Ajker Patrika

প্যারিসের জাদুঘর থেকে সরিয়ে রুশ দূতাবাসের সামনে বসানো হলো মাখোঁর ভাস্কর্য

অনলাইন ডেস্ক
মাখোঁর ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
মাখোঁর ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর জলবায়ু নীতি এবং রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের চলমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস। গত সোমবার সকালে প্যারিসের কেন্দ্রস্থলের বিখ্যাত গ্রেভাঁ জাদুঘর থেকে মাখোঁর মোমের ভাস্কর্য নিয়ে শহরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সামনে স্থাপন করে সংগঠনটির একদল কর্মী। প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য জাদুঘরের কাছ থেকে ভাস্কর্যটি ধার নিয়েছেন তাঁরা।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জাদুঘর থেকে ভাস্কর্যটি নিয়ে যাওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে এবং ইউরোপজুড়ে পরিবেশ রক্ষায় একটি বাস্তবসম্মত ও টেকসই রূপান্তর শুরু না করা পর্যন্ত মাখোঁ বিশ্বখ্যাত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান—গ্রেভাঁ জাদুঘরে স্থান পাওয়ার যোগ্য নন।’

রুশ দূতাবাসের সামনে ভাস্কর্যটি স্থাপনের সময় সেখানে বেশ কিছু ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। ওই সব প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে গ্যাস, পারমাণবিক শক্তি এবং রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন খাতে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করা হয়।

রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-সহ অনেক রুশ পণ্যের আমদানি বন্ধ করতে পারেনি। ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার’ (সিআরইএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সই রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ছিল। শুধু এলএনজি আমদানির পরিমাণই ছিল ৩৭৭ মিলিয়ন ইউরোর (প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

বিবৃতিতে গ্রিনপিস ফ্রান্সের জ্বালানি রূপান্তর কর্মসূচির প্রচারক রজার স্পাউৎজ বলেন, ‘ইমানুয়েল মাখোঁকে তাঁর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। এই পথে চলা মানেই শত্রু রাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা বজায় রাখা এবং একটি অপরাধী শাসনের শিল্পখাতকে অর্থায়ন করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনের ইউরেনিয়ামের সঙ্গে কোনো সার্বভৌমত্ব, জ্বালানি রূপান্তর এবং শান্তি সম্ভব নয়। এই দ্বিমুখী নীতির অবসান ঘটিয়ে আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ অধ্যায়ের ইতি টানতে হবে।’

গ্রিনপিসের বিবৃতিতে মাখোঁর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখা এবং একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর নীতিকে দ্বিচারিতা বলে অভিহিত করা হয়। সংগঠনটি বলছে, ‘এই অস্পষ্ট অবস্থান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফ্রান্সের বিশ্বাসযোগ্যতাকে দুর্বল করে এবং ক্রেমলিনের যুদ্ধ তহবিলে অর্থায়ন করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত