Ajker Patrika

কলকাতা যেন কালো টাকার পাহাড়!

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ২৩: ৪৩
Thumbnail image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা কালো টাকা উদ্ধারের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায় নিয়মিতই উদ্ধার করছে প্রচুর কালো রুপি। পাশাপাশি উদ্ধার করা হচ্ছে স্বর্ণালংকার এবং বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পদও। এই সম্পদ ও রুপি গুনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন গোয়েন্দা কর্তারা। 

বাংলাদেশের পিকে হালদারের সম্পত্তির হদিস পাওয়ার কিছুদিন পরই পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয় ৫০ কোটি রুপিও বেশি। বেশ কয়েকটি মেশিন দিয়ে সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ গোনার দৃশ্য মুছে যেতে না যেতেই কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭ কোটিরও বেশি ভারতীয় মুদ্রা। তারপর নৈহাটিতে লোকাল ট্রেনেও উদ্ধার হয় প্রচুর অর্থ। 

গতকাল রোববার হাওড়া জেলায় একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার রুপি। এ রকম কালো রুপি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেই। রুপি ছাড়াও জেলবন্দী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আরাধ্য দেবতার শরীরে মিলেছে ৫৭০ ভরি সোনার গয়না। আর এই অর্থরাশি ও সম্পদ উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এই নেতারা তৃণমূলেরই এবং তাই অভিযোগের তীর স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘রাজ্যটা যে চোরেদের সরকার চালাচ্ছে এই বিপুল সম্পদ উদ্ধারে সেটাই প্রমাণিত।’ বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকেও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।’ তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘দলের কিছু লোক দোষী হলেও পুরো দলকে দায়ী করা ঠিক নয়। আর পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি খারাপ করতে বিজেপি এই সব করছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত