মোদি উপনাম নিয়ে ‘ব্যঙ্গাত্মক’ মন্তব্য করায় ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন গুজরাটের সাবেক এক বিধায়ক। আজ শুক্রবার সেই মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য দিয়েছে। ফলে লোকসভার এমপি পদ ফিরে পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী।
মোদির মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন গুজরাটের সুরাটের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে জেলা দায়রা আদালতে আপিল করেন রাহুল। কিন্তু সেখানে আপিল খারিজ হয়ে যায়। পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টে মামলার ওপর স্টে অর্ডার বা স্থগিতাদেশ চান রাহুল। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আগের রায় বহাল রাখে। এরপর সবশেষে হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল।
বিচারপতি বিআর গাভাই, পিএস নরসীমা এবং সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর স্থগিতাদেশ আবেদনের শুনানি করেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, আপিল আবেদনকারীর বক্তব্য ভালো রুচির ছিল না এবং আবেদনকারীকে বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’
মোদির মানহানি মামলায় মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই রাহুল গান্ধীর শেষ সুযোগ। এই রায় আপাতত তাঁকে পার্লামেন্টে উপস্থিত হতে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেবে বলে জানান তাঁর আইনজীবী। রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ন্যায়বিচার হয়েছে এবং গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ নেই।
শুনানির শুরুতে বিচারপতি গাভাই বলেন, গান্ধী যদি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই ব্যতিক্রমী প্রমাণ হাজির করতে হবে। জবাবে রাহুলের আইনজীবী সিংভি বলেন, রাহুল আজ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আসল মামলার বাদী পূর্ণেশ মোদির আসল নাম মোদি নয় এবং তিনি এটি পরিবর্তন করেছেন। পূর্ণেশ মোদি নিজেই বলেছেন, তাঁর আসল নাম মোদি নয়। তিনি মোধবনিকা সমাজের অন্তর্গত।’
আইনজীবী সিংভি আরও জানান, রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তৃতার সময় যেসব ব্যক্তির নাম বলেছিলেন, তাঁদের একজনও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেননি। সিংভি আরও জানান, আশ্চর্যের বিষয় হলো, ১৩ কোটি মানুষের এই সম্প্রদায় যারা রাহুলের বক্তব্যের কারণে ‘সংক্ষুব্ধ’, তারা কেউই মামলা করলেন না, কেবল বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছাড়া।
সুপ্রিম কোর্ট তখন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলার উদাহরণ দেন। জবাবে আইনজীবী সিংভি জানান, তাঁরা ১৩টি মামলা দায়ের করেছেন, কিন্তু কোনোটিতেই দোষী সাব্যস্ত হননি রাহুল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপনাম নিয়ে ‘ব্যঙ্গ’ করার দায়ে রাহুল গান্ধীর নামে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই মামলায় গুজরাটের একটি নিম্ন আদালত কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে রাহুল নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে যথাক্রমে দায়রা আদালত ও গুজরাট হাইকোর্টে আপিল করেন। কিন্তু দুই জায়গা থেকেই খারিজ হয়ে যায় রাহুলের আপিল। লোকসভার সদস্যপদ হারান রাহুল।
মোদি উপনাম নিয়ে ‘ব্যঙ্গাত্মক’ মন্তব্য করায় ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন গুজরাটের সাবেক এক বিধায়ক। আজ শুক্রবার সেই মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য দিয়েছে। ফলে লোকসভার এমপি পদ ফিরে পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী।
মোদির মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন গুজরাটের সুরাটের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে জেলা দায়রা আদালতে আপিল করেন রাহুল। কিন্তু সেখানে আপিল খারিজ হয়ে যায়। পরে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টে মামলার ওপর স্টে অর্ডার বা স্থগিতাদেশ চান রাহুল। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আগের রায় বহাল রাখে। এরপর সবশেষে হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল।
বিচারপতি বিআর গাভাই, পিএস নরসীমা এবং সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর স্থগিতাদেশ আবেদনের শুনানি করেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, আপিল আবেদনকারীর বক্তব্য ভালো রুচির ছিল না এবং আবেদনকারীকে বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’
মোদির মানহানি মামলায় মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই রাহুল গান্ধীর শেষ সুযোগ। এই রায় আপাতত তাঁকে পার্লামেন্টে উপস্থিত হতে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেবে বলে জানান তাঁর আইনজীবী। রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ন্যায়বিচার হয়েছে এবং গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ নেই।
শুনানির শুরুতে বিচারপতি গাভাই বলেন, গান্ধী যদি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই ব্যতিক্রমী প্রমাণ হাজির করতে হবে। জবাবে রাহুলের আইনজীবী সিংভি বলেন, রাহুল আজ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আসল মামলার বাদী পূর্ণেশ মোদির আসল নাম মোদি নয় এবং তিনি এটি পরিবর্তন করেছেন। পূর্ণেশ মোদি নিজেই বলেছেন, তাঁর আসল নাম মোদি নয়। তিনি মোধবনিকা সমাজের অন্তর্গত।’
আইনজীবী সিংভি আরও জানান, রাহুল গান্ধী তাঁর বক্তৃতার সময় যেসব ব্যক্তির নাম বলেছিলেন, তাঁদের একজনও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেননি। সিংভি আরও জানান, আশ্চর্যের বিষয় হলো, ১৩ কোটি মানুষের এই সম্প্রদায় যারা রাহুলের বক্তব্যের কারণে ‘সংক্ষুব্ধ’, তারা কেউই মামলা করলেন না, কেবল বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছাড়া।
সুপ্রিম কোর্ট তখন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলার উদাহরণ দেন। জবাবে আইনজীবী সিংভি জানান, তাঁরা ১৩টি মামলা দায়ের করেছেন, কিন্তু কোনোটিতেই দোষী সাব্যস্ত হননি রাহুল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপনাম নিয়ে ‘ব্যঙ্গ’ করার দায়ে রাহুল গান্ধীর নামে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই মামলায় গুজরাটের একটি নিম্ন আদালত কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে রাহুল নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে যথাক্রমে দায়রা আদালত ও গুজরাট হাইকোর্টে আপিল করেন। কিন্তু দুই জায়গা থেকেই খারিজ হয়ে যায় রাহুলের আপিল। লোকসভার সদস্যপদ হারান রাহুল।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে