আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ ভয়াবহ বাধার মুখে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
সম্প্রতি প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অবিলম্বে সীমান্ত উন্মুক্ত করে গাজাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যাতে ধ্বংসস্থলের মানচিত্র তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য অপসারণ, পুনর্ব্যবহার ও অস্থায়ী সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এটি ছাড়া পুনর্গঠন বা পুনর্বাসন কার্যত অসম্ভব।
গত সপ্তাহে খান ইউনিস পৌরসভা জানায়, শহরটির ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ রাস্তাঘাট ও পাড়ামহল্লা থেকে সরাতে হবে।
পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে থাকা পানি সরবরাহের লাইন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়সংকটই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এ ছাড়া শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য জমে আছে, যা সীমিত সম্পদ ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
মেয়র জানান, বর্তমানে মাত্র নয়টি পৌর টিম কাজ করছে। তারা শুধু রাস্তা পরিষ্কার ও জরুরি পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভারী মেশিন ও নতুন জেনারেটর দরকার। কারণ, পুরোনোগুলো হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে, শহরজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ, যা মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে আর চারজনকে সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে এখনো চরম বিপর্যয়ের মুখে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।
দুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ ভয়াবহ বাধার মুখে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
সম্প্রতি প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অবিলম্বে সীমান্ত উন্মুক্ত করে গাজাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যাতে ধ্বংসস্থলের মানচিত্র তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য অপসারণ, পুনর্ব্যবহার ও অস্থায়ী সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এটি ছাড়া পুনর্গঠন বা পুনর্বাসন কার্যত অসম্ভব।
গত সপ্তাহে খান ইউনিস পৌরসভা জানায়, শহরটির ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ রাস্তাঘাট ও পাড়ামহল্লা থেকে সরাতে হবে।
পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে থাকা পানি সরবরাহের লাইন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়সংকটই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এ ছাড়া শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য জমে আছে, যা সীমিত সম্পদ ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
মেয়র জানান, বর্তমানে মাত্র নয়টি পৌর টিম কাজ করছে। তারা শুধু রাস্তা পরিষ্কার ও জরুরি পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভারী মেশিন ও নতুন জেনারেটর দরকার। কারণ, পুরোনোগুলো হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে, শহরজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ, যা মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে আর চারজনকে সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে এখনো চরম বিপর্যয়ের মুখে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৩ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৪ ঘণ্টা আগে