Ajker Patrika

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ২০: ৩১
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে অচেনা বিমান বিধ্বস্ত। ছবি: এএফপি
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে অচেনা বিমান বিধ্বস্ত। ছবি: এএফপি

সিএনএনের ব্র্যাড লেন্ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষের ছবিতে একটি ফরাসি প্রস্তুতকারকের লেবেল দেখা গেছে। পাকিস্তান দাবি করছে, ভারতের তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। কাশ্মীরে বিমানের ধ্বংসাবশেষের ছবিতে তাদের দাবিই জোরালো হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত ছবিগুলোর মধ্যে বিমানের একটি অংশের লেবেলে ফরাসি পরিস্রাবণ (ফিলট্রেশন) কোম্পানি লো বোজেক এ গতিয়েখের নির্মিত বিমানের যন্ত্রাংশের নাম দেখা যায়। লো বোজেক যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ডোনাল্ডসন কোম্পানির ফরাসি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

২০০৫ সালে লো বোজেক অধিগ্রহণের সময় ডোনাল্ডসন কোম্পানির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরাসি এই কোম্পানি ‘বিমান ও হেলিকপ্টারের বায়ু, জ্বালানি, হাইড্রোলিক ফ্লুইড এবং বায়ুচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য পরিস্রাবণ সরঞ্জাম ডিজাইন, উৎপাদন ও বিক্রি করে।’

অবশ্য এ তথ্য সিএনএন স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। ছবিতে দেখানো অংশটি রাফাল জেটের কি না, অথবা পাকিস্তান বিমান ভূপাতিত করেছে কি না, তা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষের লেবেলে ফরাসি কোম্পানির নাম রয়েছে। ছবি: এএফপি
একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষের লেবেলে ফরাসি কোম্পানির নাম রয়েছে। ছবি: এএফপি

বার্তা সংস্থা রয়টার্স কাশ্মীরে স্থানীয় সরকারের চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিনটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। পাকিস্তানে ভারতের হামলার সময়ই এটি ঘটে। তবে বিমানগুলো এমনিতেই বিধ্বস্ত হয়েছে নাকি ভূপাতিত করা হয়েছে সেটি পরিষ্কার নয়।

রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রস্তুতকারক ফ্রান্সের ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন।

ভারতীয় বিমানবাহিনীতে ৩৬টি রাফাল জেট রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানগুলোর প্রথম অর্ডার দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে এবং এগুলো ২০২০ সাল থেকে আসা শুরু করে। সেই সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছিলেন যে নতুন এই জেটগুলো ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা’ এবং এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীকে ‘আমাদের দেশের ওপর আসা যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী’ করবে।

গত এপ্রিলে ভারত ফ্রান্সের সঙ্গে আরও ২৬টি রাফাল জেট কেনার জন্য ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ২০৩০ সাল থেকে সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই জেটগুলো সম্পর্কে যা জানা যায়:

প্রস্তুতকারকের মতে, এই জেটগুলো এক বা দুই আসনের হয়ে থাকে এবং এগুলোতে আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে এবং জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি একটি ৩০ মিমি কামানও যুক্ত করা যায়।

ড্যাসল্ট এভিয়েশন আরও জানায়, রাফালের ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে এমন সক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে এটি সব আবহাওয়ায় ভূখণ্ড অনুসরণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়তে পারে।

তবে রাফাল স্টিলথ জেট নয়, অর্থাৎ এটি রাডার ফাঁকি দিতে পারে না। তবে এটিকে রাডারে সহজে ধরা যায় না এমন কম দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যযুক্ত হিসেবে প্রচার করা হয়। এটির একটি বিশেষ সুবিধা হলো যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা।

ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ফরাসি বাহিনী কর্তৃক চালিত রাফাল আফগানিস্তান, লিবিয়া, মালি, ইরাক ও সিরিয়ার অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

আকাশ প্রতিরক্ষায় কে এগিয়ে, পাকিস্তান কি ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত