আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
মামলার অন্যতম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল দাবি করেছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর পাউডার ব্যবহার করার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাঞ্জেল। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে ‘মেসোথেলিওমা’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডওয়ার্ড। এই ক্যানসার সাধারণত অ্যাসবেস্টাসের সংস্পর্শে এলে হয়।
প্যাট্রিসিয়া জানান, তাঁর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং জানতেন অ্যাসবাস্টাস কতটা ক্ষতিকর। তবে তিনি কখনো সরাসরি এই পদার্থের সংস্পর্শে যাননি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘সে (স্বামী) প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে তার শরীরে অ্যাসবাস্টাস ফাইবারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাসবাস্টাস-দূষিত পাউডার বিক্রি করেছে এবং ঝুঁকির বিষয়টি গোপন রেখেছে। মামলাটি পরিচালনা করছে আইন সংস্থা ‘কেপি ল’। সংস্থাটি দাবি করেছে, জনসন অ্যান্ড জনসন দীর্ঘদিন ধরে সত্য আড়াল করেছে শুধু ব্র্যান্ডের সুনাম ও লাভ রক্ষার জন্য।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী মাইকেল রলিনসন কেসি জানিয়েছেন, বিশ্বে এমন কোনো বাণিজ্যিক ট্যালকম খনি প্রায় নেই যা অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সব খনিই দূষিত ছিল। কোম্পানির নিজস্ব গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ থেকেও তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল বলে দাবি করা হয়। তারপরও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব খাটিয়েছে এবং এমন গবেষণার তহবিল দিয়েছে যা তাদের পাউডারের ঝুঁকি কমিয়ে দেখিয়েছে।
জ্যানেট ফুশিলো নামে ৭৫ বছর বয়সী অন্য এক আবেদনকারী জানান, তিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে এই পাউডার ব্যবহার করেছেন এবং সাত বছর আগে তার ডিম্বাশয় ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম এটি একেবারেই বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকের পরিবর্তে কর্ন স্টার্চ ব্যবহার শুরু করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, অ্যাসবেস্টাসযুক্ত ট্যালক ক্যানসার সৃষ্টি করে—এটি সাধারণভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত ট্যালক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে গবেষণার ফল মিশ্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি ১০ বিলিয়ন ডলারের এক গ্লোবাল সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আদালত বাতিল করেছেন। কোম্পানিটি এখন আবার আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনে এই মামলাটি দেশটিতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ অ্যাকশন মামলা হয়ে উঠতে পারে। প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘এডওয়ার্ড (স্বামী) এই পাউডার ব্যবহার করত কারণ আমাদের বলা হয়েছিল এটি একেবারে বিশুদ্ধ। এখন আমরা শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, সত্য জানতে চাই।’
আমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
মামলার অন্যতম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল দাবি করেছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর পাউডার ব্যবহার করার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাঞ্জেল। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে ‘মেসোথেলিওমা’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডওয়ার্ড। এই ক্যানসার সাধারণত অ্যাসবেস্টাসের সংস্পর্শে এলে হয়।
প্যাট্রিসিয়া জানান, তাঁর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং জানতেন অ্যাসবাস্টাস কতটা ক্ষতিকর। তবে তিনি কখনো সরাসরি এই পদার্থের সংস্পর্শে যাননি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘সে (স্বামী) প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে তার শরীরে অ্যাসবাস্টাস ফাইবারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাসবাস্টাস-দূষিত পাউডার বিক্রি করেছে এবং ঝুঁকির বিষয়টি গোপন রেখেছে। মামলাটি পরিচালনা করছে আইন সংস্থা ‘কেপি ল’। সংস্থাটি দাবি করেছে, জনসন অ্যান্ড জনসন দীর্ঘদিন ধরে সত্য আড়াল করেছে শুধু ব্র্যান্ডের সুনাম ও লাভ রক্ষার জন্য।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী মাইকেল রলিনসন কেসি জানিয়েছেন, বিশ্বে এমন কোনো বাণিজ্যিক ট্যালকম খনি প্রায় নেই যা অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সব খনিই দূষিত ছিল। কোম্পানির নিজস্ব গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ থেকেও তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল বলে দাবি করা হয়। তারপরও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব খাটিয়েছে এবং এমন গবেষণার তহবিল দিয়েছে যা তাদের পাউডারের ঝুঁকি কমিয়ে দেখিয়েছে।
জ্যানেট ফুশিলো নামে ৭৫ বছর বয়সী অন্য এক আবেদনকারী জানান, তিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে এই পাউডার ব্যবহার করেছেন এবং সাত বছর আগে তার ডিম্বাশয় ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম এটি একেবারেই বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকের পরিবর্তে কর্ন স্টার্চ ব্যবহার শুরু করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, অ্যাসবেস্টাসযুক্ত ট্যালক ক্যানসার সৃষ্টি করে—এটি সাধারণভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত ট্যালক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে গবেষণার ফল মিশ্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি ১০ বিলিয়ন ডলারের এক গ্লোবাল সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আদালত বাতিল করেছেন। কোম্পানিটি এখন আবার আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনে এই মামলাটি দেশটিতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ অ্যাকশন মামলা হয়ে উঠতে পারে। প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘এডওয়ার্ড (স্বামী) এই পাউডার ব্যবহার করত কারণ আমাদের বলা হয়েছিল এটি একেবারে বিশুদ্ধ। এখন আমরা শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, সত্য জানতে চাই।’
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৩ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৩ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
৩ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৪ ঘণ্টা আগে