Ajker Patrika

গুজরাটের দাঙ্গায় নিহতের স্ত্রীর আপিল খারিজ, আপিলকারীকে ভর্ৎসনা

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৭: ০৩
গুজরাটের দাঙ্গায় নিহতের স্ত্রীর আপিল খারিজ, আপিলকারীকে ভর্ৎসনা

গুজরাটের দাঙ্গায় ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জড়িত ছিলেন না’ এমন একটি রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ২০০২ সালে সংঘটিত ওই দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস দলীয় এমপি এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি আপিলটি করেছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এই আপিল ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ এবং কেবল ‘পরিস্থিতি উত্তপ্ত’ করে রাখার জন্যই করা হয়েছিল উল্লেখ করে খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত এ সময় দাঙ্গায় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জড়িত না থাকার বিষয়ে বিশেষ তদন্ত দল এসআইটির প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন। আদালত জানান, সে সময় এসআইটি নরেন্দ্র মোদির জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি।

গুজরাটে দাঙ্গার সময় এক স্থানেই অন্তত ৬৮ জনকে হত্যা করা হয়। এটি ‘গুলবাগ সোসাইটি গণহত্যা’ নামে পরিচিত। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কংগ্রেসের এমপি এহসান জাফরি। তাঁর স্ত্রীর করা আপিলটি ‘পরিস্তিতি উত্তপ্ত রাখতে এবং অবশ্যই ভবিষ্যতেও এটি জিইয়ে রাখার জন্যই করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন আদালত। এ সময় আদালত আবারও এসআইটির তদন্ত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন।

এই আপিল বিশেষ কারো নির্দেশেই করা হয়েছিল উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং বিষয়টিকে আইন অনুযায়ী এগিয়ে নিতে হবে।’ 

আদালত আরও বলেন, আপিলকারীর যুক্তিগুলো এসআইটির তদন্তের ‘সততা ও আন্তরিকতাকে হেয়’ করেছে এবং আবেদনের বেশির ভাগ বিষয়বস্তুই ‘অন্যদের আপিলের মতোই যা আগেই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে’। তবে জাকিয়া জাফরি এ ঘটনার নতুন করে তদন্ত চেয়েই এই আপিল করেছিলেন। 

গুজরাটে দাঙ্গার সময় গুলবাগ সোসাইটির গণহত্যা অন্যতম ভয়াবহ একটি ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক দিন আগে গোধরায় তীর্থযাত্রীবাহী একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যু হলে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। 

এর আগে গুজরাটের আহমেদাবাদের গুলবাগ সোসাইটির ২৯টি বাংলো ও ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে থাকা লোকদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এসব বাংলো এবং অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম। সেই সময় এহসান জাফরিকে তাঁর বাড়ি থেকে টেনে বের করে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। জাকিয়া জাফরির অভিযোগ, ওই সময় এহসান জাফরি তাঁর ফোন থেকে বারবার পুলিশ ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের কল করেছিলেন। কিন্তু কেউই সাড়া দেয়নি। 

পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসআইটি নতুন করে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসআইটি জানায়, তাদের তদন্তে নরেন্দ্র মোদিসহ আরও ৬৩ জনকে ‘বিচারের মুখোমুখি করা যায় এমন কোনো প্রমাণ’ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সংঘটিত গুজরাটে দাঙ্গায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ খুন হন। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত