ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি সারা বিশ্বেই ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে কর্তৃত্ববাদের রমরমা চলছে। চলছে সংখ্যালঘু নিপীড়নও। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নরেন্দ্র মোদির এই বিজেপি সরকার নিয়ে কী বলতেন? সেই প্রশ্নে একটি ধারণা দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো বা প্রবাসী ভারতীয়দের সমিতি ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও রাজনীতি, ১৯২৪-৪১’ শীর্ষক বক্তৃতার আয়োজন করেছিল। সে অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ সুগত বসু। সেখানে দীর্ঘ বক্তব্য দেন অমর্ত্য সেনও।
প্রশ্নোত্তর পর্বে রবীন্দ্রনাথ ও আজকের হিন্দুত্ববাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধান বক্তা সুগত বসুকেই। তবে তিনি অমর্ত্য সেনকেই জবাবটা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
জীবৎকালে বিজেপির সমমনা ভারতীয় হিন্দু মহাসভার প্রতি রবীন্দ্রনাথের বিরাগের কথাই উল্লেখ করেন অমর্ত্য। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের ঘরে-বাইরে (উপন্যাস) মনে থাকলে স্পষ্ট বোঝা যায়, সংখ্যাগুরুর স্বৈরাচার রবীন্দ্রনাথের তীব্র ভাবে অপছন্দ ছিল।’
সুগত বসুও ব্রিটিশ ভারতে হিন্দু, মুসলিম সংঘাত নিয়ে রবীন্দ্রনাথের অবস্থান প্রসঙ্গে ঘরে-বাইরে–এর কথাই বলেছেন। তাঁর উপন্যাসে স্বদেশি আন্দোলনের নামে গরিব মুসলিম চাষি, দোকানদারদের ওপর জুলুমের কড়া সমালোচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বকবির ভারত ভাবনার পেছনেও ‘জনগণমন অধিনায়ক’ গানটির দ্বিতীয় স্তবকের ভাবনা উল্লেখ করেন সুগত। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিক, মুসলমান, খ্রিষ্টান নিয়ে পূর্ব–পশ্চিমের সংহতির কথাই বলেছেন কবি।
মূল আলোচনায় সুগত বসু রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন দেশ সফর, লেখালিখি এবং সমকালীন রাজনীতির মধ্যকার সম্পর্ক ও সমন্বয়ের কথা বলেছেন। ১৯২৪–২৫ সালে রবীন্দ্রনাথ চীন, জাপান এবং পরে আর্জেন্টিনা সফর করেন। নিজস্ব এক অধ্যাত্মচেতনার বন্ধনে তিনি এশীয় ঐক্যের স্বপ্ন দেখেছেন। সুগত বলেন, চীনের মানুষ সেই রবীন্দ্র আধ্যাত্মিকতাকে পুরোটা বোঝেনি। ১৯২৪–এর আধ্যাত্মিকতা থেকে ১৯৩০–এর দশকের পরিশেষ কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ‘প্রশ্ন’ কবিতায় সেই তিক্ত জীবনবোধ প্রকাশিত।
অমর্ত্য সেনও রবীন্দ্রনাথের রাশিয়ার চিঠি এবং সভ্যতার সংকটে সমকালের রবীন্দ্রচেতনার কথা বলেন। গান্ধীর সঙ্গে নানা মতবিরোধ সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক উঠে আসে। আর শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথের মধ্যেও সুভাষচন্দ্র বসুকে দেখে দেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপর হওয়ার কথা বলেন সুগত। তখন সুভাষকে ‘দেশনায়ক’ বলে বরণ করেছেন কবি। দেশের যুদ্ধে শরিক হতে না পারার আক্ষেপও করেছেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি সারা বিশ্বেই ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে কর্তৃত্ববাদের রমরমা চলছে। চলছে সংখ্যালঘু নিপীড়নও। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নরেন্দ্র মোদির এই বিজেপি সরকার নিয়ে কী বলতেন? সেই প্রশ্নে একটি ধারণা দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো বা প্রবাসী ভারতীয়দের সমিতি ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও রাজনীতি, ১৯২৪-৪১’ শীর্ষক বক্তৃতার আয়োজন করেছিল। সে অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ সুগত বসু। সেখানে দীর্ঘ বক্তব্য দেন অমর্ত্য সেনও।
প্রশ্নোত্তর পর্বে রবীন্দ্রনাথ ও আজকের হিন্দুত্ববাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধান বক্তা সুগত বসুকেই। তবে তিনি অমর্ত্য সেনকেই জবাবটা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
জীবৎকালে বিজেপির সমমনা ভারতীয় হিন্দু মহাসভার প্রতি রবীন্দ্রনাথের বিরাগের কথাই উল্লেখ করেন অমর্ত্য। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের ঘরে-বাইরে (উপন্যাস) মনে থাকলে স্পষ্ট বোঝা যায়, সংখ্যাগুরুর স্বৈরাচার রবীন্দ্রনাথের তীব্র ভাবে অপছন্দ ছিল।’
সুগত বসুও ব্রিটিশ ভারতে হিন্দু, মুসলিম সংঘাত নিয়ে রবীন্দ্রনাথের অবস্থান প্রসঙ্গে ঘরে-বাইরে–এর কথাই বলেছেন। তাঁর উপন্যাসে স্বদেশি আন্দোলনের নামে গরিব মুসলিম চাষি, দোকানদারদের ওপর জুলুমের কড়া সমালোচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বকবির ভারত ভাবনার পেছনেও ‘জনগণমন অধিনায়ক’ গানটির দ্বিতীয় স্তবকের ভাবনা উল্লেখ করেন সুগত। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিক, মুসলমান, খ্রিষ্টান নিয়ে পূর্ব–পশ্চিমের সংহতির কথাই বলেছেন কবি।
মূল আলোচনায় সুগত বসু রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন দেশ সফর, লেখালিখি এবং সমকালীন রাজনীতির মধ্যকার সম্পর্ক ও সমন্বয়ের কথা বলেছেন। ১৯২৪–২৫ সালে রবীন্দ্রনাথ চীন, জাপান এবং পরে আর্জেন্টিনা সফর করেন। নিজস্ব এক অধ্যাত্মচেতনার বন্ধনে তিনি এশীয় ঐক্যের স্বপ্ন দেখেছেন। সুগত বলেন, চীনের মানুষ সেই রবীন্দ্র আধ্যাত্মিকতাকে পুরোটা বোঝেনি। ১৯২৪–এর আধ্যাত্মিকতা থেকে ১৯৩০–এর দশকের পরিশেষ কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ‘প্রশ্ন’ কবিতায় সেই তিক্ত জীবনবোধ প্রকাশিত।
অমর্ত্য সেনও রবীন্দ্রনাথের রাশিয়ার চিঠি এবং সভ্যতার সংকটে সমকালের রবীন্দ্রচেতনার কথা বলেন। গান্ধীর সঙ্গে নানা মতবিরোধ সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক উঠে আসে। আর শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথের মধ্যেও সুভাষচন্দ্র বসুকে দেখে দেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপর হওয়ার কথা বলেন সুগত। তখন সুভাষকে ‘দেশনায়ক’ বলে বরণ করেছেন কবি। দেশের যুদ্ধে শরিক হতে না পারার আক্ষেপও করেছেন।
সৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
৩ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২-২৩ এপ্রিল এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির তৃতীয় মেয়াদে এটিই প্রথম সৌদি আরব সফর।
৭ ঘণ্টা আগে