Ajker Patrika

আইআইটি খড়গপুরে আরেক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, চলতি বছর চতুর্থ অস্বাভাবিক মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইআইটির খড়গপুর ক্যাম্পাসে ফের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির রাজেন্দ্র প্রসাদ (আরপি) হলের একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের দেহ। চলতি বছর ক্যাম্পাসে এটি চতুর্থ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদপত্র এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়াত ছাত্রের নাম ঋতম মণ্ডল (২১)। কলকাতার বাসিন্দা ঋতম আইআইটি খড়গপুরে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর তিনি নিজের ঘরে ফিরে যান। সহপাঠীদের কারও সঙ্গে তাঁর আচরণেও কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়নি।

সহপাঠীরা জানান, শুক্রবার সকালে তাঁর দরজা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকায় প্রথমে তারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না মেলায় বিষয়টি ক্যাম্পাসের পুলিশ আউটপোস্ট এবং নিরাপত্তারক্ষীদের জানানো হয়। পরে দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, ঋতম ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। আইআইটির এক কর্মকর্তা জানান, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে আইআইটি প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র শাওন মালিকের মরদেহও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার কার হয়। এরপর ২০ এপ্রিল সমুদ্র প্রকৌশল বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র অনিকেত ওয়াকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ৪ মে আবার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আসিফ কামার নিজের ঘরে মারা যান।

এই ধারাবাহিক মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ছাত্রদের মানসিক চাপ ও সহায়তার অভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ হোস্টেলের প্রতিটি ঘরের দরজায় বারকোড সংযোজন করেছেন, যাতে কোনো ছাত্র আবেগগত চাপ বা হতাশার মুখোমুখি হলে সহজেই স্ক্যান করে কাউন্সেলিং হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

সম্প্রতি ‘ক্যাম্পাস মাদারস’ নামেও একটি প্রকল্প চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রকল্পে নারী শিক্ষক ও কর্মীদের একটি দল ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিষয়ে পরামর্শ ও সহানুভূতি দিয়ে সহায়তা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত