ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের পরিবার। তবে এই সাক্ষাৎ শেষে পরিবারগুলো বেশ ক্ষুব্ধ ছিল বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুদ্ধবিরতির শেষে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও চলছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নির্বিচার হামলা। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলার মাঝে সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে ১০০ জনের বেশি ইসরায়েলি বন্দী মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ২৪০ জন ফিলিস্তিনি। এখনো প্রায় ১৩৮ জন বন্দী রয়ে গেছে গাজায়।
তার মাঝেই গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তি পাওয়া বন্দীদের পরিবারের সাক্ষাৎ। তবে সাক্ষাতের পরিবেশকে ‘তিক্ত’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলের গণমাধ্যম। ড্যান মিরান নামের এক ব্যক্তি এতটাই বিরক্ত ছিলেন যে তিনি বৈঠকের মাঝখানেই বের হয়ে গেছেন। ড্যান মিরানের ছেলে ওমরি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের একজন।
ইসরায়েলের চ্যানেল থার্টিকে ড্যান মিরান বলেন, ‘সেখানে কী কথা হয়েছে, তার বিস্তারিত আমি বলব না। কিন্তু সেখানকার সবই ছিল এলোমেলো ও কুৎসিত। তারা কেবল বলেছে, আমরা এটা করেছি, সেটা করেছি। কিন্তু সিনওয়ার (হামাস নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার) আমাদের মুক্তি দিয়েছে, তারা (ইসরায়েল সরকার) নয়। তারাই নাকি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে—এমন কথায় আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। তারা একটা কিছুও নিয়ন্ত্রণ করেনি।’
ইসরায়েল বলেছে, এখনো বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু হামাসের হাতে বন্দী রয়ে গেছে। ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের পর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বন্দীদের পরিবার আহ্বান জানিয়েছে যে তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা যেন ভুলে যাওয়া না হয়। বৈঠকে উপস্থিত তেমন একজন হলেন জেনিফার মাসটার। তাঁর সঙ্গী আন্দ্রেই এখনো হামাসের হাতে বন্দী।
চ্যানেল টুয়েলভকে জেনিফার বলেন, ‘বৈঠকের পরিবেশ খুবই অশান্ত ছিল। অনেকেই চিৎকার করছিল। আমরা কেবল চাই, আমাদের ভালোবাসার মানুষেরা যেন ফিরে আসে। অনেকেই কেবল শিশু ও নারীদের ফিরিয়ে আনার কথা বলছে। কিন্তু পুরুষ বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারেও অনেকে ভাবছে।’
হামাসের হাতে রয়ে যাওয়া বাকি বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে নেতানিয়াহুর কাছে আহ্বান জানিয়েছে পরিবারগুলো। ২৩ বছর বয়সী বন্দী রোমি গোনেনের মা মেইরাভ লিশেম গোনেন বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বন্দীদের মুক্ত করাই ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য কি না। তিনি ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। আমি তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট, তবে কেবল উদ্যোগেরই মূল্য আছে।’
নেতানিয়াহু প্রশাসনের কাজে ধৈর্য হারাচ্ছে অনেক বন্দীর পরিবার। বন্দী অ্যালোনের মা ইদিত ওহেল বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের ওপর আমাদের ভরসা আছে। তারা এমন অবস্থায় টিকে থাকতে পারবে। আমরা চাই, আমাদের সরকার ও সেনাবাহিনী বন্দীদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দর-কষাকষি শুরু করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘৬০ দিন অনেক বেশি! আমি ৬১ দিন চাই না। ৬৫ দিনও চাই না। আমি তাদের এখনই ফিরে পেতে চাই।’
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য কাতারের সঙ্গে আলোচনায় ‘অচলাবস্থাকে’ দায়ী করে ২ ডিসেম্বর দর-কষাকষি থেকে বেরিয়ে যায় ইসরায়েল। এরপর হামাস জানায়, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের পরিবার। তবে এই সাক্ষাৎ শেষে পরিবারগুলো বেশ ক্ষুব্ধ ছিল বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুদ্ধবিরতির শেষে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও চলছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নির্বিচার হামলা। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলার মাঝে সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে ১০০ জনের বেশি ইসরায়েলি বন্দী মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ২৪০ জন ফিলিস্তিনি। এখনো প্রায় ১৩৮ জন বন্দী রয়ে গেছে গাজায়।
তার মাঝেই গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তি পাওয়া বন্দীদের পরিবারের সাক্ষাৎ। তবে সাক্ষাতের পরিবেশকে ‘তিক্ত’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েলের গণমাধ্যম। ড্যান মিরান নামের এক ব্যক্তি এতটাই বিরক্ত ছিলেন যে তিনি বৈঠকের মাঝখানেই বের হয়ে গেছেন। ড্যান মিরানের ছেলে ওমরি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের একজন।
ইসরায়েলের চ্যানেল থার্টিকে ড্যান মিরান বলেন, ‘সেখানে কী কথা হয়েছে, তার বিস্তারিত আমি বলব না। কিন্তু সেখানকার সবই ছিল এলোমেলো ও কুৎসিত। তারা কেবল বলেছে, আমরা এটা করেছি, সেটা করেছি। কিন্তু সিনওয়ার (হামাস নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার) আমাদের মুক্তি দিয়েছে, তারা (ইসরায়েল সরকার) নয়। তারাই নাকি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে—এমন কথায় আমি ক্ষুব্ধ হয়েছি। তারা একটা কিছুও নিয়ন্ত্রণ করেনি।’
ইসরায়েল বলেছে, এখনো বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু হামাসের হাতে বন্দী রয়ে গেছে। ইসরায়েলের এমন মন্তব্যের পর প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বন্দীদের পরিবার আহ্বান জানিয়েছে যে তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা যেন ভুলে যাওয়া না হয়। বৈঠকে উপস্থিত তেমন একজন হলেন জেনিফার মাসটার। তাঁর সঙ্গী আন্দ্রেই এখনো হামাসের হাতে বন্দী।
চ্যানেল টুয়েলভকে জেনিফার বলেন, ‘বৈঠকের পরিবেশ খুবই অশান্ত ছিল। অনেকেই চিৎকার করছিল। আমরা কেবল চাই, আমাদের ভালোবাসার মানুষেরা যেন ফিরে আসে। অনেকেই কেবল শিশু ও নারীদের ফিরিয়ে আনার কথা বলছে। কিন্তু পুরুষ বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারেও অনেকে ভাবছে।’
হামাসের হাতে রয়ে যাওয়া বাকি বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে নেতানিয়াহুর কাছে আহ্বান জানিয়েছে পরিবারগুলো। ২৩ বছর বয়সী বন্দী রোমি গোনেনের মা মেইরাভ লিশেম গোনেন বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বন্দীদের মুক্ত করাই ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য কি না। তিনি ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। আমি তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট, তবে কেবল উদ্যোগেরই মূল্য আছে।’
নেতানিয়াহু প্রশাসনের কাজে ধৈর্য হারাচ্ছে অনেক বন্দীর পরিবার। বন্দী অ্যালোনের মা ইদিত ওহেল বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের ওপর আমাদের ভরসা আছে। তারা এমন অবস্থায় টিকে থাকতে পারবে। আমরা চাই, আমাদের সরকার ও সেনাবাহিনী বন্দীদের যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দর-কষাকষি শুরু করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘৬০ দিন অনেক বেশি! আমি ৬১ দিন চাই না। ৬৫ দিনও চাই না। আমি তাদের এখনই ফিরে পেতে চাই।’
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য কাতারের সঙ্গে আলোচনায় ‘অচলাবস্থাকে’ দায়ী করে ২ ডিসেম্বর দর-কষাকষি থেকে বেরিয়ে যায় ইসরায়েল। এরপর হামাস জানায়, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে না।
ম্যাডলিনে থাকা মানবাধিকার কর্মীরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আগে জানান, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টার কিছু পর তাদের জাহাজের দিকে চারটি স্পিডবোট এগিয়ে আসে। এরপর দুটো ড্রোন উড়ে এসে জাহাজের ওপর একটি সাদা রাসায়নিক স্প্রে করে, সেটি ঠিক কী তা তারা বুঝতে পারেন নি। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত
২ ঘণ্টা আগেতৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন প্রাক্তন বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে জার্মানির বার্লিনে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকেই জানতে চাইছেন—কে এই পিনাকী মিশ্র, যিনি মহুয়ার সঙ্গী হলেন জীবনের পথে?
১৪ ঘণ্টা আগেশনিবার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি থেকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রথম দলটি ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছায়। বর্তমানে তারা শহরের সবচেয়ে বড় আটক কেন্দ্রের (মেট্রোপলিটন ডিটেনশন ক্যাম্প এলএ) বাইরে জড়ো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটকের পর এখানেই রাখা হয় বলে জানা গেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবলিউডের ক্ল্যাসিক ‘রাত কে হামসফর’ গানের সঙ্গে নেচেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি মহুয়া মৈত্র ও বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা পিনাকী মিশ্র। জার্মানির বার্লিনে এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা এই নৃত্য করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে