অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত যেকোনো দেশের অবৈধ অভিবাসী ও দাগি আসামিদের গ্রহণে রাজি হয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। এই বিষয়ে সান সালভাদর ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল সোমবার নজিরবিহীন ও আইনি দিক থেকে বিতর্কিত এই চুক্তির ঘোষণা দেন।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তির আওতায় এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রের সহিংস অপরাধীদের নিজ দেশের কারাগারে বন্দী করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত যেকোনো দেশের নাগরিকদের গ্রহণ করবে। তবে মানবাধিকার সংগঠন ও সমালোচকেরা এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কো রুবিও মধ্য আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই চুক্তির কথা প্রকাশ করেন। সফরের উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির জন্য আঞ্চলিক সমর্থন সুসংহত করা।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতি অসাধারণ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে...এল সালভাদর বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন ও ব্যতিক্রমী অভিবাসন চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে।’ তিনি জানান, এল সালভাদর অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা নিজ নাগরিকদের গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত যেকোনো দেশের অবৈধ অভিবাসী অপরাধীকে, যেমন এমএস-১৩ বা ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং সদস্যদের নিজ কারাগারে রাখবে।
উল্লেখ্য, এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্যরা মূলত এল সালভাদরের, আর ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্যরা ভেনেজুয়েলার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই বিষয়ে রুবিও আর বলেন, বুকেলে যুক্তরাষ্ট্রে আটক বিপজ্জনক অপরাধীদের নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি দেশটি মার্কিন নাগরিকদেরও তাদের কারাগারে রাখবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এমন পদক্ষেপের আইনগত বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন যদি বন্দী মার্কিন নাগরিকদের অন্য দেশে নির্বাসিত করার চেষ্টা করে, তবে তা বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের অভিবাসন আইন ও নাগরিকত্ব তত্ত্বের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লেটি ভলপ সিএনএনকে বলেন, ‘কেউ কারাগারে থাকুক বা না থাকুক, মার্কিন আইন অনুসারে কোনো মার্কিন নাগরিককে নির্বাসন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।’
বুকেলে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রুবিওর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘আমরা কেবল দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের (এর মধ্যে দণ্ডিত মার্কিন নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত) আমাদের সুবিশাল-কারাগার সিইসিওটি নিতে রাজি, বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট ফি চাই।’
এল সালভাদরের ‘সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির’ নামে পরিচিত কারাগার সিইসিওটি দেশটির সবচেয়ে বড় ও আধুনিক কারাগার, যার ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। তিনি আরও বলেন, ‘এই ফি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু আমাদের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের গোটা কারাগার ব্যবস্থা টেকসই করে তুলবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দেশব্যাপী কঠোর গ্যাংবিরোধী অভিযানের পর বুকেলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। সে সময় ৮১ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অভিযানের ফলে অপরাধের হার নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেলেও, কারাগারগুলোতে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এল সালভাদর ভ্রমণ সংক্রান্ত সতর্কতায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটির কারাগারে বন্দীদের কঠোর ও অমানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় এবং সেখানে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘কারাগারগুলোর অতিরিক্ত ভিড় বন্দীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি, বাতাস চলাচল, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও আলোর ব্যবস্থা অপ্রতুল বা একেবারেই অনুপস্থিত।’
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং তাঁর মিত্ররা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে, এমনকি ইলন মাস্ক এক্সে এই চুক্তিকে ‘অসাধারণ উদ্যোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে এবং সমালোচকেরা এটিকে গণতান্ত্রিক অধঃপতনের অংশ হিসেবে দেখছেন।
লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠন লিগ অব ইউনাইটেড ল্যাটিন আমেরিকান সিটিজেনস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ আমেরিকার জন্য একটি দুঃখজনক দিন।’ সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড চেয়ারম্যান রোমান পালোমারেস সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থার বিরোধিতা করি যেখানে নির্বাসিত, অনপরাধী অভিবাসীদের পশুর মতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঠেলে দেওয়া হয়, তাদের জন্মভূমি বিবেচনা না করেই।’
এই ঘোষণার আগে সিএনএনের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের এমারসন কলেজের অধ্যাপক মনীষা গেলম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মূলত এমন একটি পরিকল্পনা করছে, যেখানে অভিবাসীদের এমন দেশে পাঠানো হবে যা তাদের জন্মভূমি নয়, এমনকি তারা হয়তো সেই দেশ দিয়ে পারও হয়নি কখনো।’
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক গেলম্যান বলেন, ‘এটি একটি অদ্ভুত ও নজিরবিহীন চুক্তি, যা সম্ভবত দুজন স্বৈরাচারী, জনপ্রিয়তাবাদী, ডানপন্থী নেতার মধ্যে স্বার্থনির্ভর সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি কোনো বৈধ আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নেই এবং অভিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত বহু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।’
এল সালভাদরের বামপন্থী রাজনৈতিক দল ফারাবুন্দো মার্তি ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মানুয়েল ফ্লোরেস এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা কী? কারও বাড়ির ওঠান না কি আবর্জনার ভাগাড়? যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণ করা মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর জন্য মর্যাদাহানিকর সিদ্ধান্ত।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত যেকোনো দেশের অবৈধ অভিবাসী ও দাগি আসামিদের গ্রহণে রাজি হয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর। এই বিষয়ে সান সালভাদর ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল সোমবার নজিরবিহীন ও আইনি দিক থেকে বিতর্কিত এই চুক্তির ঘোষণা দেন।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তির আওতায় এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্রের সহিংস অপরাধীদের নিজ দেশের কারাগারে বন্দী করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত যেকোনো দেশের নাগরিকদের গ্রহণ করবে। তবে মানবাধিকার সংগঠন ও সমালোচকেরা এই চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মার্কো রুবিও মধ্য আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই চুক্তির কথা প্রকাশ করেন। সফরের উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির জন্য আঞ্চলিক সমর্থন সুসংহত করা।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতি অসাধারণ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে...এল সালভাদর বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন ও ব্যতিক্রমী অভিবাসন চুক্তিতে সম্মতি জানিয়েছে।’ তিনি জানান, এল সালভাদর অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা নিজ নাগরিকদের গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত যেকোনো দেশের অবৈধ অভিবাসী অপরাধীকে, যেমন এমএস-১৩ বা ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং সদস্যদের নিজ কারাগারে রাখবে।
উল্লেখ্য, এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্যরা মূলত এল সালভাদরের, আর ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্যরা ভেনেজুয়েলার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই বিষয়ে রুবিও আর বলেন, বুকেলে যুক্তরাষ্ট্রে আটক বিপজ্জনক অপরাধীদের নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি দেশটি মার্কিন নাগরিকদেরও তাদের কারাগারে রাখবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এমন পদক্ষেপের আইনগত বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন যদি বন্দী মার্কিন নাগরিকদের অন্য দেশে নির্বাসিত করার চেষ্টা করে, তবে তা বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের অভিবাসন আইন ও নাগরিকত্ব তত্ত্বের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক লেটি ভলপ সিএনএনকে বলেন, ‘কেউ কারাগারে থাকুক বা না থাকুক, মার্কিন আইন অনুসারে কোনো মার্কিন নাগরিককে নির্বাসন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।’
বুকেলে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রুবিওর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘আমরা কেবল দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের (এর মধ্যে দণ্ডিত মার্কিন নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত) আমাদের সুবিশাল-কারাগার সিইসিওটি নিতে রাজি, বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট ফি চাই।’
এল সালভাদরের ‘সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির’ নামে পরিচিত কারাগার সিইসিওটি দেশটির সবচেয়ে বড় ও আধুনিক কারাগার, যার ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। তিনি আরও বলেন, ‘এই ফি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু আমাদের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের গোটা কারাগার ব্যবস্থা টেকসই করে তুলবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দেশব্যাপী কঠোর গ্যাংবিরোধী অভিযানের পর বুকেলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। সে সময় ৮১ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অভিযানের ফলে অপরাধের হার নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেলেও, কারাগারগুলোতে বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এল সালভাদর ভ্রমণ সংক্রান্ত সতর্কতায় উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটির কারাগারে বন্দীদের কঠোর ও অমানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় এবং সেখানে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘কারাগারগুলোর অতিরিক্ত ভিড় বন্দীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি, বাতাস চলাচল, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও আলোর ব্যবস্থা অপ্রতুল বা একেবারেই অনুপস্থিত।’
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং তাঁর মিত্ররা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে, এমনকি ইলন মাস্ক এক্সে এই চুক্তিকে ‘অসাধারণ উদ্যোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে এবং সমালোচকেরা এটিকে গণতান্ত্রিক অধঃপতনের অংশ হিসেবে দেখছেন।
লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠন লিগ অব ইউনাইটেড ল্যাটিন আমেরিকান সিটিজেনস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ আমেরিকার জন্য একটি দুঃখজনক দিন।’ সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড চেয়ারম্যান রোমান পালোমারেস সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা এমন একটি ব্যবস্থার বিরোধিতা করি যেখানে নির্বাসিত, অনপরাধী অভিবাসীদের পশুর মতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঠেলে দেওয়া হয়, তাদের জন্মভূমি বিবেচনা না করেই।’
এই ঘোষণার আগে সিএনএনের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের এমারসন কলেজের অধ্যাপক মনীষা গেলম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মূলত এমন একটি পরিকল্পনা করছে, যেখানে অভিবাসীদের এমন দেশে পাঠানো হবে যা তাদের জন্মভূমি নয়, এমনকি তারা হয়তো সেই দেশ দিয়ে পারও হয়নি কখনো।’
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক গেলম্যান বলেন, ‘এটি একটি অদ্ভুত ও নজিরবিহীন চুক্তি, যা সম্ভবত দুজন স্বৈরাচারী, জনপ্রিয়তাবাদী, ডানপন্থী নেতার মধ্যে স্বার্থনির্ভর সম্পর্কের প্রতিফলন। এটি কোনো বৈধ আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নেই এবং অভিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত বহু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে।’
এল সালভাদরের বামপন্থী রাজনৈতিক দল ফারাবুন্দো মার্তি ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মানুয়েল ফ্লোরেস এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছেন। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা কী? কারও বাড়ির ওঠান না কি আবর্জনার ভাগাড়? যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণ করা মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর জন্য মর্যাদাহানিকর সিদ্ধান্ত।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ট্রাস্ট (প্রতিযোগিতা বিরোধী) তদন্ত শুরু করার ঘোষণা...
১২ মিনিট আগেমার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে উঠে এসেছে, ইরানের বৈজ্ঞানিকদের একটি গোপন দল তুলনামূলক কম উন্নত কিন্তু দ্রুততর পদ্ধতির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য
১ ঘণ্টা আগেবিয়ে প্রায় শেষ। কেবল মালাবদল বাকি। এমন সময় খাবার কম পড়ার অভিযোগে বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে চাইলেন বরের পরিবার। কিন্তু বিয়ে করতে চান বর। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশকে ফোন দিলেন কনে। পুলিশ এসে নিয়ে গেল থানায়। সেখানেই হলো মালা বদল।
১ ঘণ্টা আগেভারতের ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী ফেরত পাঠানোর সুযোগ থাকার পরও শত শত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের কেন আটক করে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
৪ ঘণ্টা আগে