অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে দুই ভাগ করা যেতে পারে, যেমনটা করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানিকে। এমন পরামর্শই দিয়েছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত বিশেষ দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলগ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনের মতো করে ভাগ করা হতে পারে। জেনারেল কেলগ বলেন, এরপর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সেনারা দেশটির পশ্চিমাংশে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে পারে এবং একটি ‘রিঅ্যাসিউরেন্স ফোর্স’ গঠন করতে পারে।
কিথ কেলগ বলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী আগের দখল করা অংশে থাকতে পারে এবং এই দুই অঞ্চলের মাঝে থাকবে একটি ডিমিলিটারাইজড বা নিরস্ত্রীকৃত একটি অঞ্চল এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী এই অঞ্চলে থাকবে। কেলগ এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।
জেনারেল কেলগ দ্য টাইমসকে বলেন, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে অ্যাংলো-ফরাসি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর উপস্থিতি ক্রেমলিনের জন্য ‘মোটেই উসকানিমূলক হবে না।’ এই নদী ইউক্রেনকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত করেছে। গত মাসে ক্রেমলিন অভিযোগ করেছিল, জেনারেল কেলগ কিয়েভের ‘খুব বেশি ঘনিষ্ঠ।’ আর তাই তাঁকে শান্তি আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এখন কেলগই বলছেন, ইউক্রেন যথেষ্ট বড় এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য একাধিক সেনাবাহিনী এখানে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রায় এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনের মতো দেখতে পারেন। যে সময় (বার্লিনেও) একটি রুশ অঞ্চল, একটি ফরাসি অঞ্চল, একটি ব্রিটিশ অঞ্চল এবং একটি মার্কিন অঞ্চল ছিল।’
ট্রাম্পের দূত জানান, ইউক্রেনে আমেরিকা কোনো স্থলসেনা পাঠাবে না। তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা (রাশিয়া যে পর্যন্ত দখল করে এগিয়ে এসেছে) বরাবর ১৮ মাইলের একটি ডিমিলিটারাইজড অঞ্চল তৈরি করা যেতে পারে। তবে মস্কো বারবার জোর দিয়ে বলেছে, তারা কোনো অবস্থাতেই ইউক্রেনে কোনো ন্যাটো দেশের শান্তিরক্ষী মেনে নেবে না।
জেনারেল কেলগের এই পরামর্শের অর্থ মূলত, ইউক্রেন তার পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দেবে। তবে তিনি দিনিপ্রো নদীর পূর্বে কিয়েভকে আরও কোনো ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্মত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা পুতিন বারবার বিলম্বিত করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর তাঁর প্রভাব খাঁটিয়ে একটি শান্তিচুক্তি করবেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি শান্তিচুক্তির আলোচনায় আমাদের প্রভাব রয়েছে এবং আমরা সেই প্রভাব ব্যবহার করব। প্রেসিডেন্ট এটি সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলেছে, রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা বিলম্বিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ব্যবহার করছে, ‘যা ইঙ্গিত করে, ক্রেমলিন যুদ্ধ শেষ করার জন্য গুরুতর শান্তি আলোচনায় আগ্রহী নয়।’
এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ক্রেমলিন তাদের ওয়েবসাইটে দুজনের করমর্দনের ছবি পোস্ট করে বলেছে, বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকের বিষয় ছিল—ইউক্রেনীয় মীমাংসার দিকগুলো।’
আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক আগে ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সতর্ক করে বলেন, পুতিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অগ্রগতি করা উচিত। তিনি পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভয়াবহ ও অর্থহীন এই যুদ্ধে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে দুই ভাগ করা যেতে পারে, যেমনটা করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানিকে। এমন পরামর্শই দিয়েছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত বিশেষ দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলগ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনের মতো করে ভাগ করা হতে পারে। জেনারেল কেলগ বলেন, এরপর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সেনারা দেশটির পশ্চিমাংশে নিয়ন্ত্রণ তৈরি করতে পারে এবং একটি ‘রিঅ্যাসিউরেন্স ফোর্স’ গঠন করতে পারে।
কিথ কেলগ বলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী আগের দখল করা অংশে থাকতে পারে এবং এই দুই অঞ্চলের মাঝে থাকবে একটি ডিমিলিটারাইজড বা নিরস্ত্রীকৃত একটি অঞ্চল এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী এই অঞ্চলে থাকবে। কেলগ এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।
জেনারেল কেলগ দ্য টাইমসকে বলেন, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে অ্যাংলো-ফরাসি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর উপস্থিতি ক্রেমলিনের জন্য ‘মোটেই উসকানিমূলক হবে না।’ এই নদী ইউক্রেনকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত করেছে। গত মাসে ক্রেমলিন অভিযোগ করেছিল, জেনারেল কেলগ কিয়েভের ‘খুব বেশি ঘনিষ্ঠ।’ আর তাই তাঁকে শান্তি আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এখন কেলগই বলছেন, ইউক্রেন যথেষ্ট বড় এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য একাধিক সেনাবাহিনী এখানে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রায় এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিনের মতো দেখতে পারেন। যে সময় (বার্লিনেও) একটি রুশ অঞ্চল, একটি ফরাসি অঞ্চল, একটি ব্রিটিশ অঞ্চল এবং একটি মার্কিন অঞ্চল ছিল।’
ট্রাম্পের দূত জানান, ইউক্রেনে আমেরিকা কোনো স্থলসেনা পাঠাবে না। তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা (রাশিয়া যে পর্যন্ত দখল করে এগিয়ে এসেছে) বরাবর ১৮ মাইলের একটি ডিমিলিটারাইজড অঞ্চল তৈরি করা যেতে পারে। তবে মস্কো বারবার জোর দিয়ে বলেছে, তারা কোনো অবস্থাতেই ইউক্রেনে কোনো ন্যাটো দেশের শান্তিরক্ষী মেনে নেবে না।
জেনারেল কেলগের এই পরামর্শের অর্থ মূলত, ইউক্রেন তার পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দেবে। তবে তিনি দিনিপ্রো নদীর পূর্বে কিয়েভকে আরও কোনো ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্মত যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা পুতিন বারবার বিলম্বিত করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর তাঁর প্রভাব খাঁটিয়ে একটি শান্তিচুক্তি করবেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি শান্তিচুক্তির আলোচনায় আমাদের প্রভাব রয়েছে এবং আমরা সেই প্রভাব ব্যবহার করব। প্রেসিডেন্ট এটি সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলেছে, রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা বিলম্বিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ব্যবহার করছে, ‘যা ইঙ্গিত করে, ক্রেমলিন যুদ্ধ শেষ করার জন্য গুরুতর শান্তি আলোচনায় আগ্রহী নয়।’
এদিকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ক্রেমলিন তাদের ওয়েবসাইটে দুজনের করমর্দনের ছবি পোস্ট করে বলেছে, বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকের বিষয় ছিল—ইউক্রেনীয় মীমাংসার দিকগুলো।’
আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক আগে ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সতর্ক করে বলেন, পুতিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অগ্রগতি করা উচিত। তিনি পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়ার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভয়াবহ ও অর্থহীন এই যুদ্ধে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।’
তথ্যসূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
২০২৩ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় ৬০ বছরের রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটানো গ্যাবনের সামরিক নেতা জেনারেল ব্রিস ওলিগুই এনগেমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। শনিবারের প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর আরোপিত শুল্ক পুরোপুরি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান। এ পরিস্থিতিতেই চীন এই আহ্বান জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত
৭ ঘণ্টা আগেচলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধে কোন দেশ প্রথম পিছু হটবে, তা বিশ্লেষণ করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন কী কী আমদানি করে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সিএনএন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে চীন কীভাবে অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে
৭ ঘণ্টা আগে