গাজা যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। গতকাল শনিবার সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, একসময়ের ঘনিষ্ঠ সামরিক ও বাণিজ্যিক মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলম্বিয়া। বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
পেট্রো এক্সে লিখেছেন, গাজায় যখন গণহত্যা বন্ধ হবে, তখনই ফের কয়লা রপ্তানি শুরু হবে। পেট্রো একটি খসড়া ডিক্রিও পোস্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের যে আদেশ সম্প্রতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত, সেটা যদি নেতানিয়াহু সরকার মেনে নেয়, কেবল তখনই আবার শুরু হবে কয়লা রপ্তানি।
কলম্বিয়ার জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের মতে, গত বছরের প্রথম আট মাসে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি হয়েছে ৩২ কোটি ডলারের বেশি। এটি দেশের সামগ্রিক কয়লা রপ্তানির একটি ছোট অংশ, যেখানে ২০২৩ সালে কলম্বিয়ার কয়লা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি ডলারের বেশি।
আমেরিকান জার্নাল ফর ট্রান্সপোর্টেশন অনুসারে, ইসরায়েল তার ৫০ শতাংশেরও বেশি কয়লা কলম্বিয়া থেকে আমদানি করে এবং এর বেশির ভাগই ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য।
কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২২ সালে দায়িত্ব নেন পেট্রো। গাজায় গণহত্যা চালানো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন না—এমনটি জানিয়ে গত মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
তবে উভয় সরকারই এখনো একে অপরের অঞ্চলে কনস্যুলেট রাখা এবং বাণিজ্য পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।
দীর্ঘকাল ধরে সামরিক সরঞ্জাম যেমন—অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গোয়েন্দাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করত কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি গত তিন দশকে ইসরায়েল থেকে ৩০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান কিনেছে এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও ইসরায়েলি কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল।
তবে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় নতুন সামরিক ক্রয় বন্ধ রয়েছে। পেট্রোর সমালোচকেরা বলেছেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিয়েছেন, তা কলম্বিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কারণ, তাদের সামরিক বাহিনী দেশের গ্রামীণ অংশে মাদক চক্র এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বিরুদ্ধে লড়ছে।
তবে কলম্বিয়ার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানাচ্ছে অনেকেই। সারা বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরায়েলে কয়লা ও তেল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য উৎসাহিত করা অ্যাডভোকেসি গ্রুপ গ্লোবাল এনার্জি এমবার্গো ফর প্যালেস্টাইন গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, কলম্বিয়ার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলকে গাজায় তার নীতি পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিতে পারে। কারণ, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলোর বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমদানি করা কয়লার ওপর।
এক বিবৃতিতে গ্রুপটি বলেছে, ‘কলম্বিয়ার পদক্ষেপকে অনুসরণ করার জন্য আমরা জরুরি ভিত্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আহ্বান জানাই, যারা ইসরায়েলের প্রয়োজনের ৯ শতাংশ কয়লা সরবরাহ করে।’
গাজা যুদ্ধের জেরে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। গতকাল শনিবার সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, একসময়ের ঘনিষ্ঠ সামরিক ও বাণিজ্যিক মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলম্বিয়া। বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
পেট্রো এক্সে লিখেছেন, গাজায় যখন গণহত্যা বন্ধ হবে, তখনই ফের কয়লা রপ্তানি শুরু হবে। পেট্রো একটি খসড়া ডিক্রিও পোস্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের যে আদেশ সম্প্রতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত, সেটা যদি নেতানিয়াহু সরকার মেনে নেয়, কেবল তখনই আবার শুরু হবে কয়লা রপ্তানি।
কলম্বিয়ার জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের মতে, গত বছরের প্রথম আট মাসে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি হয়েছে ৩২ কোটি ডলারের বেশি। এটি দেশের সামগ্রিক কয়লা রপ্তানির একটি ছোট অংশ, যেখানে ২০২৩ সালে কলম্বিয়ার কয়লা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি ডলারের বেশি।
আমেরিকান জার্নাল ফর ট্রান্সপোর্টেশন অনুসারে, ইসরায়েল তার ৫০ শতাংশেরও বেশি কয়লা কলম্বিয়া থেকে আমদানি করে এবং এর বেশির ভাগই ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য।
কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২২ সালে দায়িত্ব নেন পেট্রো। গাজায় গণহত্যা চালানো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন না—এমনটি জানিয়ে গত মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
তবে উভয় সরকারই এখনো একে অপরের অঞ্চলে কনস্যুলেট রাখা এবং বাণিজ্য পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে।
দীর্ঘকাল ধরে সামরিক সরঞ্জাম যেমন—অ্যাসল্ট রাইফেল এবং গোয়েন্দাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করত কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি গত তিন দশকে ইসরায়েল থেকে ৩০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান কিনেছে এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও ইসরায়েলি কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল।
তবে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় নতুন সামরিক ক্রয় বন্ধ রয়েছে। পেট্রোর সমালোচকেরা বলেছেন যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট নিয়েছেন, তা কলম্বিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কারণ, তাদের সামরিক বাহিনী দেশের গ্রামীণ অংশে মাদক চক্র এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বিরুদ্ধে লড়ছে।
তবে কলম্বিয়ার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদও জানাচ্ছে অনেকেই। সারা বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরায়েলে কয়লা ও তেল রপ্তানি বন্ধ করার জন্য উৎসাহিত করা অ্যাডভোকেসি গ্রুপ গ্লোবাল এনার্জি এমবার্গো ফর প্যালেস্টাইন গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, কলম্বিয়ার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলকে গাজায় তার নীতি পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিতে পারে। কারণ, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলোর বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমদানি করা কয়লার ওপর।
এক বিবৃতিতে গ্রুপটি বলেছে, ‘কলম্বিয়ার পদক্ষেপকে অনুসরণ করার জন্য আমরা জরুরি ভিত্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আহ্বান জানাই, যারা ইসরায়েলের প্রয়োজনের ৯ শতাংশ কয়লা সরবরাহ করে।’
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাসংক্রান্ত বহু গোপন নথি প্রকাশ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর ওপর গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কীভাবে নজরদারি চালাত তা রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার পৃষ্ঠার এই দলিলে। এ ছাড়া, রয়েছে আগে কখনো প্রকাশ না হওয়া সিআইএ রেকর্ড। ১৯৭৭ সাল থেকে এসব নথি আদালতের আদেশে জনসাধারণের আওতার বাইরে
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাসের অনিশ্চয়তার পর ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের সেই এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান অবশেষে ভারত ছেড়েছে। গত ১৪ জুন কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর আর উড়তে পারছিল না। অবশেষে আজ মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, নিজের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
২ ঘণ্টা আগে