Ajker Patrika

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিদিন পা হারাচ্ছে ১০ ফিলিস্তিনি শিশু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২: ৪০
গাজায় প্রতিদিন অন্তত ১০ জন শিশু তাদের পা হারাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু
গাজায় প্রতিদিন অন্তত ১০ জন শিশু তাদের পা হারাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন চলছে প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার ৫০ জন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। আহতদের মধ্যেও বড় একটি শিশু। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ইউএনওএইচসিএইচআর জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন ১০ জন শিশু পা হারাচ্ছে।

ইউএনওএইচসিএইচআর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গ্লোবাল প্রোটেকশন ক্লাস্টার নামের একটি সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তাদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টে বলেছে, গাজায় ‘প্রতিদিন অন্তত ১০ জন শিশু তাদের এক পা অথবা দুটি পা-ই হারাচ্ছে।’

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘৪০ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু যুদ্ধের কারণে আহত হয়েছে।’ জাতিসংঘের এই সংস্থা আরও জানিয়েছে, এর বাইরেও ‘ধারণা করা হয়, ব্যাপক বিস্ফোরণের কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছে’ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।

আরেক পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, ‘প্রতিদিন ১০ জন শিশু তাদের এক বা উভয় পা হারাচ্ছে। ২০ মাস ধরে চলা তীব্র যুদ্ধপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা পরিবেশ ধ্বংস করেছে। প্রোটেকশন ক্লাস্টার এ বিষয়ে পাঁচটি প্রধান সুরক্ষা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলোর দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’

প্রোটেকশন ক্লাস্টার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকলেও জরুরি সাড়াদানকারী সেবাগুলো ক্রমাগত হামলার শিকার ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তাদানকারী কর্মীদের টার্গেট করে পদ্ধতিগতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৪৬৭ জন মানবিক সহায়তাকর্মী নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘জরুরি সেবা, পুনর্বাসন ইউনিটসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে (গাজার) মাত্র ৪৭ শতাংশ হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর, যার ফলে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জনগণের ওপর তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে। ৫০ কোটি টনের ধ্বংসস্তূপের নিচে বিস্ফোরক দ্রব্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। গাজার ৮৩ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের সহায়ক যন্ত্রপাতি হারিয়েছে, আর ৮০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ জরুরি ওষুধ কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে রয়েছেন।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘চরমভাবে সীমিত হয়ে গেছে (গাজার) মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা ও ত্রাণসহায়তার প্রবেশাধিকার। এতে জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সামরিককরণকৃত, অমানবিক খাদ্য সহায়তা ফেলে দেওয়ার পয়েন্টগুলো মানুষকে মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকির মুখে ফেলছে।’

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

গঙ্গাচড়ায় চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগে ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত