Ajker Patrika

ইউক্রেন গুচ্ছবোমা ব্যবহার করলে মস্কোও বসে থাকবে না, হুমকি পুতিনের 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৬: ০৭
ইউক্রেন গুচ্ছবোমা ব্যবহার করলে মস্কোও বসে থাকবে না, হুমকি পুতিনের 

টানা প্রায় দেড় বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। ফলে সম্প্রতি ইউক্রেনকে ‘গুচ্ছবোমা’ (ক্লাস্টার বোমা) দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সেই বোমা ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে গুচ্ছবোমা ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার কাছে গুচ্ছবোমার ‘পর্যাপ্ত মজুত’ রয়েছে এবং প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করা হবে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাছে গুচ্ছবোমার ‘পর্যাপ্ত মজুত’ রয়েছে এবং ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হলে মস্কোও পাল্টা সেগুলো ব্যবহারের অধিকার রাখে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, ‘অবশ্যই, যদি এটা (গুচ্ছবোমা) আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, আমরাও পাল্টা পদক্ষেপে একই বোমা ব্যবহারের অধিকার রাখি।’

রয়টার্স বলছে, ইউক্রেন ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গুচ্ছবোমা পেয়েছে। কুখ্যাত এই বোমার ব্যবহার ১০০টির বেশি দেশে নিষিদ্ধ। অবশ্য ইউক্রেন দাবি করেছে, এই বোমা তারা রাশিয়ায় ব্যবহার করবে না। কিয়েভের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের ভূখণ্ড মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছিল, ১০০টির বেশি দেশে গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ। গুচ্ছবোমা রকেটসদৃশ একটি কাঠামোর ভেতর থাকে। এ বোমা বিমান, কামান ও রকেট লঞ্চার থেকে ছোড়া যায়। গুচ্ছবোমা যখন ছোড়া হয় তখন এর ভেতর থাকা ছোট ছোট বোমা ছড়িয়ে যায় এবং এগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। আর এটি আঘাত হানার পর বিস্তৃত এলাকাজুড়ে মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করতে পারে। 

এ ছাড়া বিস্ফোরণে ব্যর্থ হওয়া বোমাগুলোর কয়েক দশক পরেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। মূলত বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনকে এ বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া গুচ্ছবোমাসংক্রান্ত কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি রাশিয়া, ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ওই কনভেনশনে এই ধরনের অস্ত্র উৎপাদন, মজুত, ব্যবহার এবং স্থানান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

তবে কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও কানাডার মতো মার্কিন মিত্রদেশগুলো ইউক্রেনকে এই ধরনের যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে আগেই বিরোধিতা করেছিল। অবশ্য গুচ্ছবোমাবিরোধী চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র না থাকায় ইউক্রেনকে এই ধরনের বোমা দিতে উত্তর আমেরিকার এই দেশটির আইনি কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত