Ajker Patrika

ব্রিটিশ কাউন্সিল নিষিদ্ধ করল রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ কাউন্সিলকে ‘অবাঞ্ছিত সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর। অভিযোগ, এই সংগঠনটি ইংরেজি শেখানোর ছদ্মবেশে যুক্তরাজ্যের স্বার্থকে তোষণ করছে এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিকে ক্ষুণ্ন করছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রুশ কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়—ব্রিটিশ কাউন্সিল নিজেকে স্বাধীন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপস্থাপন করলেও এটি যুক্তরাজ্য সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রিপোর্ট জমা দেয় এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিস থেকে অর্থায়ন পায়।

রুশ প্রসিকিউটরেরা দাবি করেছেন, কাউন্সিলের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্রিটিশ মূল্যবোধ ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রাশিয়া সহ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রুশ পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও তাঁরা মন্তব্য করেন।

আরও অভিযোগ রয়েছে, ব্রিটিশ কাউন্সিল রাশিয়ায় নিষিদ্ধ এলজিবিটিকিউ আন্দোলনকে সমর্থন ও প্রচার করছে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রকল্পের মাধ্যমে রাশিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। বিশেষ করে, বাল্টিক অঞ্চলের (এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া) রুশ সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও দাবি করা হয়।

১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ কাউন্সিল একসময় রাশিয়াজুড়ে ডজনখানেক অফিস পরিচালনা করত। তবে ২০০৭ সালে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মস্কো ছাড়া সব অফিস বন্ধের নির্দেশ দেয় করসংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে। ২০১৮ সালে তাদের রাশিয়ায় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে তা আরও পাকাপোক্ত করা হলো।

সম্প্রতি রাশিয়া লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও হোপ হারবার সোসাইটিকেও একই কারণে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এলটন জন এইডস ফাউন্ডেশনকেও এলজিবিটিকিউ প্রচারণার অভিযোগে ‘অবাঞ্ছিত’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

‘অবাঞ্ছিত’ হিসেবে ঘোষিত সংগঠনগুলোর রাশিয়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তাদের সহযোগিতাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত