অনলাইন ডেস্ক
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের কাছ থেকে আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইন। এবার তাঁদের বিয়ে বিচ্ছেদের মামলার রায় হলো। এতে প্রিন্সেস হায়ার নিরাপত্তা ও তাঁদের দুই ছেলের ভরণপোষণ বাবদ শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমকে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড (৭৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার) পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের মেয়ে ৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ড দিতে বলেছেন লন্ডন হাইকোর্ট।
শেখ মোহাম্মদ শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি ঘোড়দৌড়ের জগতেও প্রভাবশালী।
এ সম্পর্কিত আদেশে বিচারক ফিলিপ মুর বলেছেন, প্রিন্সেস হায়া ও এই দম্পতির দুই ছেলের আজীবন নিরাপত্তা ও তাদের ভরন-পোষণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দুই সন্তানের তাদের বাবার দিক থেকেই বড় ধরনের ‘ঝুঁকি’ রয়েছে উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কোনো পুরস্কারের কথা তিনি (প্রিন্সেস হায়া) বলছেন না। একই সঙ্গে তিনি শুধু বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য হওয়া তাঁর সম্পদহানির ক্ষতিপূরণ চাইছেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমকে তাঁর ৯ ও ১৪ বছর বয়সী দুই ছেলের শিক্ষাব্যয় বাবদ ২০ লাখ পাউন্ড এবং বকেয়া পরিশোধ বাবদ আরও ৯৬ লাখ পাউন্ড পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই ছেলেদের ভরন-পোষণ ও তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য বছরে আরও ১ কোটি ১২ লাখ পাউন্ড দিতে বলা হয়েছে। এই পুরো অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে এইচএসবিসি ব্যাংকে রক্ষিত তাঁর ২৯ কোটি পাউন্ডকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিবাহ বিচ্ছেদের এই মামলায় অবশ্য প্রিন্সেস হায়া ১৪০ কোটি পাউন্ডের দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বিচারে তিনি তা না পেলেও এটিই ব্রিটিশ পারিবারিক আদালতের রায়ে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় অঙ্কের বিচ্ছেদ নিষ্পত্তি।
সাত ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে প্রিন্সেস হায়া বলেন, এই অর্থের একটি বড় অংশই যাবে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার পেছনে। একই সঙ্গে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের প্রভাব থেকে নিজের ও তাঁর সন্তানদের জীবনকে মুক্ত করতে তাঁর এই আর্থিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই মুক্ত হতে চাই; আমি চাই আমার সন্তানেরাও মুক্ত থাকুক।’
এ রায়ের বিষয়ে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, শেখ মাকতুম বরাবরই তাঁর সন্তানদের প্রতি যত্নশীল। তিনি চান গণমাধ্যম তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান দেখাক।
এ ব্যাপারে প্রিন্সেস হায়ার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।
নিজের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনে পালিয়ে যান প্রিন্সেস হায়া। এর মাসখানেক পর তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। সে সময় প্রিন্সেস হায়া জানিয়েছিলেন, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম এর আগে তাঁর অন্য ঘরের দুই মেয়েকে নিজেই অপহরণ করিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাঁর ও তাঁর সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সে সময় লন্ডনের আদালত প্রিন্সেস হায়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আদেশ জারি করেন।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের কাছ থেকে আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সর্বকনিষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইন। এবার তাঁদের বিয়ে বিচ্ছেদের মামলার রায় হলো। এতে প্রিন্সেস হায়ার নিরাপত্তা ও তাঁদের দুই ছেলের ভরণপোষণ বাবদ শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমকে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড (৭৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার) পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের মেয়ে ৪৭ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ড দিতে বলেছেন লন্ডন হাইকোর্ট।
শেখ মোহাম্মদ শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি ঘোড়দৌড়ের জগতেও প্রভাবশালী।
এ সম্পর্কিত আদেশে বিচারক ফিলিপ মুর বলেছেন, প্রিন্সেস হায়া ও এই দম্পতির দুই ছেলের আজীবন নিরাপত্তা ও তাদের ভরন-পোষণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দুই সন্তানের তাদের বাবার দিক থেকেই বড় ধরনের ‘ঝুঁকি’ রয়েছে উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কোনো পুরস্কারের কথা তিনি (প্রিন্সেস হায়া) বলছেন না। একই সঙ্গে তিনি শুধু বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য হওয়া তাঁর সম্পদহানির ক্ষতিপূরণ চাইছেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমকে তাঁর ৯ ও ১৪ বছর বয়সী দুই ছেলের শিক্ষাব্যয় বাবদ ২০ লাখ পাউন্ড এবং বকেয়া পরিশোধ বাবদ আরও ৯৬ লাখ পাউন্ড পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই ছেলেদের ভরন-পোষণ ও তাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য বছরে আরও ১ কোটি ১২ লাখ পাউন্ড দিতে বলা হয়েছে। এই পুরো অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে এইচএসবিসি ব্যাংকে রক্ষিত তাঁর ২৯ কোটি পাউন্ডকে জামানত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিবাহ বিচ্ছেদের এই মামলায় অবশ্য প্রিন্সেস হায়া ১৪০ কোটি পাউন্ডের দাবি উত্থাপন করেছিলেন। বিচারে তিনি তা না পেলেও এটিই ব্রিটিশ পারিবারিক আদালতের রায়ে এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় অঙ্কের বিচ্ছেদ নিষ্পত্তি।
সাত ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে প্রিন্সেস হায়া বলেন, এই অর্থের একটি বড় অংশই যাবে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার পেছনে। একই সঙ্গে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের প্রভাব থেকে নিজের ও তাঁর সন্তানদের জীবনকে মুক্ত করতে তাঁর এই আর্থিক নিরাপত্তা প্রয়োজন। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই মুক্ত হতে চাই; আমি চাই আমার সন্তানেরাও মুক্ত থাকুক।’
এ রায়ের বিষয়ে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, শেখ মাকতুম বরাবরই তাঁর সন্তানদের প্রতি যত্নশীল। তিনি চান গণমাধ্যম তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান দেখাক।
এ ব্যাপারে প্রিন্সেস হায়ার আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।
নিজের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনে পালিয়ে যান প্রিন্সেস হায়া। এর মাসখানেক পর তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। সে সময় প্রিন্সেস হায়া জানিয়েছিলেন, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম এর আগে তাঁর অন্য ঘরের দুই মেয়েকে নিজেই অপহরণ করিয়েছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাঁর ও তাঁর সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। সে সময় লন্ডনের আদালত প্রিন্সেস হায়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আদেশ জারি করেন।
লিবিয়া থেকে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ বাংলাদেশির প্রাণহানি হয়েছে। ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আজ শনিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে দুজন এবং গাজা সিটিতে অন্য জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে হামাস।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক কঠোর পরিশ্রমের জন্য বিখ্যাত। সেই একই নীতি তিনি তাঁর সরকারি দায়িত্বেও প্রয়োগ করছেন। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর বেশ কয়েক দিন ওয়াশিংটনে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগেই (ডিওজিই) ঘুমিয়েছেন। আর এটি জানতে পেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্ককে হোয়াইট হা
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমলাদের দেশটির সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যভান্ডারে প্রবেশাধিকার স্থগিত করা হয়েছে। ইলন মাস্কের নেতৃত্বে মার্কিন সরকারি মানবসম্পদ বিভাগ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা তাঁর সহযোগীরা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন বলে জানা গেছে...
৭ ঘণ্টা আগে