Ajker Patrika

গ্রিসের উপকূলে যত দূর চোখ যায় শুধু মরা মাছ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৫১
Thumbnail image

বিপুল পরিমাণ স্বাদু পানির মাছ মারা যাওয়ায় গ্রিসের প্রধান বন্দর শহর ভেলোসে এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এই পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।

গ্রিসের প্রধান বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর গ্রিসের থেসালি অঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল সেই ঘটনারই জের ধরে স্বাদু পানির মাছগুলো মারা গেছে। থেসালি অঞ্চলেই ভেলোস বন্দরটি অবস্থিত। গত বছর ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল এই বন্দর নগরী।

এ বিষয়ে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত বছরের থেসালি অঞ্চলে ২০ হাজার হেক্টরের বেশি জমি প্লাবিত হয়েছিল। অতীতে এই থেসালিতে একটি মিঠে পানির হ্রদ ছিল। ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৯৬২ সালে এই হ্রদের পানি সম্পূর্ণ সেচে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু বন্যায় এই হ্রদটিও ভেসে যায়।

বন্যার পানির তোড়ে স্বাদু পানির মাছগুলো সমুদ্রে চলে যাওয়ায় এগুলোর মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ভেসে ভেসে মৃত মাছগুলো এখন ভেলোস বন্দরের উপকূলে এসে জমা হচ্ছে। কয়েক শ টন মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছেন না স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকেরাও।

অবস্থা এতটাই সঙিন যে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সমুদ্রবন্দরের বিশাল এলাকাজুড়ে ভেসে থাকা মাছ সরাতে বুলডোজারের সাহায্য নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। মাছ সরাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা। মরা মাছ থেকে মারাত্মক দূষণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদেরা। ইতিমধ্যেই সমুদ্রের পানি দূষিত হতে শুরু করেছে।

পরিবেশ বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভেলোসের সমুদ্রের মোহনায় নদীর মুখে কোনো জাল লাগানো নেই। এর ফলে প্রায় সব মাছ সমুদ্রের জলে গিয়ে পড়েছে। মিষ্টি পানির মাছ নোনতা পানির সংস্পর্শে আসার কারণেই মাছগুলো মারা যাচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বছরের বন্যার পর অঞ্চলটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। এখন মরা মাছ তাঁদের নতুন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভোলোস অঞ্চলটি পর্যটনশিল্পের জন্য বিখ্যাত। গ্রিস ছাড়াও ইউরোপের নানা দেশ থেকে ভ্রমণপিপাসুরা সেখানে বেড়াতে যান। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার সমুদ্রের পাড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিলাসবহুল হোটেল ও রেস্তোরাঁ। মরা মাছের দুর্গন্ধে এখন অতিষ্ঠ সেখানকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। বিষয়টি পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত