Ajker Patrika

মুকেশ আম্বানি সর্বাধিক বেতন দেন প্রথম বসের ছেলেকে, পরিমাণ জানলে অবাক হবেন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, ২২: ০৮
Thumbnail image

৮ লাখ ৩৩ হাজার ২১৫ কোটি রুপির বেশি সম্পদ নিয়ে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। তাঁর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি, যার বাজারমূল্য ১৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপির বেশি। মুকেশ আম্বানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং পরিবারের সদস্যরাই পরিচালনা করেন এই কোম্পানি।

অনেকের ধারণা, আম্বানির পরিবারের কোনো সদস্য রিলায়েন্স থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন পান। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোপুরি আলাদা। রিলায়েন্সের সর্বোচ্চ বেতনধারী কর্মকর্তার নাম নিখিল মেসওয়ানি। মুকেশ আম্বানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নিখিলের বর্তমান বেতন ২৪ কোটি রুপি। মজার বিষয় হলো, তাঁর বাবা রসিকভাই মেসওয়ানি আবার ছিলেন মুকেশের চাকরি জীবনের প্রথম বস।

রিলায়েন্সের মালিক মুকেশ আম্বানিকে ব্যবসার দুনিয়ায় নিয়ে আসেন তাঁর বাবা তথা প্রতীম শিল্পপতি ধীরুভাই আম্বানি। ওই সময় রিলায়েন্সের কোনো কিছুই জানতেন না মুকেশ। ওই অবস্থায় তাঁকে গড়ে পিঠে নেন রসিকভাই মেসওয়ানি। হাতে ধরে সবকিছু শেখান তিনি।

এই রসিকভাই ছিলেন ধীরুভাই আম্বানির ভাগনে। তিনি রিলায়েন্সের মূল পরিচালকদের একজন ছিলেন এবং মুকেশকে গাইড করার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রথম জীবনের কাজ শেখার গল্প বলেছেন রিলায়েন্স আম্বানি। সেখানে কীভাবে ধীরুভাই আম্বানি রসিকভাইকে তাঁর মেন্টর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন, তা তুলে ধরেন তিনি। মুকেশের কথায়, ‘বর্জিং পলিয়েস্টার বিভাগ দিয়ে রিলায়েন্সের ব্যবসায় হাতে খড়ি হয়েছিল আমার। যার সুপারভাইজার ছিলেন রসিকভাই মেসওয়ানি। সবকিছু তাঁর কাছে গিয়ে রিপোর্ট করতাম।’

এখন রসিকভাই মেসওয়ানির ছেলে নিখিল মেসওয়ানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বোচ্চ বেতনভোগী কর্মচারী। নিখিল ১৯৮৬ সালে রিলায়েন্সে যোগদান করেন এবং ১৯৮৮ সালের ১ জুলাই থেকে কোম্পানির বোর্ডে নির্বাহী পরিচালকের পদবি নিয়ে সার্বক্ষণিক পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি মুকেশ আম্বানির মতোই প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রথম লক্ষ্য পেট্রোকেমিক্যাল ডিভিশন, তিনি পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে রিলায়েন্সকে একটি বৈশ্বিক পাওয়ার হাউস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

নিখিল মেসওয়ানি রিলায়েন্সের মালিকানাধীন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এবং কোম্পানির অন্যান্য ক্রীড়া উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত। এটা লক্ষণীয় যে যদিও মুকেশ আম্বানি ভারতের অন্যতম বড় কোম্পানির নেতৃত্ব দেন, তবুও তিনি কোনো বেতন পান না। কোভিড-১৯ মহামারির আগে অবশ্য তিনি বার্ষিক ১৫ কোটি রুপি বেতন নিতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত