কলকাতা প্রতিনিধি
বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বৈঠকে বসবেন। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর, যা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে শেষ হবে। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, পানিবণ্টন বিষয়ক বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার জন্য নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সফরের প্রধান উদ্দেশ্য গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা। সফরে অংশ নেওয়া ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশ অংশের কর্মকর্তারা। এতে ভারত সরকারের পানিশক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি এবং দুই দেশের মধ্যে নদী ব্যবস্থাপনার জন্য সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে।
এ ছাড়া, সফরের প্রথম দিনেই প্রতিনিধি দল ফারাক্কা ব্যারেজ পরিদর্শনে যাবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় অবস্থিত এই বাঁধ গঙ্গার পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফারাক্কা ব্যারেজের পানি প্রবাহের পরিমাণ এবং পদ্মায় পানিপ্রবাহের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে, মৌসুমে ভারত ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করে না, যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী ও কৃষি ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ভারতের দাবি, পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কখনো কখনো পানি সরবরাহের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
আগামী ৭ মার্চ কলকাতার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছে, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি।
এই বৈঠকে ১৯৯৬ সালের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে এবং আগামী ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন সমঝোতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে, যাতে পানির সুষ্ঠু ও সমান বণ্টন নিশ্চিত করা যায় এবং কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে না পারে।
বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বৈঠকে বসবেন। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর, যা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে শেষ হবে। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, পানিবণ্টন বিষয়ক বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার জন্য নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সফরের প্রধান উদ্দেশ্য গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা। সফরে অংশ নেওয়া ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশ অংশের কর্মকর্তারা। এতে ভারত সরকারের পানিশক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন চুক্তি এবং দুই দেশের মধ্যে নদী ব্যবস্থাপনার জন্য সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে।
এ ছাড়া, সফরের প্রথম দিনেই প্রতিনিধি দল ফারাক্কা ব্যারেজ পরিদর্শনে যাবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় অবস্থিত এই বাঁধ গঙ্গার পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফারাক্কা ব্যারেজের পানি প্রবাহের পরিমাণ এবং পদ্মায় পানিপ্রবাহের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে, মৌসুমে ভারত ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করে না, যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী ও কৃষি ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ভারতের দাবি, পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কখনো কখনো পানি সরবরাহের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
আগামী ৭ মার্চ কলকাতার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা গঙ্গা-পদ্মা পানিবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তসীমান্ত নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছে, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি।
এই বৈঠকে ১৯৯৬ সালের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে এবং আগামী ২০২৬ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন সমঝোতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে, যাতে পানির সুষ্ঠু ও সমান বণ্টন নিশ্চিত করা যায় এবং কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে না পারে।
নয় বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন সে হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়...
৪২ মিনিট আগেগাজার তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন, মৃত্যু সব সময় তাঁর দরজায় ওঁত পেতে থাকে। গত ১৮ মাস ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা, নিজের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৃত্যু নিজ হাতে নথিভুক্ত করেছেন তিনি। এই ঘটনাগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন ইমিগ্রেশন বিভাগ কয়েক শ বিদেশি শিক্ষার্থী ও সদ্য স্নাতকদের ভিসা বাতিল করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তারের শিকারদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত...
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ২৯ বছর সরকারি বাস চালিয়েছেন তিনি। মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৮০০ টাকা) সমপরিমাণ ভাড়া আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৯২ লাখ টাকা) পেনশনও বাতিল করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে