Ajker Patrika

পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে ইরান: আইএইএ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১৮: ১২
Thumbnail image

ইরান পারমাণবিক সক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। তবে দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া মাত্রা যেমন ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে কম বলে জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

এর এক সপ্তাহ আগে ইরানের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়ার সমালোচনা করে আইএইএ–গভর্নর বোর্ডে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। তবে সংস্থাটির প্রস্তাব পাসের পরও বন্ধ নেই ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম। 

নতুন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাতাঞ্জ ও ফোরদৌতে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে আরও বেশি ক্যাসকেড মজুত করছে তেহরান। এ বিষয়টি তেহরানের কাছ থেকেই আইএইএ জানতে পেরেছে বলে জানিয়েছে। 

ক্যাসকেড হচ্ছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। তবে একজন কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইরান মাঝারি ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে। 

গত সপ্তাহে আইএইএ–গভর্নর বোর্ডের কাছে ‘ইরান যথেষ্ট সহযোগিতা করছে না’ মর্মে প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। প্রস্তাবে বলা হয়, ইরান ইউরোনিয়াম পরিশোধনের মাত্রা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গেছে, যা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। তবে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চীন ও রাশিয়া।

আইএইএ–গভর্নর বোর্ডে ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রস্তাব উত্থাপিত হলো। 

ইরান এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেছে, প্রস্তাবটি মোটেও বিবেচনাপ্রসূত নয়। প্রস্তাবটি তড়িঘড়ি করে উত্থাপন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট।

এএফপি বলেছে, এ ধরনের প্রতীকী প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ জোরদার করা। এর মধ্যে একসময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও প্রস্তাবটি তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

এর আগেও আইএইএ-গভর্নর বোর্ডে এ ধরনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তারপর দেখা গেছে, ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা থেকে নজরদারি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছে। 

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আইএইএর প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে এবং এর মধ্যে শান্তিপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্য নেই।’ 

আইএইএ বলেছে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। দেশটির এখন কয়েক ধরনের আণবিক বোমা তৈরি করার মতো যথেষ্ট উপকরণ আছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় করা অঙ্গীকারগুলো থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে ইরান।

ওই পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ইরানে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত করার বদলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। চুক্তিটি নতুন করে সক্রিয় করার প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত