অনলাইন ডেস্ক
গঙ্গার পরিচ্ছন্নতা ও পানির মান নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। তিনি বলেছেন, দূষিত ও নোংরা গঙ্গার পানিতে তিনি কোনো অবস্থাতেই স্নান করবেন না। তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান, অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসুন এবং মাথা খাটিয়ে কাজ করুন। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার তাঁর দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজ ঠাকরে বলেন, তাঁর দলের নেতা বালা নন্দগাঁওকর সম্প্রতি প্রয়াগরাজে শেষ হওয়া মহাকুম্ভ থেকে গঙ্গার পানি এনেছিলেন। কিন্তু তিনি তা পান করেননি। তিনি বলেন, ‘বালা নন্দগাঁওকর আমার জন্য গঙ্গাজল এনেছিল। আমি তাঁকে বলেছি, দূর হও। আমি এই জলে স্নান করতে যাইনি, আর সেই জল পান করব? কে ওই নোংরা ও পচা গঙ্গায় ডুব দিতে যায়?’
রাজ ঠাকরে তাচ্ছিল্য করে বলেন, তিনি গঙ্গায় লোকদের শরীর ঘষতে ও স্নান করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নদী দূষিত। অথচ বিদেশে নদীর পানি সারা বছর পরিষ্কার থাকে।
এমএনএসের প্রধান বলেন, ‘মানুষের বিশ্বাসের একটি সীমা থাকা উচিত। দেশের একটা নদীও পরিষ্কার নয়। বিশেষত, গঙ্গা নদী। আর আমরা এই নদীকে মা বলি। বিদেশের মানুষ নদীকে মা বলে না। এরপরও তাদের নদী পরিষ্কার থাকে, আর আমাদের সব নদী দূষিত। কেউ তাতে স্নান করছে, কেউ কাপড় কাঁচছে।’
রাজ ঠাকরে আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমল থেকে শুনে আসছি গঙ্গা নদী পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তা হচ্ছে না। মানুষের উচিত এসব ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসা এবং মাথা খাটিয়ে কাজ করা।’
ঠাকরের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কুম্ভের পানি স্নানের অযোগ্য—এই যুক্তিতে বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশ সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ দাবি করেছেন, গঙ্গার পানি শুধু স্নানের জন্য নয়, আচমন করার (হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী স্নানের পর এক চুমুক জল পান করা) জন্যও নিরাপদ।
তবে কুম্ভমেলার অনেক তীর্থযাত্রী অভিযোগ করেন, সঙ্গমের পানি দূষিত ও স্নানের অযোগ্য। অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়াগরাজের সঙ্গমে (গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থল) পয়োনিষ্কাশন ও মানব বর্জ্যের ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অত্যন্ত বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গঙ্গা ও যমুনা নদীর পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গঙ্গায় কলিফর্মের মাত্রা গ্রহণযোগ্য সীমার চেয়ে ১ হাজার ৪০০ গুণ বেশি এবং যমুনায় ৬৬০ গুণ বেশি।
গঙ্গার পরিচ্ছন্নতা ও পানির মান নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। তিনি বলেছেন, দূষিত ও নোংরা গঙ্গার পানিতে তিনি কোনো অবস্থাতেই স্নান করবেন না। তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান, অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসুন এবং মাথা খাটিয়ে কাজ করুন। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার তাঁর দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজ ঠাকরে বলেন, তাঁর দলের নেতা বালা নন্দগাঁওকর সম্প্রতি প্রয়াগরাজে শেষ হওয়া মহাকুম্ভ থেকে গঙ্গার পানি এনেছিলেন। কিন্তু তিনি তা পান করেননি। তিনি বলেন, ‘বালা নন্দগাঁওকর আমার জন্য গঙ্গাজল এনেছিল। আমি তাঁকে বলেছি, দূর হও। আমি এই জলে স্নান করতে যাইনি, আর সেই জল পান করব? কে ওই নোংরা ও পচা গঙ্গায় ডুব দিতে যায়?’
রাজ ঠাকরে তাচ্ছিল্য করে বলেন, তিনি গঙ্গায় লোকদের শরীর ঘষতে ও স্নান করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নদী দূষিত। অথচ বিদেশে নদীর পানি সারা বছর পরিষ্কার থাকে।
এমএনএসের প্রধান বলেন, ‘মানুষের বিশ্বাসের একটি সীমা থাকা উচিত। দেশের একটা নদীও পরিষ্কার নয়। বিশেষত, গঙ্গা নদী। আর আমরা এই নদীকে মা বলি। বিদেশের মানুষ নদীকে মা বলে না। এরপরও তাদের নদী পরিষ্কার থাকে, আর আমাদের সব নদী দূষিত। কেউ তাতে স্নান করছে, কেউ কাপড় কাঁচছে।’
রাজ ঠাকরে আরও বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমল থেকে শুনে আসছি গঙ্গা নদী পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তা হচ্ছে না। মানুষের উচিত এসব ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসা এবং মাথা খাটিয়ে কাজ করা।’
ঠাকরের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন কুম্ভের পানি স্নানের অযোগ্য—এই যুক্তিতে বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশ সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ দাবি করেছেন, গঙ্গার পানি শুধু স্নানের জন্য নয়, আচমন করার (হিন্দুধর্মীয় রীতি অনুযায়ী স্নানের পর এক চুমুক জল পান করা) জন্যও নিরাপদ।
তবে কুম্ভমেলার অনেক তীর্থযাত্রী অভিযোগ করেন, সঙ্গমের পানি দূষিত ও স্নানের অযোগ্য। অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়াগরাজের সঙ্গমে (গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থল) পয়োনিষ্কাশন ও মানব বর্জ্যের ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা অত্যন্ত বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গঙ্গা ও যমুনা নদীর পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গঙ্গায় কলিফর্মের মাত্রা গ্রহণযোগ্য সীমার চেয়ে ১ হাজার ৪০০ গুণ বেশি এবং যমুনায় ৬৬০ গুণ বেশি।
ইসরায়েলে ধেয়ে আসা মিসাইলের আশঙ্কায় সাইরেন বাজলে নাগরিকদের জন্য একটি বিস্তৃত আশ্রয়কেন্দ্র নেটওয়ার্ক রয়েছে। কিন্তু এই নেটওয়ার্ক দেশের সব অঞ্চলে সমানভাবে কার্যকর নয়। বিশেষ করে, ইসরায়েলের ভেতরে থাকা কিছু ফিলিস্তিনি শহরে আশ্রয়কেন্দ্রের ঘাটতি উন্মোচিত করেছে সাম্প্রতিক হামলাগুলো।
১ ঘণ্টা আগেগত শুক্রবার থেকে ইরানে ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টস ইন ইরান।
১ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, ‘ফ্লাইট ছাড়ার আগে বাধ্যতামূলক কিছু পরীক্ষায় সমস্যা ধরা পড়ায় দিল্লি থেকে প্যারিসগামী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে প্যারিস থেকে দিল্লিগামী ফিরতি ফ্লাইট, যা আগামীকাল বুধবার ছাড়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকেরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছেন।
২ ঘণ্টা আগে