Ajker Patrika

কেউ মিথ্যা বললে তা প্রকাশ পায় একটি বিশেষ অঙ্গে—দাবি এফবিআই বিশেষজ্ঞের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ২১: ০৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কেউ মিথ্যা বলছে কি না, তা বুঝতে আমরা অনেক সময় মুখের অভিব্যক্তি, চোখের চাহনি বা কথাবার্তার ভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করি। কিন্তু এফবিআই প্রশিক্ষিত যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হুয়ান ম্যানুয়েল গার্সিয়া লোপেজ জানালেন, আসল সংকেতটি লুকিয়ে থাকে মানুষের পায়ে।

স্পেনের লা ভ্যাঙ্গুয়ার্দিয়া পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লোপেজ বলেন, ‘সচেতন বা অচেতনভাবে—মানুষ সব সময় কিছু না কিছু প্রকাশ করছে। চোখের পলক, ভঙ্গি, দৃষ্টিভঙ্গি—সবকিছুই কোনো না কোনো অর্থ বহন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন কেউ খুব নির্ভার বা অস্বাভাবিকভাবে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তখন সাধারণত বোঝা যায়, তার মনে ভয় কাজ করছে বা কিছু লুকাচ্ছে। তখনই পরিস্থিতিকে একটু নাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যাতে অবচেতন প্রতিক্রিয়া বেরিয়ে আসে।’

এই সব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়ে মুখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, নাক ফুলে ওঠা ইত্যাদি। কারণ, এই আচরণগুলো মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এগুলো মানুষের আবেগ বা মনের অবস্থা প্রকাশ করে, যা মুখের কথার সঙ্গে না-ও মিলতে পারে।

কিন্তু লোপেজের মতে, কেউ যখন মিথ্যা বলতে যায়, তখন তিনি শরীরের ভাষা নিয়ন্ত্রণ করতে চান। বিশেষ করে, তাঁরা দাঁড়ানোর ভঙ্গি, মুখাবয়ব বা হাতের অঙ্গভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করেন, কিন্তু পায়ের কথা ভাবেন না। অথচ পায়ের ভঙ্গিমাই অনেক সময় মানুষের অন্তর্গত সত্য প্রকাশ করে ফেলে।

লোপেজ বলেন, ‘যদি আমি আপনার সামনে দাঁড়াই, কিন্তু আমার পা দরজার দিকে থাকে, তাহলে বোঝা যাবে, আমি যেতে চাই—হোক তা ভয়, তাড়াহুড়া বা অনাগ্রহের কারণে। কারণ, যেটাই হোক, উদ্দেশ্য পরিষ্কার।’

তবে তিনি সতর্ক করেছেন, মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেও শরীরের ভাষা নকল করতে পারে, যাতে অন্যদের মনে হয়, সে যা বলছে বা করছে, তা-ই তার সত্যিকারের অনুভূতি। তিনি বলেন, ‘যদি আমি চাই, আপনি আমাকে পছন্দ করুন, তাহলে আমি এমন অঙ্গভঙ্গি করব, যাতে মনে হয়, আমি আপনাকে পছন্দ করি। এতে আপনার মস্তিষ্কও আমাকে পছন্দ করতে শুরু করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত