সুইডেনে একটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের সংখ্যা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও রয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনাকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্দুক হামলা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রটি স্টকহোম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে অবস্থিত। যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারেননি বা উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রেড অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাদের জন্য এই শিক্ষা কেন্দ্র। শিক্ষা কেন্দ্রটির ক্যাম্পাসে একটি স্কুলও রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য বা পরিচয় জানা যায়নি। হামলার পর ওরেব্রোর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশপ্রধান রবার্তো ইদ ফরেস্ট বলেন, নিহতের সংখ্যা বর্তমানে সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, কারণ এটি বেশ বড় একটি ঘটনা। পরে পুলিশের ওয়েবসাইটে ১১ জন নিহতের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আহতদের সংখ্যা এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা বর্তমানে আহতদের অবস্থার বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’
ফরেস্ট বলেন, বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তানুযায়ী একে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে না। যদিও এখনো অনেক কিছু অজানা রয়েছে। সন্দেহভাজন বন্দুকধারী এর আগে পুলিশের তালিকায় ছিল না বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এটিকে সুইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন।
রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাভ শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ওরেব্রোর ভয়াবহ নৃশংসতায় আমি ও আমার পরিবার গভীর দুঃখ ও স্তম্ভিত বোধ করছি।’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে সমবেদনা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এই বিপদগ্রস্ত সময়ে আমরা সুইডেনের মানুষের পাশে আছি।’
অনেক শিক্ষার্থী অভিবাসী সুইডেনের প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনা করেন, যাতে তারা নর্ডিক দেশটিতে চাকরি খুঁজে নিতে পারেন এবং সুইডিশ ভাষা শিখতে পারেন।
স্কুল বা শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা খুবই বিরল। ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সুইডেনের বিভিন্ন স্কুলে ৭টি প্রাণঘাতী হামলায় মোট ১০ জন নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বোচ্চ বন্দুক হামলার হার রেকর্ড করা হয়েছে। ইউরোপীয় মানদণ্ড অনুযায়ী, সুইডেনে শিকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত বন্দুক মালিকানার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে, দেশটিতে সংঘবদ্ধ অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহের বিষয়টি সামনে আসছে।
সুইডেনে একটি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের সংখ্যা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও রয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনাকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্দুক হামলা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রটি স্টকহোম থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরে অবস্থিত। যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারেননি বা উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্রেড অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাদের জন্য এই শিক্ষা কেন্দ্র। শিক্ষা কেন্দ্রটির ক্যাম্পাসে একটি স্কুলও রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য বা পরিচয় জানা যায়নি। হামলার পর ওরেব্রোর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশপ্রধান রবার্তো ইদ ফরেস্ট বলেন, নিহতের সংখ্যা বর্তমানে সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, কারণ এটি বেশ বড় একটি ঘটনা। পরে পুলিশের ওয়েবসাইটে ১১ জন নিহতের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আহতদের সংখ্যা এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা বর্তমানে আহতদের অবস্থার বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’
ফরেস্ট বলেন, বন্দুকধারী একাই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তানুযায়ী একে ‘সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে না। যদিও এখনো অনেক কিছু অজানা রয়েছে। সন্দেহভাজন বন্দুকধারী এর আগে পুলিশের তালিকায় ছিল না বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এটিকে সুইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন।
রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাভ শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ওরেব্রোর ভয়াবহ নৃশংসতায় আমি ও আমার পরিবার গভীর দুঃখ ও স্তম্ভিত বোধ করছি।’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে সমবেদনা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এই বিপদগ্রস্ত সময়ে আমরা সুইডেনের মানুষের পাশে আছি।’
অনেক শিক্ষার্থী অভিবাসী সুইডেনের প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়াশোনা করেন, যাতে তারা নর্ডিক দেশটিতে চাকরি খুঁজে নিতে পারেন এবং সুইডিশ ভাষা শিখতে পারেন।
স্কুল বা শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা খুবই বিরল। ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সুইডেনের বিভিন্ন স্কুলে ৭টি প্রাণঘাতী হামলায় মোট ১০ জন নিহত হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বোচ্চ বন্দুক হামলার হার রেকর্ড করা হয়েছে। ইউরোপীয় মানদণ্ড অনুযায়ী, সুইডেনে শিকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত বন্দুক মালিকানার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে, দেশটিতে সংঘবদ্ধ অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহের বিষয়টি সামনে আসছে।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৬ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
৭ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে