Ajker Patrika

৭০৭ কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল সরকার, পডকাস্টে দেউলিয়া কোটিপতি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১৭: ৩৩
ভারতের টেলিকম কোম্পানি এয়ারসেল-এর প্রতিষ্ঠাতা চিনাক্কান্নান শিবাসংকরন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের টেলিকম কোম্পানি এয়ারসেল-এর প্রতিষ্ঠাতা চিনাক্কান্নান শিবাসংকরন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের টেলিকম কোম্পানি এয়ারসেল-এর প্রতিষ্ঠাতা চিনাক্কান্নান শিবাসংকরন। জীবন যেন একেবারে চলচ্চিত্রের মতো—দ্রুত এক উত্থানের পর তীব্র পতন। ২০১৮ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন এই শিল্পপতি। সম্প্রতি ‘দ্য রানবীর শো’ পডকাস্টে এসে তিনি শোনালেন তাঁর উত্থান-পতনের গল্প। জানালেন কীভাবে সাড়ে ৯০০০ কোটি টাকা হারানোর পরও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

পডকাস্টার রানবীর এলাহাবাদিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবাসংকরন জানান, দেউলিয়া হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা বই পড়েছিলেন তিনি। আর পেয়েছিলেন হাল না ছাড়ার অনুপ্রেরণা।

৬৮ বছর বয়সী এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমি যেদিন দেউলিয়া হলাম, সেদিনই বসে লিখে ফেলি—আমি আবার কীভাবে কোটিপতি হব।’

এক সময়কার ৪ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক বলেন, ‘আমি গরিব না। অনেকে ভাবে আমি গরিব। কিন্তু না, আমি গরিব নয়, আমি দেউলিয়া।’

রানবীর জানতে চান, দেউলিয়া হওয়ার আগে সবচেয়ে ব্যয়বহুল কোন জিনিসগুলো কিনেছিলেন। শিবাসংকরন জানান, তিনি প্রচুর টাকা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একাধিক বাড়ি কিনেছিলেন, এমনকি দুটো ব্যক্তিগত দ্বীপও কিনেছিলেন।

‘আপনার সবচেয়ে দামি কেনাকাটা কোনটা ছিল?’ —পডকাস্টার রানবীরের এই প্রশ্নে হেসে ফেলেন এই উদ্যোক্তা শিল্পপতি। ছোট্ট করে উত্তর দেন, ‘একটা দ্বীপ।’

পরে বলেন, সেসেলসে দুটো দ্বীপ ছিল তাঁর। সেগুলো এখন বিক্রি করে দিয়েছেন।

দ্বীপ কেনার পেছনে ব্যতিক্রমী ও মজার এক যুক্তি দেন শিবাসংকরণ। বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, যেন মনে হয় নিজের একটা দেশে বাস করছি—রিপাবলিক অব শিবা।’

শিবাসংকরণ বলতে থাকেন, ‘এরপর আমি বাড়ি কিনেছিলাম সেসেলস, আমেরিকা, কানাডা, লন্ডনে... আমার ইচ্ছে ছিল, সব মহাদেশে একটা করে বাড়ি থাকবে আমার। তাই কিনে নিয়েছিলাম।’

পডকাস্টের আরেক অংশে এই শিল্পপতি জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রিমন্টে তাঁর একটি ১৪ একর বাড়ি ছিল, যাতে হেলিপ্যাডও ছিল। কানাডায় তাঁর আরেকটি প্রাসাদসদৃশ বাড়িও ছিল, যা পুরস্কারও জিতেছিল।

তারপর সাবেক এই কোটিপতি জানালেন, চেন্নাইয়ে তাঁর ৭০৭ কোটি টাকা মূল্যের একটা বাড়ি ছিল। ৭১টা বেডরুম ছিল সেই বাড়িতে। সেই বিলাসবহুল বাড়ি এখন ভেঙে ফেলা হয়েছে।

শিবাসংকরণ বলেন, ‘আমি যখন বাড়িগুলো কিনেছিলাম, আমি তখন এক রাজকীয় বাড়িতে থাকতাম। ৫২৪ কোটি রুপির বাড়ি, যাতে ছিল ৭১টা বেডরুম। তারপর ওটা ভেঙে দেওয়া হয়। তবে আমি বাড়ির অর্ধেকটা আবার কিনে নিয়েছি।’

শিবা বলেন, ‘এখন আমার ২ একর জমি আছে, কিন্তু আমি সেখানে বাড়ি বানাতে চাই না। আগে আমি সব সমস্যার সমাধান করতে চাই।’

এয়ারসেল প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমার মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মামলা শেষ হলে আমি আমার টাকা ফেরত পাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

ভারতের ব্ল্যাকআউট মহড়া, সীমান্তে আটার মজুত বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, যুদ্ধ কি লেগে যাচ্ছে

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত