আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।

গতকাল ১ জুন দুপুরের পরপরই রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এক অভূতপূর্ব চাঞ্চল্য দেখা যায়। ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে এ যাবৎকালের সবচেয়ে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছে। যেই ঘটনাকে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। পূর্ব সাইবেরিয়ার ইরকুৎস্ক প্রদেশ থেকে রাশিয়ার সুদূর উত্তরে মুর্মাস্ক পর্যন্ত, ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে এই আক্রমণে লক্ষ্যবস্তু ছিল রাশিয়ার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, এই হামলায় রাশিয়ার যে পরিমাণ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তাতে ক্ষতি প্রায় ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।
স্থানীয়দের পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, ছোট কোয়াডকপ্টার ড্রোনগুলো একটি লরি থেকে বেরিয়ে নিকটবর্তী বিমানঘাঁটির দিকে উড়ে যাচ্ছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আমি একটি টায়ারের দোকানে কাজ করি। একটি ট্রাক এসে থামল, আর তার ভেতর থেকে ড্রোন উড়ে গেল!’
ইউক্রেনের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে এবং এর কোড নাম দিয়েছে ‘স্পাইডার ওয়েব’। তারা জানিয়েছে, এই আক্রমণে ৪১টি রুশ বিমান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে বিরল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ-৫০ আর্লি-ওয়ার্নিং প্লেন (রাশিয়ার এওয়াকস সমতুল্য) এবং টু-২২ এম ৩ ও টু-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমানও রয়েছে। এসবিইউ-এর প্রধান ভাসিলি মাল্যুকের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো, সবই মনোরমভাবে পুড়ছে।’
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানের সংখ্যা তুলনামূলক কম–সম্ভবত ৯০ টিরও কম টু-২২, টু-৯৫ এবং নতুন টু-১৬০ বর্তমানে অপারেশনাল রয়েছে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হলেও, সম্প্রতি ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে প্রচলিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক পরিকল্পনাকারীদের জন্য উচ্চ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যবস্তু ছিল। বেশির ভাগ বিমানই পুরোনো এবং এখন আর উৎপাদ করা হয় না। শেষ টু-২২ এম ৩ এবং টু-৯৫ প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি আগে তৈরি, আর সেগুলোর প্রতিস্থাপন, টু-১৬০-এর উৎপাদনও অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে।
রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
ক্রেমলিনের সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের অভিযানগুলোর পরিসর ও নির্ভুলতা ধীরে ধীরে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের রাশিয়ার গভীরে ঢুকে আক্রমণে কিছু সহায়তা দিয়েছে। গত ২৮ মে জার্মানি ইউক্রেনীয় দূরপাল্লার ড্রোনে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বেশির ভাগ প্রযুক্তি এবং মিশন পরিকল্পনা ইউক্রেনের নিজস্ব।
গত ১ জুনের এই অপারেশনকে আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, এই মিশনের পরিকল্পনা করতে ১৮ মাস সময় লেগেছে। রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি থেকে এবং রাতের বেলা বড় আকারের ফিক্সড-উইং ড্রোনের আক্রমণের আশঙ্কা করছিল। ইউক্রেন রাশিয়ার ধারণা উল্টে দিয়েছে। তারা দিনের বেলায় ছোট ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে এবং তা করেছে সম্মুখভাগ থেকে অনেক দূরে। ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে; কিন্তু এবারের পার্থক্য ছিল অভিযানের মাত্রা এবং সমন্বিত প্রকৃতিতে।
ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ ভাষ্যকাররা মনে করেন, এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১৫০টি ড্রোন এবং ৩০০টি বোমা সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হয়েছিল। কোয়াডকপ্টারগুলো সম্ভবত কাঠের কেবিনে ঢুকিয়ে লরিতে লোড করা হয়েছিল। এরপর কেবিনের ঢাকনা দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খুলে ফেলার পর ড্রোনগুলো উড়ানো হয়েছিল। ড্রোনগুলো রাশিয়ারই মোবাইল-টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনে ফুটেজ পাঠিয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় সেই ফুটেজ শেয়ার করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই অপারেশনে স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য নির্ধারণের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালকেরা সম্ভবত জানতেন না যে তাঁরা কী বহন করছেন। তিনি এই অপারেশনের এই দিকটিকে ২০২২ সালের কের্চ সেতু আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একটি লরিতে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণে ক্রিমিয়াকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তকারী সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপারেশন খুব জটিল, যেখানে মূল খেলোয়াড়দের অন্ধকারে রাখা জরুরি।’
সূত্রটি এই অপারেশনকে একটি বহু-পর্যায়ের দাবার চাল হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে ইউক্রেনের অন্যান্য ঘাঁটিতে হামলা সুযোগ দিয়ে রুশদের প্রথমে আরও বেশি বিমান নির্দিষ্ট ঘাঁটিতে সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। আক্রমণের তিন দিন আগে, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডজন ডজন বিমান মুর্মাস্ক প্রদেশের ওলেনিয়া বিমানঘাঁটিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত ১ জুন ঠিক সেখানেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার ইস্তাম্বুলে শুরু হতে যাওয়া নতুন শান্তি আলোচনার ওপর এই অভিযানের একটি ছায়া নিশ্চয় থাকবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, কখনো কখনো শত শত ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সন্ত্রস্ত করেছে। গত ৩১ মে রাতে শুরু হওয়া একটি হামলায় রেকর্ড ৪৭২টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেখাতে চাচ্ছিল যে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইলে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই অভিযান কি পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে, নাকি কেবল ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে?
রাশিয়ার দেশপ্রেমিক সামাজিক-গণমাধ্যম নেটওয়ার্কগুলোতে এরই মধ্যে এই হামলার জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে এই মুহূর্তটিকে ১৯৪১ সালে জাপানের পার্ল হারবারে আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের ওপর আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করছেন। একজন জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, এই অভিযানের কারণে পশ্চিমা অংশীদাররা ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চিন্তা হচ্ছে যে এটি সিনোপের মতো হয়ে যায় কিনা।’ ১৮৫৩ সালে একটি অটোমান বন্দরে রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীকে বিশ্ব মঞ্চে একা করে দিয়েছিল।
এদিকে গত ১ জুনের এই অভূতপূর্ব ঘটনা পশ্চিমা সশস্ত্র বাহিনীগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সাশ্রয়ের জন্য বহু বছর ধরে যুদ্ধবিমানগুলো ক্রমশ অল্পসংখ্যক বিমানঘাঁটিতে কেন্দ্রীভূত করছে। তারা বিমানগুলোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো পোতাশ্রয় নির্মাণে বিনিয়োগ করেনি। আমেরিকার নিজস্ব কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো স্যাটেলাইট ছবিতে খোলা জায়গায় দৃশ্যমান। ওয়াশিংটনের থিংক-ট্যাংক সিএনএএস-এর টম শুগার্ট লিখেছেন, ‘কল্পনা করুন, খেলার দিনে, রেলইয়ার্ডে, বন্দরে বা উপকূলের চীনা মালিকানাধীন কন্টেইনার জাহাজে, এলোমেলো অবকাঠামোতে পার্ক করা ট্রাকে থাকা কন্টেইনারগুলো... থেকে হাজার হাজার ড্রোন উড়ে আসছে, যা মার্কিন বিমানবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে পারে।’ তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটা শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবে ঘটতে পারাটা খুবই সম্ভব।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
২২ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট ও লুকওয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকওয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না।’ তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’—বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক।’
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোও আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে, ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে।’ তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো।’
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা।’ তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল ‘শান্তিদূত’ এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭ এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা গত তিন বছর ধরেই এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট ও লুকওয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকওয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না।’ তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’—বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক।’
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোও আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে, ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে।’ তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো।’
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা।’ তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল ‘শান্তিদূত’ এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭ এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা গত তিন বছর ধরেই এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
২২ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
২২ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
৪৩ মিনিট আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার এত বিপুলসংখ্যক অত্যাধুনিক বিমান দেশের এতটা গভীরে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করার সক্ষমতা ইউক্রেনের আক্রমণ কৌশলের উন্নয়ন এবং রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের গোপন এজেন্টদের অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
০২ জুন ২০২৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
২২ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথানত স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যেই খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল
৪৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে