Ajker Patrika

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কেরালার আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৫৯
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কেরালার আপিল

ভারত সরকার দেশটিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা। রাজ্য সরকার গতকাল শনিবার এই বিষয়ে একটি আবেদন করেছে। পাশাপাশি একই আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। 

১৯ মার্চ এই আবেদনগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেদিন কেরালা সরকার ও আসাদুদ্দিন ওয়াইসির আবেদনের শুনানি একই সঙ্গে হতে পারে। এর আগেও সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় সিএএ নিয়ে ভারতের দক্ষিণের এই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। 

১৪ মার্চ কেরালা সরকার বিবৃতি দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সেই বিরোধিতার অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কার্যকারিতার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ খতিয়ে দেখতে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে কেরালা সরকার। 

এদিকে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান ও হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, ভারত সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও এর পেছনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করা হচ্ছে। 

ওয়াইসির অভিযোগ, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এনআরসির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ভারতের কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর গত ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করে। এই আইন অনুসারে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যদি সে দেশের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আশ্রয় চায়, তবে ভারত সরকার তাদের আশ্রয় দেবে। 

তবে অনেকেই মনে করছেন, এই আইনের মধ্যে বিতর্কের উপাদান আছে। এই আইনের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে যে কথা বলা হয়েছে, সেখানে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিষ্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও কোথাও দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আর সে কারণেই ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন রাজ্য এর বিরোধিতায় সরব। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। অর্থাৎ, লোকসভা নির্বাচনে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পরে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত