Ajker Patrika

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সবচেয়ে বড় আঘাত হানল রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ২৩: ৫২
Thumbnail image

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, অন্তত ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৬০টি ড্রোনের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সরবরাহ লাইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতভর চালানো ওই হামলায় ইউক্রেনের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ভ্যালেরিওভিচ গালুশচেঙ্কো জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। দেশের জ্বালানি ব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটাতেই এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। 

আল-জাজিরা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, রুশ হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ডেপুটি হেড ওলেকসি কুলেবা জানিয়েছেন, রুশ হামলা পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৭ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। আর দক্ষিণ ওডেসা এবং দক্ষিণ-পূর্ব ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে কমপক্ষে ২ এবং কেন্দ্রীয় পোলতাভা অঞ্চলে আরও ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটি এখন প্রায় ‘ব্ল্যাকআউট’ হয়ে যাওয়ার অবস্থায় রয়েছে। ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি বলেছে, রাশিয়া কাছাকাছি একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধে আঘাত করার পর জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি জানিয়েছে, পাওয়ার প্ল্যান্টটি তার প্রধান পাওয়ার লাইনের সঙ্গে সংযোগ হারিয়েছে। তবে একটি ব্যাকআপ পাওয়ার লাইন এখনো সচল রয়েছে। 

ইউক্রেনের অ্যানর্জোটোম পারমাণবিক জ্বালানি কোম্পানির প্রধান পেট্রো কোটিন মন্তব্য করেছেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং জরুরি অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি।’ 

উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও অস্ত্রের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তার আবেদনের পুনরাবৃত্তি করেছেন। নিজের অ্যাক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে সহায়তা প্যাকেজ আসতে দেরি করলেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কোনো বিলম্ব নেই। কিছু রাজনীতিবিদের মতো রুশ ড্রোনগুলো কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে না।’ 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছে। সতর্ক করেছে এই বলে যে, এমন হামলার ফলে প্রতিশোধ এবং বিশ্বজুড়ে তেলের বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত