সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তাদের শুধু একটাই আপত্তি ছিল, গণমাধ্যমে যেন নিহত ফিলিস্তিনিদের ছবি প্রকাশ করা না হয়। এতে তাদের দেশে জন-অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।’
আমরা সবাই জানি, আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য আছে। কিন্তু এটা আসলে ভণ্ডামি। ৪ মার্চ আরব লিগে গাজা পুনর্গঠন নিয়ে মিসরের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের পক্ষে লবিং করেছিল বলে জানা গেছে। এটিই প্রমাণ করে, আরব দেশগুলোর ব্যর্থতা শুধু বিভেদ বা অদক্ষতার নয়, বরং একটি অন্ধকার রাজনৈতিক বাস্তবতা। যেখানে তাদের ঐক্যের অভ্যন্তরে আছে ভণ্ডামি, লোকদেখানো ভ্রাতৃত্বের কথা।
একই ঘটনা ঘটেছে রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) ক্ষেত্রেও। মাহমুদ আব্বাসের পিএ যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ দমন করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, হামাসকে প্রান্তিক করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা। আর ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই পিএ-কে ‘দুর্বল’ বলা ভুল; কারণ, তাদের স্বার্থই আলাদা।
আরও কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ হলেও তাদের মূল চিন্তা হলো ইরানের প্রতি শত্রুতা, হুতিদের হিজবুল্লাহর উত্থানের ভয়, আঞ্চলিক অস্থিরতায় নিজেদের ক্ষমতা ও অস্বস্তি হুমকির মুখে পড়া। তাই তারা বরাবরই চুপচাপ এবং নিষ্ক্রিয়।
বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়লেও আরব নেতৃত্ব ভয় পায়, রাজনৈতিক পরিবর্তন তাদের ক্ষমতাকে ঝুঁকিতে ফেলবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, ইসরায়েলের সমর্থন বা নিষ্ক্রিয়তা শেষ পর্যন্ত তাদের পতনই ডেকে আনতে পারে। তাই ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরব সরকারগুলোর ব্যর্থতা কেবল ঐক্যের অভাব নয়, বরং একটি গভীর রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এই অবস্থা বদলাতে হলে ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক সমর্থকদের আরব শাসকদের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে, যারা নিজেদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ইসরায়েলের সহিংসতাকে সমর্থন করছে।
মিডল ইস্ট মনিটর থেকে অনূদিত,
মূল লেখক: ড. রামজি বারুদ (মার্কিন-আরব সাংবাদিক ও লেখক)
তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে এবার ইতি টানবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, কুরস্কের বাসিন্দারা এখনো ভরসা করতে পারছেন না ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে। কুরস্কের বাসিন্দা একাতেরিনা বলেন, ‘আমার মনে হয় না আমাদের অঞ্চলে...
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার আরও অঞ্চল দখল করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাস যদি বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করে তবে গাজা দখল করে নেওয়া হবে। লেবাননের...
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। কেবল গাড়ি নয়, গাড়ির খুচরা যন্ত্রপাতির ওপরও এই একই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হলো। বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, এর মধ্যে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে তুললেন।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন। বিশেষ করে তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক চাপ’ এবং ‘মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত সাইবার অভিযানের’ মতো বিষয়গুলো উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান হু
১২ ঘণ্টা আগে