প্রায় সাত বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা এবং ভারতে আইনি লড়াইয়ের পর কেরালার অধিবাসী প্রেমকুমারী ইয়েমেনে গিয়ে কারাগারে থাকা তাঁর মেয়ে নিমিশা প্রিয়ার দেখা পেয়েছেন। নিমিশা একজন ভারতীয় নার্স। ইয়েমেনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর মামলাটি ভারতে খুবই আলোচিত ঘটনা।
বৃহস্পতিবার উইওন নিউজ জানিয়েছে, নিমিশার ভারতীয় আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রন ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি জেলে মা-মেয়ের দেখা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে নিমিশা প্রিয়া ও প্রেমকুমারীর দেখা হয়।
সুভাষ জানান, সানার জেল কর্তৃপক্ষ নিমিশা ও প্রেমকুমারীকে বেশ কয়েক ঘণ্টা একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ দেয় এবং জেল প্রাঙ্গণে মা-মেয়ে একসঙ্গে খাবার গ্রহণ করেন।
২০১৭ সাল থেকেই নিরাপত্তাজনিত কারণে ইয়েমেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারত সরকারের বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্তরাই ইয়েমেনে যেতে পারবেন। অন্যদের জন্য এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ইয়েমেনে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলেন প্রেমকুমারী।
মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রেমকুমারী টেলিফোনে উইওনকে জানান, তিনি কারাগারের ভেতর হাজির হলে নিমিশা তাঁর দিকে হেঁটে আসেন। প্রেমকুমারী বলেন, ‘আমার মেয়ে নিমিশা একটি পর্দা পরে আসে। তাই প্রথমে তাকে চিনতে পারিনি। পরে কাছে এসে সে আমাকে জড়িয়ে ধরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। নিমিশা আমাকে আশা এবং সাহস দিয়েছে। কাঁদতে না করেছে। কিন্তু সেও কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।’
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিমিশা প্রিয়া ছিলেন কেরালার পলক্কড় জেলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ইয়েমেনে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং মেয়ে ভারতে ফিরে আসে। সেই সময় ইয়েমেনের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। সেখানেই তলাত আবদো মেহদি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পরে নিমিশাকে একটি ক্লিনিক খোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন মেহদি। কারণ ইয়েমেনে কোনো বিদেশি নাগরিক ক্লিনিক খুলতে চাইলে, তাঁকে স্থানীয় কারও সঙ্গে পার্টনারশিপে তা খুলতে হবে। সেই কারণেই মেহদিকে প্রয়োজন ছিল নিমিশার। ২০১৫ সালে মেহদির সাহায্যে ক্লিনিক খোলেন তিনি।
কিন্তু মেহদির সঙ্গে শিগগিরই মতপার্থক্য দেখা দেয় নিমিশার। মেহদি তাঁর কাছ থেকে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন। এর ফলে ইয়েমেনেই আটকে যান নিমিশা। তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন মেহদি। ফলে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাননি নিমিশা। নানাভাবে তিনি মেহদির অত্যাচারের শিকার হতে শুরু করেন।
২০১৬ সালে নিমিশার অভিযোগে মেহদিকে গ্রেপ্তার করা হলেও দ্রুত তিনি ছাড়া পেয়ে যান। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মেহদির শরীরে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেন নিমিশা। উদ্দেশ্য ছিল, মেহদিকে ঘুমের মধ্যে রেখে নিজের পাসপোর্ট চুরি করে ভারতে ফিরে আসা। কিন্তু সেই ইনজেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হয় মেহদির। পরে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে মেহদির দেহটি কেটে ক্লিনিকের ট্যাংকে রেখে তারা পালান। ২০১৮ সালে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন নিমিশা। মেহদিকে খুন করার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন ইয়েমেনের দায়রা আদালত।
পরে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান নিমিশা। ২০১৮ সাল থেকে আদালতে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। তবে গত বছরের শেষ দিকে ইয়েমেনের শীর্ষ আদালতে হেরে যান নিমিশা। এ অবস্থায় তাঁকে ক্ষমতা করে দেওয়ার জন্য ৫ কোটি ইয়েমেনি রিয়েল ‘ব্লাড মানি’ দাবি করেছে নিহত মেহদির পরিবার। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে এই বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিলে তাঁরা ঘাতককে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
প্রায় সাত বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা এবং ভারতে আইনি লড়াইয়ের পর কেরালার অধিবাসী প্রেমকুমারী ইয়েমেনে গিয়ে কারাগারে থাকা তাঁর মেয়ে নিমিশা প্রিয়ার দেখা পেয়েছেন। নিমিশা একজন ভারতীয় নার্স। ইয়েমেনে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর মামলাটি ভারতে খুবই আলোচিত ঘটনা।
বৃহস্পতিবার উইওন নিউজ জানিয়েছে, নিমিশার ভারতীয় আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রন ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি জেলে মা-মেয়ের দেখা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে নিমিশা প্রিয়া ও প্রেমকুমারীর দেখা হয়।
সুভাষ জানান, সানার জেল কর্তৃপক্ষ নিমিশা ও প্রেমকুমারীকে বেশ কয়েক ঘণ্টা একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ দেয় এবং জেল প্রাঙ্গণে মা-মেয়ে একসঙ্গে খাবার গ্রহণ করেন।
২০১৭ সাল থেকেই নিরাপত্তাজনিত কারণে ইয়েমেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারত সরকারের বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্তরাই ইয়েমেনে যেতে পারবেন। অন্যদের জন্য এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ইয়েমেনে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলেন প্রেমকুমারী।
মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রেমকুমারী টেলিফোনে উইওনকে জানান, তিনি কারাগারের ভেতর হাজির হলে নিমিশা তাঁর দিকে হেঁটে আসেন। প্রেমকুমারী বলেন, ‘আমার মেয়ে নিমিশা একটি পর্দা পরে আসে। তাই প্রথমে তাকে চিনতে পারিনি। পরে কাছে এসে সে আমাকে জড়িয়ে ধরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। নিমিশা আমাকে আশা এবং সাহস দিয়েছে। কাঁদতে না করেছে। কিন্তু সেও কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।’
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিমিশা প্রিয়া ছিলেন কেরালার পলক্কড় জেলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ইয়েমেনে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং মেয়ে ভারতে ফিরে আসে। সেই সময় ইয়েমেনের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। সেখানেই তলাত আবদো মেহদি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পরে নিমিশাকে একটি ক্লিনিক খোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন মেহদি। কারণ ইয়েমেনে কোনো বিদেশি নাগরিক ক্লিনিক খুলতে চাইলে, তাঁকে স্থানীয় কারও সঙ্গে পার্টনারশিপে তা খুলতে হবে। সেই কারণেই মেহদিকে প্রয়োজন ছিল নিমিশার। ২০১৫ সালে মেহদির সাহায্যে ক্লিনিক খোলেন তিনি।
কিন্তু মেহদির সঙ্গে শিগগিরই মতপার্থক্য দেখা দেয় নিমিশার। মেহদি তাঁর কাছ থেকে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন। এর ফলে ইয়েমেনেই আটকে যান নিমিশা। তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন মেহদি। ফলে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাননি নিমিশা। নানাভাবে তিনি মেহদির অত্যাচারের শিকার হতে শুরু করেন।
২০১৬ সালে নিমিশার অভিযোগে মেহদিকে গ্রেপ্তার করা হলেও দ্রুত তিনি ছাড়া পেয়ে যান। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মেহদির শরীরে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেন নিমিশা। উদ্দেশ্য ছিল, মেহদিকে ঘুমের মধ্যে রেখে নিজের পাসপোর্ট চুরি করে ভারতে ফিরে আসা। কিন্তু সেই ইনজেকশনের ওভারডোজে মৃত্যু হয় মেহদির। পরে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে মেহদির দেহটি কেটে ক্লিনিকের ট্যাংকে রেখে তারা পালান। ২০১৮ সালে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন নিমিশা। মেহদিকে খুন করার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন ইয়েমেনের দায়রা আদালত।
পরে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান নিমিশা। ২০১৮ সাল থেকে আদালতে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। তবে গত বছরের শেষ দিকে ইয়েমেনের শীর্ষ আদালতে হেরে যান নিমিশা। এ অবস্থায় তাঁকে ক্ষমতা করে দেওয়ার জন্য ৫ কোটি ইয়েমেনি রিয়েল ‘ব্লাড মানি’ দাবি করেছে নিহত মেহদির পরিবার। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে এই বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিলে তাঁরা ঘাতককে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
সম্প্রতি ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা কেনেন ভিপুল। জানা গেছে, ওই অটোর ইএমআই পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। আত্মীয়দের সন্দেহ, তীব্র আর্থিক সংকটই তাঁকে পরিবারের সদস্যদের বিষ প্রয়োগ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
১২ মিনিট আগেপ্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত থাকা বিশেষজ্ঞ মাইকেল ব্যারন তাঁর ‘দ্য গাজা মেরিন স্টোরি’ নামক গবেষণাগ্রন্থে দেখিয়েছেন, বর্তমান বাজারদরে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব। যা আগামী ১৫ বছরে পিএর জন্য বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের পথ খুলে দিতে পারে। তার মতে, এই আয় ফিলিস্তিনিকে...
১ ঘণ্টা আগেঅনুপ্রবেশ ও অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ২৮ জন বাংলাদেশিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত-২। আদালতের রায় অনুযায়ী, অভিযুক্তরা বৈধ কাগজপত্র ও অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন এবং দীর্ঘদিন তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেআবারও অনিশ্চয়তায় নেপালিভাষী ভুটানি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় লোতশাম্পার একাংশ। ভুটান থেকে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই ভুটানেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, ভুটান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। ফলে, আবারও তাঁদের ঠাঁই হয়েছে নেপালের এক জীর্ণ শরণার্থীশিবিরে।
১ ঘণ্টা আগে