আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন চলছে প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার ৫০ জন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। আহতদের মধ্যেও বড় একটি শিশু। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ইউএনওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন ১০ জন শিশু পা হারাচ্ছে।
ইউএনওএইচসিএইচআর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গ্লোবাল প্রোটেকশন ক্লাস্টার নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তাদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে বলেছে, গাজায় ‘প্রতিদিন অন্তত ১০ জন শিশু তাদের এক পা অথবা দুটি পা-ই হারাচ্ছে।’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘৪০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু যুদ্ধের কারণে আহত হয়েছে।’ জাতিসংঘের এই সংস্থা আরও জানিয়েছে, এর বাইরেও ‘ধারণা করা হয়, ব্যাপক বিস্ফোরণের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছে’ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।
আরেক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, ‘প্রতিদিন ১০ জন শিশু তাদের এক বা উভয় পা হারাচ্ছে। ২০ মাস ধরে চলা তীব্র যুদ্ধপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা পরিবেশ ধ্বংস করেছে। প্রোটেকশন ক্লাস্টার এ বিষয়ে পাঁচটি প্রধান সুরক্ষা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলোর দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
প্রোটেকশন ক্লাস্টার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও জরুরি সাড়াদানকারী সেবাগুলো ক্রমাগত হামলার শিকার ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তাদানকারী কর্মীদের টার্গেট করে পদ্ধতিগতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৬৭ জন মানবিক সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘জরুরি সেবা, পুনর্বাসন ইউনিটসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে (গাজার) মাত্র ৪৭ শতাংশ হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর, যার ফলে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জনগণের ওপর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে। ৫০ কোটি টনের ধ্বংসস্তূপের নিচে বিস্ফোরক দ্রব্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। গাজার ৮৩ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের সহায়ক যন্ত্রপাতি হারিয়েছে, আর ৮০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ জরুরি ওষুধ কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে রয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘চরমভাবে সীমিত হয়ে গেছে (গাজার) মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা ও ত্রাণসহায়তার প্রবেশাধিকার। এতে জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সামরিককরণকৃত, অমানবিক খাদ্য সহায়তা ফেলে দেওয়ার পয়েন্টগুলো মানুষকে মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন চলছে প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার ৫০ জন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। আহতদের মধ্যেও বড় একটি শিশু। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ইউএনওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন ১০ জন শিশু পা হারাচ্ছে।
ইউএনওএইচসিএইচআর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গ্লোবাল প্রোটেকশন ক্লাস্টার নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তাদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে বলেছে, গাজায় ‘প্রতিদিন অন্তত ১০ জন শিশু তাদের এক পা অথবা দুটি পা-ই হারাচ্ছে।’
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘৪০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু যুদ্ধের কারণে আহত হয়েছে।’ জাতিসংঘের এই সংস্থা আরও জানিয়েছে, এর বাইরেও ‘ধারণা করা হয়, ব্যাপক বিস্ফোরণের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছে’ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।
আরেক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, ‘প্রতিদিন ১০ জন শিশু তাদের এক বা উভয় পা হারাচ্ছে। ২০ মাস ধরে চলা তীব্র যুদ্ধপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা পরিবেশ ধ্বংস করেছে। প্রোটেকশন ক্লাস্টার এ বিষয়ে পাঁচটি প্রধান সুরক্ষা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলোর দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
প্রোটেকশন ক্লাস্টার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও জরুরি সাড়াদানকারী সেবাগুলো ক্রমাগত হামলার শিকার ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তাদানকারী কর্মীদের টার্গেট করে পদ্ধতিগতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৬৭ জন মানবিক সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘জরুরি সেবা, পুনর্বাসন ইউনিটসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে (গাজার) মাত্র ৪৭ শতাংশ হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর, যার ফলে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জনগণের ওপর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে। ৫০ কোটি টনের ধ্বংসস্তূপের নিচে বিস্ফোরক দ্রব্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। গাজার ৮৩ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের সহায়ক যন্ত্রপাতি হারিয়েছে, আর ৮০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ জরুরি ওষুধ কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে রয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘চরমভাবে সীমিত হয়ে গেছে (গাজার) মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা ও ত্রাণসহায়তার প্রবেশাধিকার। এতে জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সামরিককরণকৃত, অমানবিক খাদ্য সহায়তা ফেলে দেওয়ার পয়েন্টগুলো মানুষকে মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকির মুখে ফেলছে।’
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
আফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আবারও তাদের সীমান্তে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দিনের যুদ্ধবিরতিও ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান সরকারের।
২ ঘণ্টা আগেরাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় যা ঘটেছিল, তা ছিল ট্রেলার। পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ভারতের ব্রহ্মসের আওতায়।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে ছিল একটি কঠোর বার্তা—ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া কেবল সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক এবং সুনির্দিষ্টও হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের পার্লামেন্ট ভবন থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লির বিডি মার্গে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নামের এই অ্যাপার্টমেন্টটি সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে ধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৫ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির তহবিল প্রায় ৪০০ কোটি ডলার বেড়ে ৫৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের গবেষণা তহবিল কমানোর চাপের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রিটার্ন এই
৫ ঘণ্টা আগে